a
ফাইল ছবি
বর্তমান আধুনিক ফুটবলে ব্যবধান গড়ে দিতে পারা ফুটবলের আরেক নাম ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি কাপের ফাইনালে একাই ব্যবধান গড়ে দিলেন এই সুপারম্যান নিজে গোল করলেন ও করালেন। নিজের সাবেক ক্লাব মোনাকোকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এমবাপ্পের পিএসজি।
প্যারিসে বুধবার রাতে ২-০ গোলে জিতেছে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় মাউরো ইকার্দির গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান এমবাপে। ফরাসি কাপে পিএসজির এটি টানা দ্বিতীয় ও মোট চতুর্দশ শিরোপা।
পিএসজি পর সর্বোচ্চ ১০ বার এর শিরোপা জিতেছে মার্সেই।
তিন দশকের ধরে ফরাসি কাপের অপেক্ষার অবসান এবারও হলো না মোনাকোর। চোট ও নিষেধাজ্ঞার জন্য পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামতে পারেনি পিএসজি বস পচেত্তিনো। কার্ডের কারনে খেলতে পারেনি নেইমার জুনিয়র। তার অভাব স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিল মাঠর খেলায়।
ম্যাচে আকসেল দিসাসির মারাত্মক ভুলে ১৯তম মিনিটে ইকার্দির গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। চলতি মৌসুমে লিগ ওয়ানে পিএসজিকে দুইবার হারিয়েছিল মোনাকো। তাই তারা সেভাবে ভাবাতে পারেনি কেইলর নাভাসকে। লক্ষ্যে নেওয়া তাদের প্রতিটি শটই রুখে দেন এই গোলরক্ষক।
তবে বেশ কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করতে সংগ্রাম করতে হয়েছিল পিএসজিকেও। ৮০তম মিনিটে মনে হচ্ছিল দ্বিতীয় গোল নিশ্চিত পেয়েই যাচ্ছিল দলটি। বেশ দূর থেকে এমবাপের নেওয়া শট বারে লেগে ফিরত আসলে হতাশায় পড়ে যায় দর্শকরা।
পরের এক মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে সময় নেননি এই তরুণ তারকা। আনহেল ডি মারিয়ার ডিফেন্স পাস পেয়ে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি।
এবার সামনে ডাবল জেতার সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে পচেত্তিনোর দলের । অবশ্য লিগ ওয়ানে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে জিতলেও শিরোপা ধরে রাখার নিশ্চয়তা নেই তাদের। ৩৭ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লিল। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে পিএসজি। ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে মোনাকো।
ছবিঃ মারুফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
নিজস্ব প্রতিনিধি, সরিষাবাড়ি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তৃণমূল পর্যায়ে ছাত্র/ছাত্রীদের পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি গভীর আগ্রহ বাড়াতে ফুটবলসহ নানা খেলাধুলায় অংশগ্রহণ সুযোগ সৃষ্টি এবং অনেকে নিজেরাও সম্পৃক্ত হয়ে যুব সমাজকে নানা অপকর্ম থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত করার এক মহতি উদ্যোগ সারাদেশে চালিয়ে যাচ্ছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সরিষাবাড়ি উপজেলাধীন স্থল ইউনিটি স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা রংধনু স্পোর্টিং ক্লাব ও স্থল ইউনিটি স্পোর্টিং ক্লাবের মাঝে অনুষ্ঠিত হয়।
খেলাটি এলাকার যুবক, আবাল-বৃদ্ধসহ সকলের মন কাড়ে, কারণ খেলাটি গোলশুন্যভাবে শেষ হয়। সর্বশেষ, অত্র খেলাটি টাইব্রেকারে ২-০ গোলে স্থল ইউনিটি স্পোটিং ক্লাব, রংধনু স্পোটিং ক্লাবকে হারায়।
উক্ত খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মনিরুজ্জামান (মাছুম) সহ সভাপতি, ৪ নং আওনা ইউনিয়ন বিএনপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে জনাব ডাক্তার ইমরান মিয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, ৪ নং আওনা ইউনিয়ন।
অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন নাঈম তালুকদার, ডাক্তার রানা, ডাক্তার মেহেদী হাসান মারুফ, হাফেজ মারুফ তালুকদার, সাবেক ছাত্র নেতা আরিফুর রহমান রঞ্জু, ছাত্র নেতা সাব্বির হোসেন, ফয়সাল তরফদার, সোয়াদসহ এলাকার সর্বশ্রেণীর লোকজন। খেলার ধারাভাষ্যকার ছিলেন ইমরান, রেফারির দায়িত্ব পালন করেন শিহাব।
স্থল ইউনিটি স্পোটিং ক্লাবকে চ্যামপিয়ান কাপ (বিজয় দল) প্রদান করেন প্রধান অতিথি জনাব মনিরুজ্জামান মাছুম ও নাঈম তালুকদার। রংধনু স্পোটিং ক্লাবকে রানার্স আপ কাপ প্রদান করেন ডাক্তার ইমরান মিয়া, ডাক্তার রানা ও ডাক্তার মারুফ। খেলার ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন হাসান।
ফাইল ছবি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান সপ্তম আসরে নাজেহাল অবস্থা ভারতের। প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে ধরাশায়ী হয় বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলটি।
ভারতকে ১৫১ রানে আটকে দিয়ে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় পাকিস্তান। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে এই প্রথম ভারতের বিপক্ষে জয় পেল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ছন্নছাড়া ব্যাটিং ভারতের। কিউইদের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া ভারত ইনিংস থামায় ৭ উইকেটে ১১০ রানে।
১১১ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ৩৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পায় নিউজিল্যান্ড। দলের জয়ে ৩৫ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন ওপেনার ড্যারিল মিচেল। ৩১ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ৩৩ রান করে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
টানা দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে কঠোর সমালোচনা মুখে পড়েছে বিরাট কোহলিরা।
ভারতের বিপক্ষে টার্গেট তাড়া করতে নেমে দলীয় ২৪ রানে ফেরেন মার্টিন গাপটিল। তিনি জসপ্রিত বুমরাহর শিকার হওয়ার আগে ১৭ বলে করেন ২০ রান।
এরপর তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে ৫৪ বলে ৭২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান ড্যারিল মিচেল। ৩৫ বলে ৪৯ রান করেন।
এরপর ডেভন কনওয়েকে সঙ্গে নিয়ে ১৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয় নিশ্চিত করেন কেন উইলিয়ামসন।
রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে যায় ভারত। ট্রেন্ট বোল্টের গতির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপোনার ইশান কিশান।
সুরাইয়া কুমার যাদবের পরিবর্তে সুযোগ পেয়ে ওপেনিংয়ে নেমে মাত্র ৮ বলে ৪ রান করে ফেরেন ইশান। তার বিদায়ে ২.৫ ওভারে ১১ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
ইশান কিশান দলে ফেরায় ওপেনিং পজিশন ছাড়েন রোহিত শর্মা। তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমেই ইশান কিশানের মতো ট্রেন্ট বোল্টের বলে ক্যাচ তুলে দেন রোহিত শর্মাও। লংঅনে ফিল্ডিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এডাম মিলনির হাতে বলটি পড়ে। কিন্তু সহজ ক্যাচটি তার হাত ফসকে পড়ে যায়। শূন্য রানে লাইফ পান ভারতীয় এ তারকা ওপেনার।
৫.৫ ওভারে দলীয় ৩৫ রানে টিম সাউদির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুল। দলীয় ৪০ রানে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন শূন্য রানে ক্যাচ তুলে দেওয়া রোহিত শর্মা। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ১৪ রান করেন তিনি।
রোহিত আউট হওয়ার পর উইকেটে বেশি সময় স্থায়ী হতে পারেননি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ইস সৌদির বলে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ১৭ বলে মাত্র ৯ রান করার সুযোগ পান কোহলি।
দলীয় ৭০ রানে ফেরেন ঋষভ পন্থ। অ্যাডাম মিলনির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ১৯ বলে মাত্র ১২ রান করার সুযোগ পান তিনি।
এরপর ১৯তম ওভারে দলীয় ৯৪ রানে আউট হন হার্দিক পান্ডিয়া ও শার্দুল ঠাকুর। দলকে সম্মানজনক স্কোর উপহার দিতে শেষ দিকে চেষ্টা করে যান রবিন্দ্র জাদেজা। তিনি ১৯ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।