a
ফাইল ফটো: করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৮ হাজার ৪৮৯ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৯১২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৭ জন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১২২৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৫ হাজার ৩৪৯ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ফাইল ছবি
পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের কারণে গত ৫ দিন যাবত যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ছে। ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৫ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭৪ সে.মি নীচ দিয়ে এবং কাজিপুর পয়েন্টে ১১ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৫ সে.মি নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে কাজিপুর, সদর, বেলকুচি শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে শাকসব্জি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমন আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। বসতভিটায় পানি না উঠলেও বসতভিটার চারপাশে পানি থৈ-থৈ করছে। কোথাও কোথাও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়ও পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনার অরক্ষিত তীরবর্তী মানুষ ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন পার করছে। গত কয়েকদিনে অন্তত শতাধিক বসতভিটাসহ ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটা হারানো পরিবারগুলো খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবযাপন করছে। কৃষকেরা ভরা আমন মৌসুমে আবাদ করতে না পারায় চরম ক্ষতির মধ্যে পড়ছে। চারণভূমি তলিয়ে যাওয়া গো-খাদ্যেরও সংকট দেখা দিচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের কারণে যমুনায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। আরো ২/১ দিন পানি বেড়ে বিপদসীমার কাছাকাছি বা উপরে যেতে পারে। তবে বন্যার কোনো আশংকা নেই। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি সংগৃহীত
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার কিছু সময় পর গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আহ্বায়ক খোমেনী ইহসান।
শনিবার রাতে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
খোমেনী ইহসান তার পোস্টে বলেন, ‘জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমাবেশে হামলার নেপথ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির সারজিস আলম জড়িত। হামলাকারীরা এক সময় যুবদল করলেও বর্তমানে সারজিসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সারজিস আমাদের নাগরিক সমাবেশ বানচালে জড়িত থাকার অডিও ক্লিপস আমি এক ছাত্র উপদেষ্টার কাছে পাঠিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘সারজিস কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে বারবার ষড়যন্ত্র করেও আমাদের হস্তক্ষেপে ব্যর্থ হয়েছিল। সারজিস ৫ আগস্টের পর বিপ্লবী সাজলেও আমরা তার বিরোধিতা অব্যাহত রাখি।সে সচিবালয়সহ বহু জায়গায় নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত ছিল। এনিয়ে আমরা সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সরকারের কাছে আপত্তি জানাই। পরবর্তীতে ছাত্রদের একজনের কারণে তার বিষয়ে ছাড় দেই।’
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের এই নেতা বলেন, ‘সারজিস হয়তো ভাবছে তার নরমালাইজেশন হয়ে যাওয়ায় সে জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে উঠে গেছে। না ভাই এমনটি মনে করো না। আমরা সমর্থন প্রত্যাহার করলে তোমরা কয়দিন টিকতে পারবে তা গুণে দেখ। আমরা ছাত্রদের ব্যর্থ দেখতে চাই না বলে তোমাদের সঙ্গে বিরোধিতায় যেতে চাই না। কিন্তু এর মানে এও নয় যে, দলগত ছাড় সবার কপালে জুটবে।’
আরেকটি স্ট্যাটাসে খোমেনী বলেন, আমি সরকারের কাছে যে অডিও ক্লিপিংস জমা দিয়েছি তাতে স্পষ্ট শোনা যায়, সারজিস আলম বলছে- ‘জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমাবেশে কোনো শহিদ পরিবার যোগ দিলে ভালো হবে না’।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকালে জুলাই হত্যাকাণ্ডসহ বিগত ১৫ বছরের একাধিক হত্যাকাণ্ডের বিচার, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বিপ্লবী সরকার গঠনসহ একাধিক দাবিতে নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ। অনুষ্ঠানে ফারুক হাসানকে বিশেষ অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
ফারুক হাসান তার বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারব্যবস্থার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সংবিধান ছুড়ে দিয়ে আমরা বিপ্লবী সরকার করেছি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার চাইনি। এই বিপ্লব না হওয়ার পেছনে ৫ আগস্ট যারা সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছে, তাদের হাত আছে।
পৃথক আরেক পোস্টে খোমেনী ইহসান বলেন, ‘ফারুক হাসানের ওপর হামলাকারীদের সঙ্গে সারজিসের ছবি, জাতীয় নাগরিক কমিটির মিটিংয়ে হামলাকারীদের উপস্থিতির ছবিও ফেসবুকে আছে। তাই তাদের ছবি ও পরিচয় সবার কাছেই স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর হামলার নেপথ্য নায়ক সারজিসকে বাদ দিয়ে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদকে দোষারোপ করার নোংরা প্রচারণা টিকবে না। আমাদের কর্মসূচিতে হামলা হওয়ার পর উল্টা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের নোংরামি করা সব তরুণ নেতাই জব্দ হবে ইনশাআল্লাহ।’
ফারুক হাসানকে নিয়ে আরেকটি পোস্ট জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের এই নেতা বলেন, সে আমাদের পছন্দের মানুষ ও সজ্জন। তার ওপর আমাদের কারো হামলা করার প্রশ্নই আসে না। বরং আমাদের ওপর হামলা করতে এসে ফারুককে হামলা করেছে। খেয়াল করলে দেখবেন, হামলাকারীরা ফারুককে মেরেছে বর্তমান সরকার ভেঙে বিপ্লবী সরকার গঠনের কথা বলায়। আমাদের আজকের রূপরেখার মূল প্রস্তাব কিন্তু বর্তমান সরকার ভেঙে বিপ্লবী সরকার গঠনের বিষয়েই ছিল। তাই হামলাকারীর ফারুকের মুখে বিপ্লবী সরকারের কথা শুনেই তার ওপর ঝাপিয়ে পড়েছে।
একই পোস্টে সারজিসের প্রসঙ্গ টেনে খোমেনী বলেন, আমরা শহিদ পরিবারদের কাছে সারজিসদের মুখোশটা খুলে দিতে পেরেছি। খেয়াল করলে দেখবেন যে সব শহিদ মিডিয়ার ফোকাসে নাই, যাদের পরিবার গরিব অসহায়, তারাই আমাদের সমাবেশে এসেছিলেন। এই মানুষগুলো দিনের পর দিন ঘুরে সারজিসদের দেখা পেত না। এখন তারা আরেকটি প্লাটফর্ম পাওয়ায় শহিদদের নিয়ে ওদের ব্যবসা ধরে টান পড়েছে। শহিদরা আজ জাতীয় বিপ্লবী পরিষদে আসছে, কাল বিএনপিতে যাবে। শহিদরা অন্য জায়গায় সমাদৃত হলে সারজিসদের মনোপলি শেষ। সূত্র: যুগান্তর