a
ছবি: সংগৃহীত
কাতারে মিশন হেক্সা মিশনে আজ রাত ১টায় লুসাইল স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে ব্রাজিল। আসরের প্রথম প্রতিপক্ষ হিসেবে নেইমাররা পাচ্ছে ইউরোপের দেশ সার্বিয়াকে। এছাড়া ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল, সুয়ারেজের উরুগুয়ের ম্যাচও রয়েছে আজ।
কাতার বিশ্বকাপে আজ চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এবং যা দেখা যাবে টিভির পর্দায়-
২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবল
সুইজারল্যান্ড–ক্যামেরুন
বিকেল ৪টা, বিটিভি, টি স্পোর্টস, গাজী টিভি
উরুগুয়ে–দক্ষিণ কোরিয়া
সন্ধ্যা ৭টা, বিটিভি, টি স্পোর্টস, গাজী টিভি
পর্তুগাল–ঘানা
রাত ১০টা, বিটিভি, টি স্পোর্টস, গাজী টিভি
ব্রাজিল–সার্বিয়া
রাত ১টা, বিটিভি, টি স্পোর্টস, গাজী টিভি
সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
টানা ৯ বছর শিরোপা জিততে থাকা জুভেন্টাস এর শিরোপায় এবার ভাগ বসালো ইন্টার মিলান। ইতালিয়ান লিগে গত ৯ বছর একাই আধিপত্য বিস্তার করে চলছিল জুভেন্তাস।
২০১১-১২ মৌসুমে যা শুরু করেছিলেন বর্তমান ইন্টারমিলান কোচ কন্তে। এবার সেই কন্তের দলের কাছেই শিরোপার ধারাবাহিকতা হাতছাড়া করলো জুভেন্টাস। দীর্ঘ ১১ বছর পর সিরি-এ লিগের শিরোপা জিতেছে ইন্টার মিলান।
গত রবিবার সাসুলোর বিপক্ষে আটালান্টা ১-১ গোলে ড্র করায় ইন্টারের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়। লিগে চার ম্যাচ এখনো বাকি আছে।
শনিবার সাসুলের বিপক্ষে আটালান্টা ম্যাচের পরই শিরোপা উৎসবের আমেজ শুরু করে ইন্টার সমর্থকরা। সাসুলোর বিপক্ষে আতালান্তা ম্যাচে না থেকেই ছিল তারা। খেলাটি ড্র হওয়ার পরই মিলানের রাস্তায় নেমে উৎসব করতে থাকেন ইন্টার মিলানের সমর্থকরা।
করোনাভাইরাসের সময়ও এই উৎসব দীর্ঘ ১১ বছরের অপেক্ষার অবসানের। ২০০৯-১০ মৌসুমে নাম্বার ওয়ান নামে পরিচিত হোসে মরিনহোর অধীনে সিরি-এ, কোপা ইতালিয়া এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতার পর নিজেদের হারিয়ে খুজছিল ইন্টার মিলান।
এমনকি কিছু মৌসুম চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও খেলার যোগ্যতা হয়নি তাদের। সে দলকে কন্তে দায়িত্ব নিয়েই পরিবর্তন করতে থাকেন। গত মৌসুমে শিরোপার স্বপ্ন উকি দিয়েও তা বাস্তবরুপ পায়নি কিন্তুএবার ঠিকই চার ম্যাচ হাতে রেখে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ইন্টার মিলান এ পর্যন্ত শিরোপা জিতেছে ১৯টি। তারা ছাড়িয়ে গেছে এসি মিলানের ১৮ ট্রফি জয়কে। ৩৬টি ট্রফি নিয়ে তালিকায় সবার ওপরে জুভেন্তাস।
ফাইল ছবি
উত্তম কুমার নায়ক তো নয়, ছিলেন তিনি মহানায়ক। সুদর্শন চেহারা আর অভিনয় নৈপুণ্যের মাধ্যমে জয় করেছিলেন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়। তাইতো যুগ যুগ পেরিয়েও এখনো তিনি সবার স্বপ্নের নায়ক হয়েই আছেন।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর উত্তম কুমারের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনটিতে তার সম্পর্কে একটি অজানা ঘটনা জানাতে চাই।
উত্তম কুমারের ক্যারিয়ারের শুরুটা মোটেও সুখকর ছিলোনা। বলা হতো ফ্লপ মাস্টার। টানা ৭টি ফ্লপ সিনেমার পর তার উত্থান হয়। এরপর রচিত হয় এক ইতিহাস। ষাটের দশকের শেষ ভাগে তার একের পর এক সিনেমা সফল হয়। সত্তরের দশকেই তিনি মহানায়ক খ্যাতি পেয়ে যান।
সত্তর দশকের শুরুতে কলকাতায় শুরু হয় নকশাল আন্দোলন। একদিন নিউ থিয়েটারস স্টুডিওর মেকআপ রুমে বসে ছিলেন উত্তম কুমার। তখনই কয়েকজন ব্যক্তি অস্ত্রসহ হানা দেয় সেখানে। তার কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে জোরালো হুমকি। মুহূর্তেই ভয়ে কুপোকাত উত্তম। প্রাণনাশের হুমকি দিয়েই তারা চলে যায়।
কিন্তু ওই ঘটনায় উত্তম কুমার এতোটাই ভয় পেয়েছিলেন যে, কলকাতা ছেড়েই পালিয়ে যান। দ্রুত নিজের চুল ছোট করে উঠে পড়েন মুম্বাইয়ের ট্রেনে। যাতে কেউ চিনতে না পারে। চলে যান মুম্বাই। সেখানে গিয়ে ওঠেন অভিনেতা অভি ভট্টাচার্যের বাড়িতে। মাস খানেক ওই বাড়িতে থাকার পর উত্তম যান অভিনেতা বিশ্বজিত্ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে।
উত্তম প্রায় ঠিক করে ফেলেছিলেন, আর কলকাতায় ফিরবেন না। একদিন তো বিশ্বজিতকে বলেই ফেলেন, ‘চল, তুই আর আমি মিলে এখান থেকেই বাংলা সিনেমা বানাব।’ অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বন্ধু-সহকর্মীদের আশ্বাসে ফিরে যান কলকাতায়।
১৯৮০ সালে উত্তম কুমার শুটিং করছিলেন ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ সিনেমার। শুটিং চলাকালীন স্ট্রোক করেন। তাকে ভেলভিউ ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৬ ঘণ্টা চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৪ জুলাই না ফেরার দেশে চলে যান উত্তম কুমার।