a
ফাইল ফটো
সাময়িক ভাবে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও অবৈধ অভিবাসীদের আটক করতে মালয়েশিয়া সরকার হঠাৎ অভিযান শুরু করায় দেশটিতে থাকা বাংলাদেশি কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বহু বাংলাদেশি গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। দেশটির রাজধানী শহর কুয়ালালামপুরের জালান ইম্বির নামক একটি নির্মাণস্থলে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ৩২৮ জন বিদেশিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন পুলিশ।
স্থানীয় সময় শনিবার (২০ মার্চ) ভোরে অভিযান চালিয়ে আটক করে দেশটির অভিবাসন পুলিশ।
আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশি ২০৪ জন, ইন্দোনেশিয়ান ১০৮ জন, মিয়ানমারের ৯ জন, ভারতের ৪ জন এবং অন্যান্য দেশের ৩ জন নাগরিক রয়েছে। তাদের সবার বয়স ২২ থেকে ৬৩ বছরের মধ্যে এবং বেশির ভাগই আশপাশের নির্মাণস্থলে কর্মরত ছিলেন।
দেশটির উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল মোহাম্মদ সাইদ জানান, আটকদের বেশির ভাগই আগে অবৈধ বসবাসের অভিযোগে ধরা পড়েন এবং অনেকেই এক কোম্পানির ভিসা দিয়ে অন্য কোম্পানিতে কাজ করছেন। এই বিষয়টি অবিলম্বে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
এ ছাড়াও যদি তদন্তে দেখা যায় যে বিদেশি শ্রমিকরা তাদের নথিতে নিবন্ধিত কাজের বিপরীতে বিভিন্ন খাতে কাজ করছে, তাহলে নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ফাইল ছবি
লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান তিউনিসিয়ার জারজিস এবং তাতাউইন শহরে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় প্রবাসীদের খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের কল্যাণে দূতাবাসের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
অনেকদিন ধরে লিবিয়া এবং তিউনিসিয়ার স্থল সীমান্ত এবং বিমান যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। দূতাবাসের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর লিবিয়া এবং তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামানের নেতৃত্বে দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল স্থলপথে তিউনিসিয়া সফর করেছেন।
সফরকালে দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অভিবাসন অধিদপ্তর, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং আইওএমসহ স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করে দেশটির বিভিন্ন শহরে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দেশে প্রত্যাবাসনসহ তাদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছেন বলে জানা যায়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সহিত শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান বরকত উল্
ডিএমপির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে এ বছর যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির এক প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও কেন্দ্রীয় নেতা কায়সার জামানসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বিএনপি নেতা বুলু বলেন, পুলিশ কোনো দলের নয়, তারা রাষ্ট্রের। অতীতে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন পুলিশের অনেক উন্নয়ন করেছে। তাই দল মতের ঊর্ধ্বে থেকে পুলিশ যেন রাষ্ট্রের হয়ে কাজ করে। সেই বার্তা দেওয়ার জন্যই ডিএমপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে যোগ দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, এত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও আমরা পুলিশের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চাই। আশা করি তারা সব সময় নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সবার সঙ্গে মানবিক আচরণ করবেন। আমরা দেশের প্রচলিত আইন মেনেই সবকিছু করতে চাই।
এদিন বেলা ৩টার দিকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ডিএমপির ৪৮তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানমালা। শোভাযাত্রায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সকল স্তরের পুলিশ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রায় যুক্ত থাকের ডিএমপির সুসজ্জিত অশ্বারোহী ও ব্যান্ড দল, ডগ স্কোয়াড, সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটসহ অন্যান্য ইউনিটের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ও আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাাহ আল-মামুনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীবর্গ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ যাবৎ গত ১৪ বছরে ডিএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এবারই প্রথম দাওয়াত কার্ড পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। সূত্র: কালের কন্ঠ