a
ফাইল ছবি: গোলাম রাব্বানী
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। আজ শনিবার (৩ এপ্রিল) সকালে রাব্বানী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে শারীরিক অবস্থা অবনতির কথা জানিয়ে পোস্ট দেন। তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হল-
"জ্বর, সর্দিকাশি আর শারীরিক দুর্বলতার সাথে গত দুদিন যাবৎ শ্বাসকষ্ট আর বুকে চাপ অনুভব করছি। গতরাতে কিছু সময়ের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডারও ব্যবহার করতে হয়েছে।
যদি কিছু হয়ে যায়, যদি অকালে চলে যেতে হয়... এই আফসোস, হতাশা আর মনোকষ্ট নিয়েই যেতে হবে। যে আদর্শ আর দলের জন্য এতো ত্যাগ, জীবন-যৌবন,ক্যারিয়ার, স্বাদ-আহলাদ সব জলাঞ্জলি দিয়ে ইতিবাচক কাজ করতে চাইলাম, সেই দলেরই স্বার্থান্বেষী মহলের কাছ থেকেই মিথ্যা অপবাদ আর বিমাতাসুলভ অন্যায় আচরণের শিকার হলাম! আত্মপক্ষ সমর্থন, সত্য-মিথ্যা যাচাই-বাছাই, তদন্ত এসবের নূন্যতম সুযোগও মিললো না, যা যে কোনো মানুষেরই প্রাপ্য অধিকার।
একজন প্রমাণিত দুর্নীতিবাজ ভিসিকে রক্ষা করতে গিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ছাত্রসংগঠন ও এর শীর্ষ নেতৃত্বকে মিথ্যা অভিযোগে কলঙ্কিত করা হলো। যার বিরুদ্ধে সকল তথ্যপ্রমাণ থাকার পরও কোন তদন্ত হলো না, বিচার হলো না! শিক্ষা মন্ত্রনালয়, ইউজিসি, দুদক সব দেখে জেনে বুঝেও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া 'জিরো একশন টু করাপশন' নীতি অনুসরণ করলো।
বেঁচে থাকলে নিজেই প্রমাণ করবো ইনশাআল্লাহ। আর যদি মারা যাই, তাহলে শেষ ইচ্ছে ও চাওয়া থাকবে, দেশ ও জনগণের টাকা পুকুর চুরি করে আমাদের উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়া জাবি ভিসি যেন কোনভাবেই পার না পায়, জাতির সামনে যেন সত্যটা উন্মোচিত হয়। জোরপূর্বক থামিয়ে দেয়া দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন যেন ফের শুরু হয়। ইউজিসি আর দুদকের যেন বিবেকবোধ জাগ্রত হয়। প্রাণের প্রতিষ্ঠান ছাত্রলীগ যেন কলঙ্কমুক্ত হয়।"
এর আগে, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন গত ৩১ মার্চ। রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার পর ফলাফল পজিটিভ আসে। নিজের ফেসবুকেই জানিয়েছিলেন তার করোনার কথা। উল্লেখ্য, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে গোলাম রাব্বানীকে বহিস্কার করা হয়।
মুক্তা দাশ
ভালোবাসা !!!
এ বড়ো তপস্যার বিষয় ।
বুঝিবা করেছিনু কিছু পাপ আগের জনমে...
যে তুমি তুমি হয়েও তুমি হয়ে উঠিলে না আর !!
স্বার্থের এ পৃথিবী কেবলি ভোগের, তুচ্ছতাচ্ছিল্যের !
অগ্নি সাক্ষী রেখে যে পরালো গলে মালা
সে-ও কি আপন রয় !??
যে তোমারে করছিনু পণ পাওয়ার আশায় !
তোয়াক্কা করিনি জাত-পাত, সমাজ - সংসার ।
সে তুমিও ফিরে গেলে, ফিরায়ে দিলে ;
তুচ্ছজ্ঞানে করিলে ভালোবাসার অপমান ।
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়
পূর্ণিমার চাঁদ যেনো ঝলসানো রুটি !
ভালোবাসা !
এ বড়ো তপস্যার ধন, অমৃত যেমন।
যতো পাই ততো চাই !
শত পরশেও মিটে না এ মন !!
পাপ -পূণ্যের উর্ধ্বে
লাভ -ক্ষতির হিসেবের বাহিরে,
মোহে কিংবা নির্মোহে...
কেবলি আশা- দুরাশায় কালক্ষেপণ ! তবু্ও
শুধু ই ভালোবাসিবারে চাই আজীবন ।।
ফাইল ছবি
মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবেন না। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেও এধরণের ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানান কিরবি। একটি মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। খবর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের।
জন কিরবি বলেন, ইউক্রেনে যে কোনো দিন রাশিয়া আক্রমণ করতে পারে— এমন আশঙ্কা থেকে সেখানে অবস্থানরত সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে যে কোনো সময়ে আক্রমণ করার মতো রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জন কিরবি।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান উত্তেজনার মধ্যে আমেরিকা ইউরোপে আরও তিন হাজার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে ন্যাটো সামরিক জোটভুক্ত দেশ পোলান্ডে পাঁচ হাজার সেনার সমাবেশ ঘটাতে যাচ্ছে আমেরিকা।
আগেই ইউরোপজুড়ে ৮০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। অন্যদিকে কৃষ্ণসাগরে ৩০টির বেশি যুদ্ধজাহাজের তৎপরতাকে রাশিয়া প্রশিক্ষণ মহড়া বলে জানায়। কিন্তু জন কিরবি বলছেন, এ মহড়া ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
মর্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সতর্কবার্তা জারির পর ইউক্রেনে অবস্থানরত আমেরিকার নাগরিকদের জন্য পোল্যান্ড তাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছে। সেই সঙ্গে ফ্লোরিডা ন্যাশনাল গার্ডের ১৬০ সদস্যকেও সরিয়ে নিয়েছে আমেরিকা। এসব গার্ড ইউক্রেনের সেনা সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল।