a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১৮৭ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৪ হাজার ১৭৫ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৬,৬৮৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৯০২ জন।
আজ শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১১৩৭১ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ৯২ হাজার ৬৯৮ জন।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩৩ হাজার ১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ।
ফাইল ছবি: চিয়া সিড তৈরির পদ্ধতি
নিউজ ডেস্ক: কোলেস্টেরল অস্বস্তিদায়ক এক প্রকার রোগ। অনেক ক্ষেত্রে এই রোগ ওষুধ খেয়েও বিশেষ একটা লাভ হয় না। ‘বিএমআই’ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, খারাপ কোলেস্টেরলের মতো অনেক রোগের প্রকোপ এড়িয়ে চলা যায়। তবে শারীরিক কসরত যদি করার সুযোগ না থাকে, তাহলে দ্রুত মেদ ঝরাতে এবং রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল আটকে দিতে পারে ছাতু এবং চিয়া সিড দিয়ে তৈরি একটি পানীয়।
১) শরীরের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া নির্ভর করে বিপাকহারের ওপর। বিপাক হার ভালো হলে শুধু ওজন ঝরানো নয়, তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অনেক রোগই বশে রাখা যায়।
২) চিয়া সিড থাকা ফাইবার, ধমনীর গায়ে খারাপ মেদ জমতে দেয় না। শুধু তাই নয়, রক্ত সঞ্চালনও ভালো রাখতেও সাহায্য করে।
নীচে চিয়া-ছাতুর শরবত বানানোর পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো-
১. প্রথমে এক গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে রাখুন।
২. ওই পানির মধ্যে এক টেবিল চামচ ছাতু মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে দিন সামান্য বিট লবণ এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস।
৩. প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই শরবত খান।
তাই নিয়মিত এই শরবত পান করে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, খারাপ কোলেস্টেরলের মতো অনেক রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
ফাইল ছবি
এসো হে নবীন, বাজিয়ে সুর-লহরী উল্লাসিত নব বীণ। আজ সুর মিলিয়ে গাইব জয়যাত্রার গান, আনন্দে আহ্লাদিত নবীন প্রাণ। দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর শেষে নবীনদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। নবীনদের আগমনে ক্যাম্পাসে সৃষ্টি হয়েছে এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
এবারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ৩৬ টি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন ২ হাজার ৭৬৫ জন শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) নবীন শিক্ষার্থীদের পৃথকভাবে বরণ করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব স্ব বিভাগ। নবীন শিক্ষার্থীদের পরিচয় পর্ব, শিক্ষার্থীদের অনুভূতি, শিক্ষকদের দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য, নবীনদের ফুল, বইসহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নবীনদের বরন করে নিয়েছে।
সকাল ১১টায় বিভিন্ন বিভাগে উদ্বোধনী ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনের নিজস্ব বাসগুলোয় ছিল নবীনদের উপচে পড়া ভিড়।
ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন নবীন শিক্ষার্থীরা। সবুজ ছায়ায় আচ্ছন্ন বিভিন্ন আড্ডা স্থান যেমন শান্ত চত্বর, শহীদ মিনার, কাঁঠাল তলা, টিএসসিসি, পোগোজ মাঠ ও বিভিন্ন ভবনের প্রাঙ্গণসহ পুরো ক্যাম্পাস নবীন-প্রবীণদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ব্যস্ত সবাই। চলছে বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তোলার ধুম।
এদিকে নারী দিবস উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য সংগ্রহের কার্যক্রম শুরূ করেছে।
প্রথম দিনের ক্লাসের অনুভূতি জানতে চাইলে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ফুয়াদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ক্লাস করতে পেরে অনকে ধন্য মনে করছি।”বিশ্ববিদ্যালয় যে জ্ঞান-ভান্ডার ও প্রেরণার বাতিঘর তা প্রথম দিনেই উপলদ্ধি করলাম।”
এ বিষয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থী তন্ময় মৃধা বলেন- স্কুল-কলেজের গন্ডি পেরিয়ে প্রায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই স্বপ্ন থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার। আমিও তার ব্যাতিক্রম নই। করোনা পরিস্থিতির কারনে কম বেশি সবারই স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছিল। তার উপর ভর্তিযুদ্ধের বাড়তি চাপ ছিল ভর্তিচ্ছুদের। সব মিলিয়ে নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হয়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের।
যেহেতু অটোপাশের তকমা লেগে গিয়েছে তাই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাই ছিল মেধার স্বাক্ষর রাখার উপযুক্ত মঞ্চ। তাই মহামারির মধ্যেও নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছি। গুচ্ছ অধিভুক্ত ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি এবং আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করি। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছিল আমার প্রথম পছন্দ। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপা ও মা-বাবার আশীর্বাদে আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ অর্জন করি। দেশের অন্যতম সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়ায় আমি এবং আমার পরিবারের সবাই ভীষণ আনন্দিত।
করোনা পরবর্তী সময়ের পর সশরীরে ক্লাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন পরিবেশ, আমার সহপাঠী, শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকা সবকিছু মিলিয়ে এক অন্যরকম অনুভুতি।