a
ফাইল ছবি
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যেন পরাজয় ঘটে, তা নিশ্চিত করতে বিশ্ব যথাসাধ্য চেষ্টা করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। একই সঙ্গে মস্কোকে বছরের পর বছর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রাখা হবে বলে জানান।
গতকাল রবিবার রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুতিনকে যা বোঝা দরকার তা হলো, পশ্চিমারা সম্পূর্ণভাবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং তিনি যা করছেন তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য সংকল্পবদ্ধ। তার অবৈধ যুদ্ধ, ক্রমবর্ধমানতা এবং ইউক্রেনে আরও আক্রমণ করার জন্য তার লাল রেখা অতিক্রম করার অর্থ হলো, আমেো একটি বিশ্ব হিসেবে তার পরাজয় নিশ্চিত করতে যা করার দরকার সবই করবো।’
কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ইউক্রেন সফরে গেছেন তিনি। রবিবার (৮ মে) দেশটির ইরপিন শহর পরিদর্শন করেছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও আলোচনা করবেন এই নেতা। এর মাঝেই রয়টার্সকে ট্রুডো বলেন, ‘পুতিন ভয়ানক ভুল করছেন।’ সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
কাতারে বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে বৈশ্বিক শান্তির বিষয়ে ভাষণ দিতে চেয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু তার সেই অনুরোধে সাড়া দেয়নি ফিফা।
সূত্রের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, এ বিষয়ে ফিফা ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা এখনও চলমান রয়েছে।
সূত্র বলেছে, কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনাল ম্যাচ শুরুর আগে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে জেলেনস্কির ভাষণ প্রচারের প্রস্তাব দিয়েছিল ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের দপ্তর। কিন্তু ফিফা সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করায় অবাক হয়েছে তারা।
ইউক্রেনীয় সূত্রটি সিএনএন’কে বলেছে, আমরা ভেবেছিলাম ফিফা তার প্ল্যাটফর্মকে বৃহত্তর মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করতে চায়।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফান্তিনো বলেছেন, বিশ্বকাপ থেকে রাজনৈতিক বার্তা দূরে রাখা হচ্ছে, যেন ফুটবলপ্রেমীরা ‘একটু আনন্দ ও খুশির মুহূর্ত’ উপভোগ করতে পারেন।
গতকাল শুক্রবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিভাবকবিহীন অবস্থায় ৮ মাস বয়সের এক শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার সকাল আটটার পরে বিমানবন্দরের ভেতরে একটি চেয়ারে বসে ফিডারে দুধ খাচ্ছিল শিশুটি। তখন বিষয়টি পুলিশর নজরে আসে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটির কোনো অভিভাবককে পায়নি বিমানবন্দরে দায়িত্বরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন এ বিষয়ে জানান, রাত দুইটার দিকে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এক নারী যাত্রী আসেন এবং এরপর তিনি ৫ নম্বর বেল্ট থেকে মালামাল সংগ্রহ করেন। সেই নারীর সঙ্গে এই শিশুটি ছিল। শিশুটিকে নিয়ে সে নারী সকাল পর্যন্ত অ্যারাইভাল বেল্টের পাশেই শিশুটিকে নিয়ে বসে ছিলেন।
মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সকাল পর্যন্ত ওই নারী বিমানবন্দরেই ছিলেন। আটাটার দিকে শিশুটিকে ফেলে তিনি চলে যান। এরপর আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করি।’
এদিকে এ বিষয়ে ওই শিশুটির মায়ের সাথে আসা এক সহযাত্রী বলেন, ‘আমি চারটার দিকে নামছি। তখন থেকে ঐ বাচ্চাকে ওখানে ঘুমিয়ে আছে। আর ওর মা ওখানে দাঁড়ায়ে আছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শিশুর মা তাকে বলেছেন, আপা সৌদি আরবে আমি বিয়ে করছি। আমি বলছি আপনার এটা করা উচিত হয়নি। বলতে-বলতে কেঁদে দিছে।’
এদিকে পুলিশের ধারণা হয়তো লোকলজ্জার ভয়ে শিশুটিকে সঙ্গে না নিয়ে এয়ারপোর্টে রেখেই চলে যান সে নারী।
এদিকে যে নারী এই শিশুটিকে বিমানবন্দরে রেখে চলে গেছেন তাকে এরইমধ্যে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। শিশুটি এখন পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছে।
এ বিষয়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর জানিয়েছেন, এখন শিশুটিকে দত্তক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, ‘দত্তক নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যাচাই-বাছাই করে ভালো একটি জায়গায় দত্তক দেওয়ার কথা আমরা চিন্তা করছি।’ পুলিশ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে সে নারীর নাম, ঠিকানা এবং অবস্থান জানা গেছে। কিন্তু সেটি প্রকাশ করা হবে না।