a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬ হাজার ৬৮৪ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ২,৬৩৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ১৯ হাজার ৮০৫ জন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৫,৫৬৭ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭৫৪ জন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ২৩৩টি। শনাক্তের হার ৯.৬৯ শতাংশ।
সংগৃহীত ছবি
বিশ্বব্যাপী তোলপাড় করা করোনাভাইরাসে ডেল্টা ধরন দেশে দেশে কেন লাফিয়ে বাড়ছে- তার কারণ অনুসন্ধান করে সিএনএন অনলাইন জানিয়েছে, এই ধরনটি মানুষের শরীরে ঢুকেই নিজের বহুসংখ্যক ‘কপি’ তৈরি করে ফেলে। ফলে এটি ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎগতি সঞ্চার করে।
গতকাল প্রকাশ করা প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেল্টা করোনার একটি উচ্চ সংক্রামক ধরন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, গত বছরের শেষদিকে যুক্তরাজ্যে প্রথম শনাক্ত হয় করোনার আলফা ধরন। এই ধরনকে অতি সংক্রামক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু আলফার চেয়ে ডেল্টা ৫৫ শতাংশ দ্রুত ছড়ায়। ২০২০ সালের শেষদিকে ভারতে প্রথম করোনার ডেল্টা ধরন শনাক্ত হয়। একে শুরুর দিকে করোনার ভারতীয় ধরন বলা হতো। পরে ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে এই ধরনের নতুন নাম দেওয়া হয় ‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট’। ধরনটির বৈজ্ঞানিক নাম (বি.১.৬১৭)।
গত মে মাসে করোনার ডেল্টা ধরনকে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ডব্লিউএইচও। ভারতে করোনার ডেল্টা ধরন শনাক্তের পর তা দ্রুত দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ভারতে করোনার ডেল্টা ধরন প্রাধান্যশীল হয়ে ওঠে। ডেল্টা ধরনের কারণেই ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সংক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দেশটি। এতে ভারতের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে। পরে করোনার ডেল্টা ধরন যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হয়।
এরপর একের পর এক দেশে ডেল্টা ধরন শনাক্ত হওয়ার খবর আসতে থাকে।ডব্লিউএইচও বলছে, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে করোনার ‘ডেল্টা’ ধরন শনাক্ত হয়েছে। ডব্লিউএইচও সতর্ক করে বলেছে, বিশ্বে ডেল্টার সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। ফলে করোনার এই ধরন অন্যসব ধরনকে দ্রুত ছাপিয়ে যেতে পারে। এভাবে শিগগিরই বিশ্বে ডেল্টা করোনার আধিপত্যশীল ধরন হয়ে উঠতে পারে।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডিন আশীষ ঝা বলেন, করোনা মহামারী শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের যত সংস্করণ শনাক্ত হয়েছে, তার মধ্যে ডেল্টা সবচেয়ে সংক্রামক। তিনি বলেন, ‘এটা (ডেল্টা) সত্যিই খুব সংক্রামক।’
যুক্তরাষ্ট্রে গত মার্চে প্রথম করোনার ডেল্টা ধরন শনাক্ত হয়। জুলাইয়ের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত রোগীদের অর্ধেকের বেশি ছিলেন ডেল্টায় সংক্রমিত। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানায়, এখন এই হার ৮৩-তে পৌঁছে গেছে। সিডিসির পরিচালক রচেল ওয়ালেনস্কি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনার ডেল্টার সংক্রমণ বৃদ্ধির এই হার নাটকীয়। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সব কটিতেই করোনার ডেল্টা ধরন পাওয়া গেছে। তাহলে প্রশ্ন জাগে, করোনার এই ধরন এত দ্রুত কীভাবে ছড়াচ্ছে?
একটি গবেষণা ইঙ্গিত দিয়েছে যে, করোনার অন্যসব ধরনের চেয়ে এই ডেল্টা ধরন মানুষের মধ্যে দ্রুতগতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে থাকতে পারে। কারণ, ধরনটি মানুষের শরীরে দ্রুত হারে নিজের অনেক ‘কপি’ করতে পারে।
চীনের বিজ্ঞানীরা ডেল্টায় সংক্রমিত রোগীদের নিয়ে গবেষণা করেছেন। এ ক্ষেত্রে তারা মহামারীর শুরুর দিকে আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে ডেল্টায় সংক্রমিত রোগীদের তুলনা করেছেন। তারা দেখতে পেয়েছেন যে, ডেল্টায় সংক্রমিত রোগীদের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি অনেক বেশি। তুলনামূলক বিচারে এই পরিমাণ ১ হাজার ২৬০ গুণ বেশি।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডিন আশীষ ঝা বলেন, যারা ডেল্টা ধরনে সংক্রমিত হচ্ছেন, তাদের শরীরে ভাইরাসের পরিমাণ অনেক বেশি। শরীরে ভাইরাস প্রবেশের খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এই সময়টা পাঁচ বা সাত মিনিট। তা ছাড়া এই ধরনে সংক্রমিত হতে আক্রান্ত ব্যক্তির ছয় ফুট দূরত্বের মধ্যেও কাউকে আসতে হবে না। যারা টিকা নেননি, তারাই বেশি ডেল্টায় সংক্রমিত হচ্ছেন বলে জানান আশীষ ঝা। তিনি আরও বলেন, ডেল্টা থেকে লোকজন সহজেই সংক্রমিত হচ্ছেন।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
ঢাকা প্রতিনিধি: আজ ঐতিহাসিক ১০ মে, এক উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো ইসলামপুর উপজেলা সমিতি, ঢাকা-এর বার্ষিক সাধারণ সভা ও অভিষেক অনুষ্ঠান ২০২৫। রাজধানীর একটি অভিজাত মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ইসলামপুরবাসীর মিলনমেলা পরিণত হয় অপূর্ব এক প্রাণবন্ত উৎসবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব নজরুল ইসলাম খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব জনাব এ এস এম আব্দুল হালিম। ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সুলতান মাহমুদ বাবু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সেক্রেটারি ড. ছামিউল হক ফারুকী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার জনাব এনামুল করিম, সরকারি তিতুমীর কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ছদরুদ্দীন আহমদ, জামালপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল প্রমুখ।
অতিথিবৃন্দ ইসলামপুর উপজেলা সমিতি ও ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন বিষয়ে পরামর্শ ও যে যার অবস্থান থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। বক্তারা সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা প্রদানের পর ঢাকাস্থ ইসলামপুর উপজেলা সমিতির নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. সাইফুল্লাহ বিন আনোয়ার এবং সাধারন সম্পাদক হয়েছেন কিষান ফার্মাভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ মামুন।
শনিবার (১০ মে, ২০২৫) বিকাল ৪টায় রাজধানীর সেগুন বাগিচার কচিকাঁচার মেলা অডিটরিয়ামে বিপুল সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতিতে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন কমিটির অভিষেক ও বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য প্রদানকালে জনাব আবদুল হালিম দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান দুরবস্থার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হলে প্রাথমিক স্তর থেকেই সংস্কার শুরু করতে হবে। এই স্তরের ভিত্তি যদি দুর্বল থাকে, তবে ভবিষ্যৎ শিক্ষার গুণগত মান ধরে রাখা সম্ভব নয়। গুণগত শিক্ষাই একটি জাতিকে আলোকিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, মানুষের জীবনে আদর্শ ও স্বপ্ন ছাড়া প্রকৃত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। একজন সৎ ও আদর্শবান মানুষ গড়ার জন্য তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত মার্টিন লুথার কিং, অহিংস মতবাদের পথিকৃৎ মহাত্মা গান্ধী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে। তিনি বলেন, “এই মহামানবদের জীবন ও আদর্শ থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে দেশ ও সমাজের কল্যাণে কাজ করতে হবে।”
তার বক্তব্যে ইসলামপুরবাসীর মধ্যে ঐক্য ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি ইসলামপুরে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের স্বপ্ন তুলে ধরেন, যা একদিন দেশের উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ড. শহিদ আতাহার হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন মোঃ মামুনুর রশিদ, মোঃ মিজানুর রহমান খান লোহানী সোহাগ এবং মেহের নিগার শিখা।