a
জান্নাতুল মাওয়া রুমা
প্রথমবারেই নিউইয়র্ক স্টেট বার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে অ্যাটর্নি অ্যাট ল’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেন জান্নাতুল মাওয়া রুমা। ওয়েস্টার্ন নিউ ইংল্যান্ড ইউনিভার্সিটি থেকে জেডি ডিগ্রি অর্জনকারী রুমা যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টসহ ৩৬টি স্টেটেই পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
রুমা ছাড়া বাংলাদেশি ও আমেরিকানদের মধ্য থেকে মাত্র ৯ জন এ যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
রুমা ২০১৪ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে (অ্যাডভোকেটশিপ) উত্তীর্ণ হন। রুমা চট্টগ্রাম জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনেরও সদস্য ছিলেন। পড়াশুনা করেছেন সাকের মোহাম্মদ চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহ উমরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, খুটাখালীর কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন, চট্টগ্রামের এনায়েতবাজার মহিলা কলেজ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে।
রুমা কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম ও মরহুম মনজুর আলম সওদাগরের ষষ্ঠ সন্তান। বর্তমানে তিনি আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্ধা।
ফাইল ছবি: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদি
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদি এখন ভালো থাকলেও নিজ হাতে লিখতে পারছেন না কিংবা কিছু টাইপ করতে পারছেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম দ্য নিউইয়র্কারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন রুশদি। বুকার পুরস্কারজয়ী এই লেখক গত বছরের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার শিকার হন।
নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে ১০ থেকে ১৫ বার ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর থেকে বেশ অসুস্থ ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর উপন্যাস প্রকাশ উপলক্ষে আবারও আলোচনায় এসেছেন। তবে রুশদি শারীরিক অবস্থার কারণে উপন্যাসের প্রচারকাজে নিজে অংশ নিচ্ছেন না।
রুশদি বলেন, ‘আমি এখন একা দাঁড়াতে পারি এবং হাঁটতে পারি। আমি যখন বলছি, আমি ভালো আছি, এর মধ্য দিয়ে আমি এটাই বলছি, আমার শরীরের বিভিন্ন অংশ প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। এটা ভয়ংকর হামলা ছিল।’ নিউইয়র্কের ওই হামলার পর থেকে বেশ ভয়ের মধ্যেও রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদি ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ১৯৮১ সালে ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ নামক বইয়ের জন্য বুকার পুরস্কার জেতেন তিনি। তবে ১৯৮৮ সালে তাঁর চতুর্থ বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর জন্য তাঁকে ৯ বছর লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল।
যুক্তরাজ্যে বসবাসকালে বেশির ভাগ সময় তাঁকে সরকারের সুরক্ষা নিয়ে থাকতে হয়েছে। ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশের পর তাঁর বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনে বিভিন্ন মহল। এটি প্রকাশের পর থেকে সালমান রুশদি হত্যার হুমকি পেয়ে আসছিলেন। বইটি প্রকাশের এক বছর পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি সালমান রুশদির মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেন। সেই সঙ্গে তাঁর মাথার দাম হিসেবে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। সূত্র: প্রথম আলো
ছবি: ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ
পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) দশম মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। আজ বুধবার সকালে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ২৯ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে হারুন অর রশিদকে র্যাবের ডিজি হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়।
হারুন অর রশিদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি গ্রামে। তিনি পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট) পদে কর্মরত ছিলেন।
১৯৯৫ সালে ১৫তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন হারুন অর রশিদ। তিনি পুলিশের বিভিন্ন পদে চাকরি করেছেন। পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি লজিস্টিক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে এমএসসি সম্পন্ন করেন। ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলবি এবং ২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
হারুন অর রশিদ ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি থাকাকালে ২০১৯-২০ অর্থবছরে শুদ্ধাচার পুরস্কার পান । তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদকেও (বিপিএম) ভূষিত হয়েছিলেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন