a রুশদির আঙুলে অনুভূতি না থাকায় নিজ হাতে লিখতে পারছেন না
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

রুশদির আঙুলে অনুভূতি না থাকায় নিজ হাতে লিখতে পারছেন না


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৭ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ০৮:৩২
রুশদির আঙুলে অনুভূতি না থাকায় নিজ হাতে লিখতে পারছেন না

ফাইল ছবি: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদি

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদি এখন ভালো থাকলেও নিজ হাতে লিখতে পারছেন না কিংবা কিছু টাইপ করতে পারছেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম দ্য নিউইয়র্কারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন রুশদি। বুকার পুরস্কারজয়ী এই লেখক গত বছরের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার শিকার হন।

নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে ১০ থেকে ১৫ বার ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর থেকে বেশ অসুস্থ ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর উপন্যাস প্রকাশ উপলক্ষে আবারও আলোচনায় এসেছেন। তবে রুশদি শারীরিক অবস্থার কারণে উপন্যাসের প্রচারকাজে নিজে অংশ নিচ্ছেন না।

রুশদি বলেন, ‘আমি এখন একা দাঁড়াতে পারি এবং হাঁটতে পারি। আমি যখন বলছি, আমি ভালো আছি, এর মধ্য দিয়ে আমি এটাই বলছি, আমার শরীরের বিভিন্ন অংশ প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। এটা ভয়ংকর হামলা ছিল।’ নিউইয়র্কের ওই হামলার পর থেকে বেশ ভয়ের মধ্যেও রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদি ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ১৯৮১ সালে ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ নামক বইয়ের জন্য বুকার পুরস্কার জেতেন তিনি। তবে ১৯৮৮ সালে তাঁর চতুর্থ বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর জন্য তাঁকে ৯ বছর লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল।

যুক্তরাজ্যে বসবাসকালে বেশির ভাগ সময় তাঁকে সরকারের সুরক্ষা নিয়ে থাকতে হয়েছে। ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশের পর তাঁর বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনে বিভিন্ন মহল। এটি প্রকাশের পর থেকে সালমান রুশদি হত্যার হুমকি পেয়ে আসছিলেন। বইটি প্রকাশের এক বছর পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি সালমান রুশদির মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেন। সেই সঙ্গে তাঁর মাথার দাম হিসেবে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। সূত্র: প্রথম আলো

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

বিতর্কিত উপন্যাসিক সালমান রুশদি লাইফ সাপোর্টে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শনিবার, ১৩ আগষ্ট, ২০২২, ১১:০৮
বিতর্কিত উপন্যাসিক সালমান রুশদি লাইফ সাপোর্টে

ফাইল ছবি : সালমান রুশদি

যুক্তরাষ্ট্রে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত বিতর্কিত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন তিনি। খবর আলজাজিরার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৫ বছর বয়সি ভারতীয় বংশোদ্ভুত বৃটিশ-অ্যামেরিকান লেখক সালমান রুশদির ওপর হামলার অভিযোগে আটক ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। ২৪ বছর বয়সী হাদি মাতার নিউ জার্সির বাসিন্দা। হামলাকারীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানানো হয়নি।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সালমান রুশদি ভেন্টিলেটরে আছেন। কথা বলতে পারছেন না এবং একটি চোখ হারাতে পারেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রুশদির এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি বলেন, খবর ভালো নয়। সালমান বেঁচে গেলেও, ইতিমধ্যে এক চোখ হারিয়েছেন সালমান। মারাত্মক জখম হয়েছে তার লিভার। ক্ষতিগ্রস্ত হাতের শিরাগুলো।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সাহিত্য বিষয়ক এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে হামলার শিকার হন তিনি। গলা ও তলপেটে উপর্যপুরি ছুরি মারা হয়েছে তাকে।

উল্লেখ্য, ৮০’র দশকে বিতর্কিত উপন্যাস ‘স্যাটানিক ভার্সেস’র জন্য মুসলিম বিশ্বে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। এমনকি, তাকে হত্যার জন্য ফতোয়া ও ৩ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করেছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ আর নেই


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ৩১ আগষ্ট, ২০২২, ১১:১৪
সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ আর নেই

ফাইল ছবি: মিখাইল গর্বাচেভ

সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ আর নেই। মঙ্গলবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

রুশ সংবাদ সংস্থার বরাতে বিবিসি ও রয়টার্স গর্বাচেভের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে। রাশিয়ার সেন্ট্রাল ক্লিনিকাল হাসপাতাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গুরুতর ও দীর্ঘকালীন অসুখে ভুগে মিখাইল গর্বাচেভ আজ মারা গেলেন।’

রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, গর্বাচেভের মৃত্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শোক জানিয়েছেন।

মিখাইল গর্বাচেভ বিশ্বে নন্দিত ও নিন্দিত দুটোই। এক সময়ের কমিউনিস্ট নেতা ছিলেন গর্বাচেভ। রাশিয়ায় দীর্ঘসময় ধরে চলা সমাজতন্ত্রের পতন হয়েছিল তার নেতৃত্বেই। ওই পতনের মধ্য দিয়ে বিশ্বে স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটে।

তাই সমাজতন্ত্রবাদীদের কাছে নিন্দিত গর্বাচেভ স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য অনেকের কাছে নন্দিত। অনেক রুশ গর্বাচেভকে ঘৃণা করেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরাশক্তি থেকে রাশিয়াকে দুর্দশাগ্রস্ত দেশের কাতারে নিয়ে আসার জন্য অনেক রুশ এখনও গর্বাচেভকে ক্ষমা করতে পারেন নাই।

সোভিয়েত পতনের পর নিজেও ক্ষমতা হারান গর্বাচেভ।  এর পর পশ্চিমা দেশগুলোতে বক্তৃতা দিয়েই সময় পার করেছেন। ১৯৯৯ সালে স্ত্রী রাইসা গর্বাচেভের মৃত্যুতে অনেকটাই ভেঙে পড়েন তিনি।

১৯৯৬ সালে পরিবর্তিত রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন গর্বাচেভ, তবে ভোট পেয়েছিলেন মাত্র ৫ শতাংশ।

রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক সময় কড়া সমালোচক ছিলেন গর্বাচেভ। তবে ২০১৪ সালে পুতিনের নির্দেশে যখন ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া, তখন তার পক্ষেই ছিলেন তিনি। গত বছর গর্বাচভের ৯০তম জন্মদিনে তাকে আবার প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন স্বয়ং পুতিন। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - প্রবাস-জীবন