a
ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপ-সম্পাদক এসএম এহসান উল্লাহ ওরফে ধ্রুবর আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনায় বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দীন খানের ভূমিকাকে ‘দায়িত্বশীল’ ও প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন ঘটনা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা। ধ্রুবর আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনা নিয়ে ‘তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি দূর করতে’ শনিবার এক বিবৃতি দেয় তার সহপাঠীরা। এতে তারা নিম্নের মন্তব্যগুলো করেছেন।
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেছেন, ‘ঘটনার সাথে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় জুড়ে দিয়ে ধ্রুব কেন একজন শিক্ষকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছে - বিষয়টি তাদের কাছে পরিষ্কার নয়’। বিবৃতিতে ৫০ জন প্রত্যক্ষদর্শী ও ২৫ জন সমর্থনকারী শিক্ষার্থীর নাম ও স্বাক্ষর রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগ নেতা ধ্রুব ‘শ্রেণিকক্ষে অধ্যাপক তানজীমউদ্দীন খানের দ্বারা অপমানিত হওয়ার অভিযোগ’ এনে ফেসবুকে আত্মহত্যার ঘোষণা দেন। ফেসবুক পোস্টে অধ্যাপক তানজীমউদ্দীনকে পাঠানো একটি মেইলের স্ক্রিনশট যুক্ত করে দেন তিনি। নিজেকে ‘নিদোর্ষ’ দাবি করে তিনি লেখেন, ‘আপনি যতই অস্বীকার করেন আমি ছাত্রলীগ করি বলে আপনি এমন করেছেন’। এরপর থেকে কয়েক ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর তাকে বঙ্গবন্ধু হলের পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জানা যায়, সম্প্রতি এক নারী সহপাঠীর নামে ‘কুৎসা রটনা’ থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। ধ্রুব ওই সহপাঠীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখাত হন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঘটনার দিন ক্লাস শুরু হওয়ার আগে এহসান ধ্রুব স্বপ্রণোদিত হয়ে তানজীম স্যারের কাছে ব্যাচের একটা বিষয়ে অভিযোগ দেয়। যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে (কুৎসা রটনা) অভিযোগ সেই ঘটনায় তার কোনো সংশ্লিষ্টতাও নেই। ক্লাসের মাঝামাঝি সময়ে এহসান ধ্রুব ক্লাসরুমে প্রবেশ করে। ক্লাসের শেষের দিকে স্যার ধ্রুবকে দাঁড়াতে বলেন এবং তার রটানো গুজবের সূত্র সম্পর্কে জানতে চান। ধ্রুব কোনো ব্যক্তির নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং এর বদলে স্ক্রিনশট দেখানোর কথা বলে। তানজীম স্যার এরপরও নাম বলায় গুরুত্বারোপ করলে সে নাম বলতে ব্যর্থ হয়। তানজীম স্যার তখন সহপাঠীদের নামে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে নিষেধ করেন। এরপর এহসান ধ্রুব আকস্মিক ‘তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, আমিও তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছি’ (ইংরেজিতে) এই স্বীকারোক্তিমূলক বাক্যটি ব্যবহার করে যা শুনে ক্লাসের সবাই অবাক হই। তখন স্যার তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, একজনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার কারণে সেই ব্যক্তির সম্পর্কে কুৎসা রটানোর অধিকার তার নেই। এরপর স্যার ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলে ধ্রুব তার কাছে ক্ষমা চাইতে যায়। পরে স্যার তার সাথে নিচে নেমে তাকে ফুচকা খাওয়ান।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই পুরো ঘটনার সাথে এহসান ধ্রুবর রাজনৈতিক পরিচয়ের কোনোই যোগসূত্র ছিল না। তানজীম স্যার এই ঘটনা চলমান অবস্থায় ছাত্রলীগ কিংবা কোনোপ্রকার রাজনৈতিক পরিচয়ের দিকে বিন্দুমাত্র ইঙ্গিত না করলেও স্যারের নামে এই ধরণের কুৎসা রটানো কিংবা বিদ্বেষমূলক আচরণ সত্যিই দুঃখজনক। এই ঘটনায় অধ্যাপক তানজীমের ‘যে ভূমিকা পালন করার কথা, তিনি তাই-ই করেছেন’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে তারা বলেন, এহসান ধ্রুবর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার কার্যকারণ একান্তই ব্যক্তিগত। এই ঘটনায় অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খানের ভূমিকা অত্যন্ত দায়িত্বশীল ছিল এবং তা নির্দ্বিধায় প্রশংসার দাবিদার। একজন নারী শিক্ষার্থীকে হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করতে একজন সচেতন শিক্ষকের যে ভূমিকা পালন করার কথা, তিনি তাই করেছেন।’
এহসান ধ্রুবর ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক উসকানি সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক ও অমূলক উল্লেখ করে সকল রাজনৈতিক দল এবং শিক্ষার্থী মহলকে বিবৃতিতে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়। সূত্র: বিডিপ্রতিদিন
ফাইল ছবি
গত ৯ই আগস্ট, ২০২১ তারিখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট (আই.এম.এল)-র চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে উক্ত ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়াল আড্ডার মাধ্যমে দিবসটি উদযাপনের আয়োজন করে। কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে প্রায় দেড় বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দিবসটি ভার্চুয়ালি উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
জুম অ্যাপের মাধ্যমে রাত ৯ টায় মিটিং শুরু হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইন্সটিটিউটের পরিচালক এবং সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার মোন্তাসির হাসান, সাবেক পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকার, সহযোগী অধ্যাপক দেবাশিস বিশ্বাস, সহকারী অধ্যাপক মোঃ নিয়াজ আলমগীর, প্রভাষক রাবিতা রহমান এবং নতুন যুক্ত হওয়া তিনজন প্রভাষক যথাক্রমে সুরাইয়া আক্তার সুমনা, অর্পিতা হক ও বেঞ্জির এলাহী মুন্নি এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ। ক্ষনিকের জন্য আই.এম.এল এর সাবেক অধ্যাপক ও জবির বর্তমান ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ যুক্ত হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, "আই.এম.এল একটি আবেগের জায়গা। ৬০৫ নং রুম আমার অনেক স্মৃতি বিজড়িত একটি জায়গা।" তিনি ইন্সটিটিউটের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি কামনা করেছেন। শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থী সকলের প্রিয়মুখ তিনি। আই.এম.এল এর যাত্রা এবং বিভিন্ন সময় কীভাবে ইন্সটিটিউটের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন সে বিষয়ে স্মৃতিচারন করেন তিনি।
ভার্চুয়াল আড্ডায় আরো যুক্ত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও অর্থ হিসাব দপ্তরের পরিচালক ড. কাজী নাসির উদ্দিন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্বনামধন্য অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নিজেদের তৈরি গান, কবিতা এবং আই.এম.এল নিয়ে আবেগ-অনুভূতি ব্যক্ত করে অনেকেই। ক্ষনিকের জন্য সকলে ফিরে গিয়েছিল করোনা পূর্বকালীন আমেজে। দীর্ঘদিন পর একত্রিত হতে পেরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উভয়ই আনন্দিত।
উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালের ৯ই আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট (আই.এম.এল) যাত্রা শুরু করে। এরপর ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে চার বছর মেয়াদী ইংরেজি ভাষা বিষয়ের উপর বি.এ সম্মান চালু হয়। এখন পর্যন্ত তিনটি ব্যাচ চলমান আছে। এছাড়া আরবি, ফরাসি ও ইংরেজি ভাষার উপর ডিপ্লোমা এবং সার্টিফিকেট কোর্স চালু আছে। বর্তমানে ইন্সটিটিউটে মোট আটজন শিক্ষক এবং বি.এ সম্মান এ ১১৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতি বছর ৯ই আগস্ট শিক্ষার্থীরা আই.এম.এল ডে পালন করে যা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনন্য। ইন্সটিটিউটটি নতুন হলেও এখানকার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
ছবি: জামালপুরের পিঠালি ভোজ-২০২৫ এর অতিথিবৃন্দ
লিটন মিঞা, সিনিয়র রিপোর্টার, ইসলামপুর: আজ ৭ই ফেব্রুয়ারী, শুক্রবার পূর্ব বাসাবো, ঢাকায় প্রিন্স গার্ডেনে "জামালপুরের পিঠালি ভোজ-২০২৫" জাকজমকভাবে সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক এমপি সুলতান মাহমুদ বাবু, সাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ড. নিলোফার চৌধুরী মনি ও সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব এ এস এম আব্দুল হালিম।
পিঠালি ভোজ আয়োজনে সার্বিক কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকেন সবুজবাগ থানার ৫ নং ওয়ার্ডের বিএনপি’র সভাপতি ও পিঠালি উৎসব কমিটির সভাপতি মো: আশরাফুজ্জামান লিটন খান এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আমন ফেরদৌস।
জামালপুরের পিঠালি ভোজ আয়োজনে ঢাকাস্থ জামালপুরের প্রতিটি উপজেলার দলমত নির্বিশেষে সম্মানিত সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। পিঠালি ভোজ আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরুস্কার বিতরণ।