a
ফাইল ছবি
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৩০ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ৪১৯ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১১৮৭৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জন।
আজ রবিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬৩৬২ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫০১ জন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর পাশাপাশি শনাক্তেও নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৯ হাজার ৮৬০ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৪০ হাজার ১৫টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
দূষিত শহরের তালিকায় আজ মঙ্গলবার ঢাকার অবস্থান ৩ নম্বরে রয়েছে। এদিন সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ২১৫, যা বাতাসের মানকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে।
একই সময় বায়ুদূষণের তালিকায় ২৭২ ও ২৫৫ স্কোর নিয়ে ভারতের কলকাতা ও দিল্লি যথাক্রমে ১ ও ২ নম্বরে অবস্থানে রয়েছে।
৪, ৫ ও ৬ নম্বরে আছে যথাক্রমে পাকিস্তানের করাচি ও লাহোর এবং চীনের হ্যাংজৌ। ৭ নম্বরে আছে চীনের আরেকটি শহর উহান। এসব শহরের স্কোর যথাক্রমে ১৯১, ১৮৭, ১৮৫ ও ১৮২। ১৭৮ স্কোর নিয়ে ৮ নম্বরে আছে আফগানিস্তানের কাবুল। ৯ নম্বরে আছে ঘানার আক্রা শহর, স্কোর: ১৭৪। ১০ নম্বরে আছে ভারতের মুম্বাই, স্কোর: ১৭১। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল সোমবার (১৭ মে) রাতে এক বিবৃতিতে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ৫ ঘন্টা আটক ও পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর এবং সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে জিডি করার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবী করেছেন।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই ন্যাক্কার জনক ঘটনায় প্রমান হয়, বাংলাদেশে এখন স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং তথ্য পাবার কোনো সুযোগ নাই।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রোজিনা ইসলাম একজন সিনিয়র সাংবাদিক। তাঁর অনেক অনুসন্ধানী ও সাহসী রিপোর্টে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনেক বড় বড় দুর্নীতির খবর জনগণ জানতে পেরেছে। সেজন্য সরকার তাঁর ওপর নজরদারি করছিল বলেই মনে হয়।
পেশাগত কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে একা পেয়ে তাঁকে অন্যায়ভাবে দীর্ঘ ৫ ঘন্টা আটকে রেখে তার ওপর মানসিক নির্যাতন চালালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ ডেকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
এ ঘটনা তুচ্ছ বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, কর্তৃত্ববাদী শাসনে সাংবাদিক দলন এবং সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির সংবাদ প্রচারে অব্যাহত প্রতিবন্ধকতার একটি উদাহরণ। রোজিনা ইসলামের মতো সাহসী এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা যাতে আর সরকারের দুর্ণীতি, লুটপাট, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার সংবাদ প্রকাশ করতে না পারে, এ ঘটনার মাধ্যমে তাদেরকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে মনে হয়।
বিবৃতিতে মীর্জা ফখরুল রোজিনা ইসলামকে মুক্তি, তাঁর বিরুদ্ধে করা জিডি প্রত্যাহার ও তাঁকে আটকে রাখার সাথে জড়িতদের বিচার এবং সাংবাদিক দলন-নিপীড়ন বন্ধ করে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও সঠিক তথ্য পাবার অধিকারে সরকারী হস্তক্ষেপ বন্ধের জোর দাবী জানান।