a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১৮৭ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৪ হাজার ১৭৫ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৬,৬৮৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৯০২ জন।
আজ শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১১৩৭১ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ৯২ হাজার ৬৯৮ জন।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩৩ হাজার ১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ।
ফাইল ছবি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যেসব জায়গায় সংক্রমণ বেশি সেসব জায়গায় আংশিক লকডাউনের জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।’
আজ সোমবার রাজধানীতে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের এক অনুষ্ঠানে জুমে কানেক্ট হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘সংক্রমণ রোধে সরকারকে আমরা পরামর্শের একটি বড় লিস্ট দিয়েছি। আমরা আশা করছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে দুই একদিনের মধ্যে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘সংক্রমণ আরও বাড়লে মৃত্যু বাড়বে, অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হাসপাতালের যত বেড আছে, দেওয়া হয়েছে। আমরা চাইলেই রাতারাতি আইসিইউয়ের ম্যানপাওয়ার বাড়াতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে পরামর্শ দিয়েছি কক্সবাজার, বান্দরবানের মতো বিনোদনমূলক জায়গাগুলো বন্ধ করা বা লোক সমাগম সীমিত করার। পিকনিক, বিয়ে, ওয়াজ বন্ধ বা সীমিত করা, রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া সীমিত করা ও যানবাহনে যাত্রী অর্ধেক নামিয়ে আনা বা সীমিত করা, অফিসে জনবল সীমিত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘এ মাসের টিকা আমরা পাইনি। প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কেনা টিকার বিষয়ে বলেছেন। কোভ্যাক্সের টিকা পেতে মে, জুন মাস সময় লাগবে। টিকা পেতে দেরি হলে, আমাদের অন্য প্ল্যান করতে হবে।’
ফাইল ছবি
করোনার সংক্রমণের কারণে দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শেষনজটের কবলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যা তাদের শিক্ষাজীবনকে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন করে তুলেছে অনেকে আছেন স্নাতক/স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের পরীক্ষার জন্য আটকে আছেন।
এসব বিষয় চিন্তা করে এবার অনলাইনে বিশেষ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালো ইউজিসি। আজ ৬ মে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসির এক সভায় আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে পরীক্ষা নেবে। তবে কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেবে, সেটা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনা করে ঠিক করবে।
এ বিষয়ে তাঁরা একটি গাইড লাইন তৈরি করেছেন। সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয় সেটা পরিপত্র আকারে জারি করলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠানো হবে।
এর আগে গতকাল ৫ মে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি কোন উন্নতি না হলে আগামী ১ জুলাই থেকে অনলাইনে সকল বর্ষের চূড়ান্ত (ফাইনাল) পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে। ইউজিসির কোনো কোনো সদস্য মনে করছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের ফলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও উৎসাহী হবে।