a পেঁপে চাষ করে সফলতার মুখ দেখেন উচ্চ শিক্ষিত যুবক সোহেল রানা
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পেঁপে চাষ করে সফলতার মুখ দেখেন উচ্চ শিক্ষিত যুবক সোহেল রানা


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ০১ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ০৮:৪৮
পেঁপে চাষ করে সফলতার মুখ দেখেন উচ্চ শিক্ষিত যুবক সোহেল রানা

ফাইল ছবি

ঝিনাইদহ সদর পৌরসভার পবহাটি গ্রামের শিক্ষিত যুবক সোহেল রানা। আব্দুল খালেক ও আলেয়া বেগম দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার বড়। পিতার ৮ শতক জমির উপর বসতবাড়ি ছাড়া কিছুই ছিলো না। শহরের পবহাটি সিটি মোড়ে একটি মুদি দোকান আছে তাদের। সেই আয় দিয়ে ৭ সদস্য’র সংসার চালাতে হিমশিম খেতেন পিতা আব্দুল খালেক।

টানা পোড়েন সংসারে ২০০৮ সালে এসএসসি ও ২০১৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলেও অসচ্ছলতার কারণে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে বিএসএস কোর্স ও ২০১৮ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ কোর্স সম্পন্ন করেন।

পিতাকে সহযোগিতা করতে লেখাপড়ার পাশাপাশি ২০১২ সালে গ্রামের মাঠে ১০০ শতক জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন পেঁপে চাষ। ৬ মাসের মধ্যে পেতে শুরু করেন সফলতা। ৩ বছরে ভালো ফলন পান তিনি। কিন্তু টাকার জন্য আবাদ বৃদ্ধি করতে পারছিলেন না। ২০১৫ সালে কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে পুরোদমে শুরু করেন পেঁপের আবাদ। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কয়েক বছরে ভালো লাভ করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ৭৫০ শতক জমিতে পেঁপের আবাদ করছেন। উৎপাদিত পেঁপে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন কাচাবাজারে পাঠান তিনি। আবাদ করে যা লাভ হয়েছে তা দিয়ে করেছেন বাড়ি, বোনদের বিয়ে দিয়েছেন। এখন তিনি স্বাবলম্বী। বর্তমানে প্রতিবছর তিনি ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেন।

সোহেল রানা বলেন, ‘আমি এক সময় খুবই কষ্ট করেছি। অভাবের সংসারে ভালোমত লেখাপড়াও করতে পারিনি। তারপরও অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শেষ করেছি। এর মাঝেই পেঁপের আবাদ করি। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আজ আমি পেঁপে চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। শুধু চাকরির পেছনে না ঘুরে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে চাষাবাদ করলেও ভাগ্য ফেরানো সম্ভব।’

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম জানান, সোহেল রানা বিভিন্ন জাতের পেঁপে আবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাকে বিভিন্ন ভাবে আমরা সহযোগিতা করেছি। আগামীতেও যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সহযোগিতার জন্যে এগিয়ে আসেন, তাহলে প্রয়োজন অনুযায়ী সহযোগিতা করা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পায়ের যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২১, ০২:২৪
পায়ের যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে

ফাইল ছবি

কোলেস্টেরল মোমের মতো এক ধরনের ফ্যাটি পদার্থ। তৈরি হয় যকৃত (লিভার) থেকে। লাইপোপ্রোটিনের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে পড়ে কোলেস্টেরল। স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে হরমোন নিয়ন্ত্রণ এবং নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে এই কোলেস্টেরল।

কিন্তু শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে এবং ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে গেলে, তা কোলেস্টেরলের সঙ্গে মিশে ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ বা এলডিএল হয়ে যায়। তখনই কোলেস্টেরল শরীরের পক্ষে খুব ক্ষতিকর হয়ে যায়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যদি অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণ বেশি হয়ে যায় এবং কোনও রকম শরীরচর্চা করা না হয়, তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটা বেড়ে যেতে পারে।

কিভাবে জানা যাবে শরীরে এর মাত্রা বেড়েছে?
কোলেস্টেরলের মাত্রা যতক্ষণ না মারাত্মক বেড়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ শরীরে কোনও রকম লক্ষণই দেখা দেয় না। তাই নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করিয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রার ওপর নজর রাখা নেহায়েত প্রয়োজন। কোলেস্টেরল খুব বেড়ে গেলে পায়ের টেন্ডন লিগামেন্টগুলোতে প্রভাব পড়ে। পায়ের ধমনীগুলো সরু হয়ে গেলে পায়ের নিচের অংশ অনেকটা অক্সিজেন-সহ রক্ত পৌঁছতে পারে না। তাতে পা ভারী হয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে সহজেই। পায়ের অসম্ভব যন্ত্রণা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। উরু বা পায়ের হাঁটুর নীচে পিছনের দিকে ব্যথা হতে পারে। হাঁটার সময়েই এই ধরনের ব্যথা বাড়ে। অল্প দূরত্ব হাঁটলেও এই ব্যথা হতে পারে। তাই এই লক্ষণগুলো দেখলেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন।

ঘুমের মধ্যে পায়ের পাতায় বা আঙুলে হঠাৎ টান ধরা যাওয়াও উচ্চ কোলেস্টেরলের ইঙ্গিত বহন করে। রাতে এই ধরনের সমস্যা বেশি হয়। পা নিচের দিকে ঝুলিয়ে রাখলে রক্ত চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে। তাতে পায়ের টান ধরার যন্ত্রণা কমতে পারে।

রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না হলে পায়ের আঙুলের রঙেও অনেকক্ষেত্রে পরিবর্তন হতে পারে। পায়ের নখের রং বদলে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পাকিস্তান, ভারত ও আফগানিস্তানে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্প


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩, ০৮:৫৯
পাকিস্তান ভারত ও আফগানিস্তানে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প

সংগৃহীত ছবি

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান, ভারত ও আফগানিস্তান। এতে পাকিস্তানে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে কয়েক শতাধিক লোক। এছাড়া বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আফগানিস্তানে ক্ষয়ক্ষতি আরো বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা একনো নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভয়াবহ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬.৬।

মঙ্গলবার (২১ মার্চের) রাতের ভূমিকম্পটির উৎসস্থল ছিল হিন্দুকুশ পর্বতমালার মাটির ১৮০ কিলোমিটার গভীরে। পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই দাবি করা হয়েছে।

আফগানিস্তানের পাশাপাশি তাজিকিস্তানেও ভূমিকম্পের ‘প্রভাব’ পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পাকিস্তানে ভূপর্যবেক্ষণ সংস্থা। রাজধানী ইসলামাবাদসহ লাহোর, কোয়েটা, পেশোয়ারের মতো পাক শহরে বুধবার রাতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শহরের নাগরিকেরা।

এদিকে উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গাতেও ভূমিকম্প হয়। রাজধানী দিল্লি ও তার সংলগ্ন এলাকাসহ জম্মু-কাশ্মির, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন জেলাতেও কম্পন অনুভূত হয়। দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় কম্পন স্থায়ী হয়েছিল ৪০-৫০ সেকেন্ড।  বিশেজ্ঞদের মতে, পরবর্তীতে হতাহতের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে। সূত্র : আল জাজিরা।

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ