a আজ ঋতুরাজ বসন্ত
ঢাকা শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আজ ঋতুরাজ বসন্ত


খোরশেদ আলম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৪ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ১১:৪৩
আজ ঋতুরাজ বসন্ত

ছবি: সংগৃহীত

আজ পহেলা ফাল্গুন। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। সেই ছয় ঋতুর এক ঋতু বসন্ত। আজ ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। আবহমান ধরে চলে আসছে বাংলার নৈসর্গিক সাজ সাজেএই প্রকৃতি। এসময় প্রকৃতি পালা-বদলের পর নীল আকাশে সোনা ঝরা আলোর মতোই সবার মাঝে বিরাজ করে হৃদয় আপ্লুত প্রাণভরা ভালোবাসা।

ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, আজ বসন্ত! ফাল্গুনের দমকা হাওয়ায় তাই প্রকৃতিতে দোল লেগেছে। আজ প্রকৃতি নতুনরূপে উদ্ভাসিত, সেজেছে ঋতুরাজরূপে। মৌমাছিদের গুঞ্জন, দক্ষিনা হাওয়া, কচি-কিশলয় ও কোকিলের গানে জেগে উঠেছে এক নতুন দিন।

আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় চলছে বসন্ত উৎসব। বাহাদুর শাহ পার্ক, ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানান আয়োজনের মাধ্যমে বসন্তকে বরণ করছে সব ধরণের মানুষ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সঙ্গীত, কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, নৃত্য, বসন্তের পোষাক প্রদর্শনীসহ নান্দনিক আয়োজন থাকছে রাজধানীসহ গ্রামাঞ্চলেও।

অপরদিকে আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসার উৎসবে শহরের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সারা গ্রাম-বাংলায়। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে বাংলা একাডেমির বইমেলা, বিভিন্ন উদ্যানগুলোতে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য ক্যাম্পাস জুড়ে মেতে উঠেছে সব ধরণের মানুষ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ঋতুরঙ্গময়ী রূপসী বাংলায় বৈশাখ: শহীদুল্লাহ আনসারী


ড. শহীদুল্লাহ আনসারী, কবি লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:৪২
ঋতুরঙ্গময়ী রূপসী বাংলায় বৈশাখ: শহীদুল্লাহ আনসারী

ছবি: সংগৃহীত

 

ঋতুমাঙ্গময়ী রূপসী বাংলায় বৈশাখ

                                                                                                           ড. শহীদুল্লাহ আনসারী

 

নিউজ ডিস্ক : evsjv‡`k GK FZzi½gqx iƒcmx †`k| hv‡K Kwe AvL¨v w`‡q‡Qb iƒcmx evsjv wn‡m‡e| FZzi½kvjvq Zvi Q›`gq| msMxZgq Abycg iƒc we¯Ívi| FZz AveZ©‡bi eY©wefvq evsjvi cÖK…wZ‡Z D™¢vwmZ n‡q I‡V AbšÍiƒc ˆewP‡Îi †Ljv, isZzwj‡Z †mŠ›`‡h©i QovQwo Avi wbZ¨ bZzb my‡ii Avevnb| AvwýK MwZ Avi evwl©K MwZi †gvnbxq †cÖiYvq c„w_ex Zvi AbšÍ m~h©-cwiµgvi c‡_ GwM‡q P‡j weivgnxb c_ Pjvq| m‡½ m‡½ myi-Q›` wgwj‡q P‡j FZzi ci FZzi AšÍnxb eY©vX¨ †kvfvhvÎv|

Abycg ˆewPÎgq FZzi‡½i Ggb g‡bvgy»Ki D¾¡j cÖKvk evsjv‡`k Qvov c„w_exi Ab¨ †Kvb †`‡k G‡ZvUv ¯úó n‡q dz‡U I‡V bv| Avi †mRb¨B iƒcgy» we¯§q cyjwKZ iƒcmx evsjvi Kwe Zuvi Av‡eM-w¯œ» D”Pvi‡Y evsjv‡`k‡K e‡j‡QbÑ Ôiƒcmx evsjvÕ| cÖwZwU FZz GLv‡b Avwef©yZ nq Zvi Avcb eY©vjx msMxZgq iƒcmylgvi Wvwj wb‡q| cÖK…wZ‡K mvRvq Zvi ˆewPΨ-weKwkZ ¯^Z‡š¿i Abycg iƒcm¾vq iƒc-Hk¦‡h© Kvbvq Kvbvq cwic~Y© n‡q I‡V G evsjvi c_-cÖvšÍi, Kvbb-KvšÍvi| Zvici †e‡R I‡V Zvi AkÖæ weayi we`v‡qi KiæY ivwMbx| †m Zvi iƒc we¯Ív‡ii ¯§„wZUzKz wbt‡k‡l gy‡Q wb‡q hvq Kv‡ji AbšÍ hvÎvc‡_| b„Z¨Pcj bUiv‡Ri nv‡Zi Q›`-wejwmZ iæ`ªv‡¶i gvjv Ny‡i P‡j| GK FZz hvq| Ab¨ FZz Av‡m| hewbKvi cZb nq| I‡V Av‡iK hewbKv| MÖx®§ †_‡K emšÍ FZzP‡µi G AveZ©b avivq emšÍ we`vq nq| iƒcmx evsjvi Awbe©Pbxq iƒc-mvM‡i Rv‡M Aciƒc †WD| Av‡m Avevi †mB MÖx®§|

FZzi½gqx GB iƒcmx evsjvi FZzbvqK MÖx®§| µz× `y‡Pv‡L cÖLi ewýR¡vjv wb‡q iæ`ª Avwe©fve G gnvZvc‡mi| ÔcÖLi ZcbZv‡cÕ Rxeb, avÎx-avwiÎxi e¶ we`xY© n‡q hvq| †PŠwPi n‡q hvq Z…òvZ© cÖvšÍi| †hb giæ imbvq avwiÎxi cÖvY-im †kvwlZ n‡q Kw¤úZ wkLvq DV‡Z _v‡K gnvk~‡b¨| G `vnb ¶‡Y ¯Íä n‡q hvq me c¶x-KvKjx| †Kv_vI cÖvY PÂjZv †bB| †bB k¨vgjZvi Avfvm| me©ÎB cwi`„ó nq a~mi giæf‚wgi a~a~ we¯Ívi| mgMÖ Rxe RM‡Z †b‡g Av‡m GK cÖvYnxb imnxb cvÛzi weeY©Zv| ZviB g‡a¨ GKw`b a~jvq a~mi iæ¶ DÇxb wc½j RUvRj wb‡q ÔZcwK¬ó Zß Zby fxlY fqvjÕ MÖx®§ †hb Aciv‡ý D`vË¡ K‡É WvK †`q Kvj ˆekvLx‡K| Av‡m ˆekvL| iæ`ª Zß ˆekv‡L †b‡P I‡V K¬všÍ ü`q-gb| iƒc mvM‡ii AbšÍ †XD‡qi †`v‡j Kwe-gb †b‡P I‡V| RvZxq Kwei K‡É †mRb¨B aŸwbZ nqÑ

Ô†n ˆfie, †n iæ`ª ˆekvL

a~jvq, a~mi iæ¶ DÇxb wc½j RUvRj,

ZcwK¬ó Zß| gyL Zzwj welvY fqvj

Kv‡i `vI WvK-

†n ˆfie, †n iæ`ª ˆekvL|Õ

Avengvb Drme gyLiZvq AmsL¨ gvbyl †b‡g Av‡m DËß c‡_| Rgv‡qZ nq eUZjvqÑmywekvj mykxZj e„¶QvqvZ‡j| e‡m †gjv| GKZviv nv‡Z evDj †M‡q I‡V wPi‡Pbv my‡i ü`q Kvov AvKl©‡Y| cÖK…wZ I gvbyl GK n‡q †hb HwZ‡n¨i Suvwc †Lv‡j, Db¥yL mvRm¾vq cmiv mvRvq nvRvi c‡Y¨i| Z_vMZ nvjLvZv D‡b¥vwPZ †nvK ev bv †nvK, AšÍZ bZzb Db¥v`bvq-DwÏcbvq Suvwc †Lv‡jb †`vKvbxiv|

Av‡mb †m me mswk¬óiv wbZ¨ hv‡`i Avbv‡Mvbv| cyb¨vnÕi g‡Zv Abyôvb gyLiZv _vK ev bv _vK| †QvU-eo me‡kÖwYi gvby‡l bexb ¯^cœZvwoZ fv‡jvevmvi AvKl©bgy» gb Avwj½b K‡i G‡K Aci‡K| ü`‡qi eÜb my`„p K‡ib ci¯úi ci¯ú‡ii mv‡_| HwZwn¨K evOvjx fvjevmvq Ges Drme gyLiZvq G‡`‡ki mnR mij gvbyl †g‡Z I‡V evOvwjcbvq| Kx Lv‡`¨, Kx e¨env‡i, Kx msMx‡Z-evK¨vjv‡c| mevB †hb GKcÖvY-GKvZ¥v| mwZ¨Kvi RvZxqZv‡ev‡a GKvKvi| G gayi Av‡ek‡K gvbyl †hgb cÖZ¨vkvfiv ey‡K †c‡Z Pvq| Avnevb Rvbvq D`vË K‡É-wek¦Kwe iex›`ªbv‡_i fvlvqÑ

ÔG‡mv †n ˆekvL, G‡mv G‡mv

Zvcm wbk¦vm ev‡q

gyg~l©y‡i `vI Dov‡q

eQ‡ii AveR©bv `~i n‡q hvK|Õ

wPi bZz‡bi G Avnevb evOvwj Rxe‡b GK gnvb wk¶v wb‡qB Avwe©f‚Z nq ejv hvq| mviv eQ‡ii ¯‘wcK…Z AveR©bv a~‡q gy‡Q w`‡q mevB Pvq Kvj‰ekvLxi `vc‡U a~‡jv gqjv D‡o hvIqv ¯^”Q cÖK…wZi g‡Zv wbg©j I ¯^”Q n‡q DV‡Z| me RivRxY© AveR©bvi gwjbZvq †dvUv‡Z Pvq cw¼jZvnxb ïå-my›`i dzj|

†mRb¨B eywS ˆPÎ`» wZwgi iRbxi ey¨n‡f` K‡i b‡ev`¨‡g aibxi cÎcy‡Ä Avwef©~Z nq ˆekvL| MÖx®§ I FZzP‡µi cÖ_g w`b cqjv ˆekvL|

wPi bZz‡bi w¯œ»Zv e‡q beRxe‡bi b„Z¨-msMx‡Z Avgv‡`i gbb ˆb¯^‡M© mgMÖ evsjvq gyLwiZ Avb›`‡gjvi AvnŸvb| RvwZ‡f` †bB, ag©‡f` †bB, Hk¦h©-ˆ`b¨ we‡f` †bB| mevB GKvKvi| eb¨v cøvweZ gnvRjivwki Awe‡”Q‡`i g‡Zv Hk¦‡h©i AvKl©‡Y Avgiv mevB GK n‡q hvB|

†hgb Avgiv GKK ¯^Ëvi Av‡eóbx‡Z AwaKvi Av`v‡q GK nB| Kuv‡a Kuva wgwj‡q Kwi msMÖvg| i³ †`B, AvZ¥vûwZ †`B, B¾Z †`B, †`B me©¯^| ZeyI i¶v Kwi RvZxq ¯^KxqZv| Avgiv fvlv-¯^vaxbZvmn me AwaKvi Av`v‡q †hgwb wb‡ew`Z nB, †mv”Pvi nB-Av‡m mdjZv|

GiciI †Kb †hb †kvlY, wbh©vZb, Zv‡e`vix, ¶gZvi `vcU Ab¨vq-AwePvi I Aïf kvm‡bi A‡±vcvm †_‡K gy³ n‡Z cviwQjvg bv Avgiv| Kvj ˆekvLxi Db¥v`bv w`‡q Avgiv Dc‡o †dj‡Z cviwQjvg bv Dbœqbavivi cÖwZeÜK Ackw³i wele„¶‡K| Avgv‡`i e¨_©Zv I Møvwb ay‡q gy‡Q cwi”Qbœ n‡Z cviwQjvg bv| Avi †m †e`bv-weayi cwiYwZi Kvi‡YB eywS ZßwK¬ó, `», weeY©, gwjbZv‡K `~i Kivi A`g¨ cÖZ¨vkvq Avgv‡`i †m eyKdvUv Kvbœv aŸwb wgwkÖZÑ

ÒAvjøvn †gN †`, cvwb †`

Qvqv †`‡i ZzB-

Avjøvn †gN †`Õ...Õi

AvKzwZ AvRI dzivqwb| †g‡Ni Avov‡j jywK‡q _vKv ¯^”Q e„wóavivq Avgiv cÖwZeQi wm³ n‡Z PvB ¯^”Q I my›`‡ii Kvgbvq|

e„wó¯œvZ cyZ cweÎ cwi‡e‡ki Rb¨ Avgv‡`i e¨w³ Rxeb †_‡K ïiæ K‡i RvZxq Rxe‡bi i‡Ü« i‡Ü« ¯^”QZvi my‡Kvgj myevZvm Avgv‡`i Kvg¨| eQ‡ii cÖ_g w`‡b Avgiv cÖZ¨vkv Kwi GKUv mykxj mgvR| Avi Zvi mydj ev¯Íevq‡bi Rb¨ PvB mevi cwiï×Zv| Avmyb bv-Av‡M wb‡R‡K w`‡qB †nvK ïf m~Pbv| RvZxq Kj¨v‡Yi Rb¨ cvV Kwi kc_evK¨| mdj Kwi FZzi½gqx Avgvi wcÖq Rb¥f‚wg iƒcmxevsjvi cqjv ˆekvL‡K|

 

                                  †jLK : Aa¨vcK, AvBbRxwe, wnmveweÁvbx, mvsevw`K, me¨mvPx †jLK I msMVK

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পোল্যান্ডের যুদ্ধবিমান ইউক্রেনে পাঠালে রাশিয়ার ধাক্কা সামলাবে কে?


খোরশেদ আলম, ‍মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৮ মার্চ, ২০২২, ০৮:৫৯
পোল্যান্ডের যুদ্ধবিমান ইউক্রেনে পাঠালে রাশিয়ার ধাক্কা সামলাবে কে?

ফাইল ছবি

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া এবং অভিযানের আজ ত্রয়োদশতম দিন। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরীসহ সামরিক স্থাপনা দখলে নিয়েছে রুশ সৈন্যরা। এতে করে দেশটির বিভিন্ন জায়গায় সামরিক-বেসামরিক হতাহত হয়েছে অনেকে।

এদিকে রাশিয়া দাবি করছে ইউক্রেনে তাদের সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয়। বরং বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ এড়াতে এই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। পুতিন আরও বলেন, ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করা, দেশটির নিরস্ত্রিকরণ ও ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি প্রতিহত করাই এই অভিযানের লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের শুরু থেকে ইউরোপ, ন্যাটোসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ইউক্রেন সামরিক সাহায্যের আবেদন করলেও তারা সেভাবে সহযোগিতা পায়নি। ন্যাটো, ইউরোপ, আমেকিাসহ প্রতিটি দেশ তাদের সৈন্যদের নিরাপদ অবস্থানে রেখে কৌশলে তারা ইউক্রেনকে জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যু্দ্ধে অংশগ্রহণ করবেনা।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সৈন্য, যুদ্ধ-বিমান, নো-ফ্লাই জোনসহ নানাবিধ সাহায্য চেয়ে বার বার বিফল হয়েছে। ইউরোপসহ, আমেকিার রাষ্ট্র প্রধানরা জানিয়ে দিয়েছেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে সৈন্য বা সামরিক বিমান পাঠালে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রূপ নিতে পারে বলে নিজেদের নিরাপদে রাখার চেষ্টা করেছে। ফ্রান্স, জার্মানসহ বেশ কয়েকটি দেশ আমেরিকার কূটনৈতিক চাল থেকে নিজেদের কৌশলগত স্বতন্ত্র অবস্থানে রাখার সর্বদায় চেষ্টা করে আসছে এবং তারা ঘন্টার পর ঘন্টা পুতিনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে নিজেদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন।

জেলেনস্কি বার বার ইউক্রেনের আকাশসীমা সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে আসছেন ন্যাটো ও আমেরিকার কাছে কিন্তু সেসব দেশ সেভাবে সাড়া দেয়নি। ইদানিং ইউক্রেনে পোল্যান্ডের যুদ্ধবিমান পাঠাতে বাইডেন প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। তাদের যুক্তি ইউক্রেনে পোল্যান্ডের যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে বিনিময়ে ওয়ারশতে ন্যাটোর বিমান সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

পোল্যান্ডে সোভিয়েত আমলের বিপুল সংখ্যক বিমান মজুদ আছে। আর ইউক্রেনের পাইলটরা এসব যুদ্ধবিমান ওড়াতে পারে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও এসব বিমান চেয়ে আসছেন। সূত্র: বিবিসি

পোল্যান্ড এখনও ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক চালে বলেছে, ইউক্রেনে বিমান পাঠানো হবে কি হবে না, সেটার সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার পোল্যান্ডেরই।

এদিকে বিশ্লেষকদের ধারণা, পোল্যান্ড এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে বসলে তা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ক্ষেপিয়ে তুলতে পারে এবং সীমান্তবর্তী দেশ দুটোর মধ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

অতি উৎসাহী মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষের বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগের শীর্ষ আইনপ্রণেতা সেনেটর বব মেন্ডেজ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, পোল্যান্ড যদি কিইভে বিমান পাঠায় সে ক্ষেত্রে তাদের খালি হয়ে যাওয়া বহর ওয়াশিংটন থেকে অত্যাধুনিক বিমান পাঠিয়ে পূরণ করতে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন কংগ্রেসের এসব সিদ্ধান্ত যদি মার্কিন সরকার মিত্র দেশগুলোকে নিয়ে গ্রহণ করে তাহলে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের আশংকা থেকেই যায়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত শুক্রবার আবারও যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাদের কাছে তার দেশের আকাশসীমায় ‘নৌ-ফ্লাই জোন’ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুরোধ জানান। এসব দেশ জেলেনস্কির বার বার অনুরোধ কিভাবে রক্ষা করবেন, ভবিষ্যতেই তা দেখার বিষয়।

অপরপক্ষে, রাশিয়ার মিত্র দেশগুলো এখনও নিশ্চুপ থাকলেও কখন তারা কি করে বসবে এই মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না। আমেরিকার সাথে ইরানের যে দফারফা তা অমীমাংসাই রয়ে গেছে। চীন, ইরান, উত্তর কোরিয়াসহ আমেরিকা বিরোধী দেশগুলো কখন কোথায় ইউক্রেনের ন্যায় নতুন সমস্যা সৃষ্টি করে তা হয়তোবা সময় বলে দেবে।

ইতিমধ্যে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, রাশিয়ার সাথে চীনের বন্ধুত্ব ‘পাথরের মতো শক্ত’। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দা করতে বা এটিকে আগ্রাসন বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে চীন। সেই সাথে পশ্চিমা দেশগুলোকে রাশিয়ার ‘বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগ’কে সম্মান জানাতে বলেছে দেশটি। ‘এক দিনে ৩ ফুট বরফ জমে না’ উল্লেখ করে ওয়াং ই বলেন, ‘ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণগুলো জটিল এবং রাতারাতি ঘটেনি।’

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি বলেন, ‘যে কোনো সংকটের সমাধান’ এর ‘মূল কারণের’ মধ্যে নিহিত। ইউক্রেন সংকটের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররাই দায়ী। ইউক্রেনের নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কারণে ‘ভুক্তভোগী’।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, ইউক্রেনকে বর্তমানের অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে, সেখানে বিপ্লব ঘটিয়ে এবং এক সরকারের পতন করে অন্য সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়ে ইউক্রেনকে এ পরিস্থিতিতে টেনে আনে ওয়াশিংটন। খবর আনাদোলুর।

খামেনি বলেন, ইউক্রেন সংকট থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু রয়েছে। তিনি বলেন, যদি ইউক্রেনের নাগরিকরা সরকারকে সমর্থন দিত তবে পরিস্থিতি ভিন্ন হতো। যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘মাফিয়া সাম্রাজ্য’, ইউক্রেন সে সাম্রাজ্যের নীতির কারণে ‘ভুক্তভোগীতে’ পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বেঁচেই আছে সংকট তৈরির মাধ্যমে। যদি যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা না বাড়ায় তবে তাদের অস্ত্র খাত বিকশিত হতে পারবে না।

উত্তর কোরিয়া ইউক্রেন সংকটের মূল কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে চিহ্নিত করেছে। গত রোববার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ইউক্রেন ইস্যুতে একটি ‘ভাষ্য’ পোস্ট করা হয়েছে। এতে জনৈক রি জি সংয়ের নামে লেখা ভাষ্যটিতে বলা হয়, এ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র।

শনিবার পোস্ট করা ভাষ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার নিরাপত্তাসংক্রান্ত বৈধ দাবিকে উপেক্ষা করে সামরিক আধিপত্যের চেষ্টা করেছে ওয়াশিংটন। এতে বলা হয়, ইউক্রেন সংকটের মূল কারণটিও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্ছৃঙ্খলতা ও স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যে নিহিত রয়েছে।

নর্থস সোসাইটি ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিটিকস স্টাডির গবেষক রি জি সংয়ের নামে প্রকাশ করা ভাষ্য ‘ডবল স্ট্যান্ডার্ড’ ভূমিকা বজায় রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে।

ভাষ্যে বলা হয়, শান্তি ও স্থিতিশীলতার নামে অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করেছে। অথচ তারাই আবার অন্য দেশগুলোর নেওয়া কোনো সংগত আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপের নিন্দা করে।

উল্লেখ্য, চীন, কোরিয়া ও ইরান প্রকারন্তরে রাশিয়ার পক্ষেই কথা বলার চেষ্টা করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ এর মিত্র দেশগুলোর কঠোর সমালোচনা করেছে। তাই এসব দেশগুলোর সীমান্তে বা বিভিন্ন দ্বীপ নিয়ে যে সমস্যাগুলো রয়েছে এবং সেসব জায়গায় যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ভূমিকা রয়েছে, তারা সুযোগ বুঝে সেখানে ঝামেলা পাকাতে পারে। আমেরিকা মিত্র দেশগুলোকে নিয়ে ইউক্রেন ইস্যুতে ব্যস্ত থাকায় রাশিয়ার মিত্রদেশগুলো সময়ে সহজেই তাদের কাংখিত উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারবে।

আর যুক্তরাষ্ট্র আক্রান্ত দেশগুলোর পাশে দাঁড়াতে গেলে ইউক্রেন যুদ্ধে বর্তমানে রাশিয়া বিরোধী যে শিবির তা অনেকটা ঢিলেঢালা হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পোল্যান্ডসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলো যারা রাশিয়াবিরোধী অবস্থান নিয়ে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও যুদ্ধ বিমান পাঠিয়ে রাশিয়াকে নাস্তানুবাদ করার চেষ্টা করছে, তাদের পরিণতিও যদি ইউক্রেনের ন্যায় হয় তবে সেই ধাক্কা সামলাবে কে?

 

লেখক: মোহা: খোরশেদ আলম, কলাম লেখক, ঢাকানিউজ২৪ ও মুক্তসংবাদ প্রতিদিন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ