a
আমির জুনায়েদ বাবুনগরী
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদিসহ ১৭ জন নেতার বিরুদ্ধে করা মামলা ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক’ উল্লেখ করে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ওপর পুলিশের সহযোগী হেলমেট পরা ও চাপাতি-রামদা হাতে একদল সন্ত্রাসী বিনা উসকানিতে আক্রমণ চালায়। পাশাপাশি পুলিশও মুসল্লিদের ওপর গুলি চালায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মুসল্লিরা আত্মরক্ষার্থে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, সেদিনের সংঘাতের ভিডিওগুলোতে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে কারা সহিংসতা উসকে দিয়েছিল। সারা দেশের মানুষ ওই ভিডিওগুলো দেখেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও সেদিনের ঘটনা স্থান পেয়েছিল। সেদিন হেফাজতে ইসলামের কোনো কর্মসূচি ছিল না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হেফাজতের ১৭ জন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, যারা বলেন জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেন নাই তারাই যুদ্ধাপরাধী। যারা বলে জিয়াউর রহমান গুলি করেন নাই তারাই যুদ্ধাপরাধী, তারাই স্বাধীনতাকে স্বীকার করে না। যদি স্বাধীনতাকে স্বীকার করতে হয় তাহলে জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করে হয় না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা যাদের ভোট চোরের সরকার বলি তারা আজ কয়েকদিন যাবৎ দলবদ্ধভাবে কিছু কথাবার্তা বলছেন। আমি বলবো ওরা (আওয়ামী লীগ) দীর্ঘ ১২ বছর কখনো পাপিয়া, কখনো পরীমনি একেক সময় একেকটা ইস্যু দাঁড় করায়। এখন আমাদের মনে হয় গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষ থেকে, জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে একটা ইস্যু দেওয়া দরকার। সেই ইস্যু হলো জনগণের দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এর বিকল্প কিছু নেই।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেন নাই, আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী তিনি যুদ্ধ করেছেন?। তিনি ৯ মাস না, ১০ মাস যুদ্ধ করেছেন। এই দশ মাসের ফসলই। তবুও দোয়া করি ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন। শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করি। আপনাকে তো দেখতে হবে আপনি কি কি করেছেন। মানুষকে অকারণে ব্যাথা দিলে কতটা ব্যাথা লাগে সেটা আপনার উপভোগ করা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, সংগ্রাম আন্দোলনে আমাদের ভূমিকা, আমরা জেল জুলুম অত্যাচারের শিকার, আমরা অনেক ত্যাগ শিকার করেছি, কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে যদি ব্যর্থ হই তাহলে সব কাজই কিন্তু বৃথা। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে তাড়ানো ছাড়া বিকল্প কোনো পথ আমাদের জন্য অবশিষ্ট নেই।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: কালের কন্ঠ
ফাইল ছবি
২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী যৌথভাবে জিতেছেন ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ান সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি। মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রচেষ্টার জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, যা গণতন্ত্র এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সাহসিকতার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নিজ নিজ দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তারা। একই সঙ্গে মারিয়া রেসা ও দিমিত্রি মুরতভ তাদের সেই সব পূর্বসূরীদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, যারা সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে গণতন্ত্র, শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।
গত বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। ১৯০১ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী শান্তিপ্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ১০১বার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ পুরস্কার পেয়েছেন ১৩৫ জন, যাদের মধ্যে ১০৭ জন ব্যক্তি ও ২৮টি প্রতিষ্ঠান আছে।