a করোনায় (৪সেপ্টে.) মৃত্যু ৬১, শনাক্ত ১৭৪৩ এবং সুস্থ ৩৪২১
ঢাকা মঙ্গলবার, ৮ পৌষ ১৪৩২, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

করোনায় (৪সেপ্টে.) মৃত্যু ৬১, শনাক্ত ১৭৪৩ এবং সুস্থ ৩৪২১


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৫:৫৫
করোনাভাইরাসের সর্বশেষ তথ্য

করোনাভাইরাস

গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৬১ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬ হাজার ৪৯৩ জন।
 
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১,৭৪৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ১২ হাজার ২৬ জন।
 
আজ শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩,৪২১ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩ জন।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৫০টি। শনাক্তের হার ৯.৮২ শতাংশ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বাড়িতেই করোনা চিকিৎসার পরামর্শ: ভারতীয় ডাক্তার


স্বাস্থ্য ডেস্ক:
বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১১:১৯
বাড়িতেই করোনা চিকিৎসার পরামর্শ: ভারতীয় ডাক্তার

ফাইল ছবি

বাড়িতেই করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানেই ভয়ে ভেঙে পড়বেন না। এই রোগের চিকিৎসা হতে পারে বাড়িতে থেকেও। এজন্য সংক্রমণ সম্পর্কে কয়েকটি বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সর্বত্র। হাসপাতালে জায়গা পাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে আশঙ্কা। কিন্তু সংক্রমণের ভয়ের মাঝেও এসব কথা মাথায় রাখা জরুরি যে, বাড়িতে কিছু ব্যবস্থা রাখতে হবে। খেয়াল রাখা দরকার, কীভাবে বাড়িতেই নিজেদের চিকিৎসা অনেকটাই করা যায় হাসপাতালে না ভর্তি হয়েই। তবে প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে।

৮৫ শতাংশ করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা বাড়ি থেকে করা সম্ভব বলে মনে করেন ভারতীয় চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার। তার মতে, বাড়িতে কয়েকটি ওষুধ মজুত রাখতে হবে এই সময়ে। প্যারাসিটামল, মাল্টি ভিটামিন আর কাশিতে কাজে লাগার মতো অ্যান্টিহিস্টামিন। এছাড়াও, একটি অক্সিমিটার থাকা দরকার। পরিস্থিতি বুঝে মজুত রাখা যায় অক্সিজেন সিলিন্ডারও।

বিশেষভাবে জেনে রাখা দরকার, কোন উপসর্গ দেখা দেওয়া মানে কতটা গুরুতর হয়েছে সংক্রমণ। যেমন করোনা সংক্রমণের তিনটি মূল স্তর রয়েছে। প্রথম স্তরে ভাইরাস থাকে নাক-গলায়। এই স্তরে বিশেষ জ্বর বা বড় কোনও অসুবিধা দেখা দেয় না। সংক্রমণ গলা পর্যন্ত গেলে, কারও কারও গলা জ্বালা করে। এমন উপসর্গ দেখা দিলে ভিটামিন-সি খেতে হতে হবে জরুরীভিত্তিতে।

দ্বিতীয় স্তর হল, যখন কাশি বেশি হয়। জ্বরও বাড়ে এমন ক্ষেত্রে। শরীরের প্রতিরোধ শক্তি অনেকটাই নড়বড়ে হয়ে পড়ে সংক্রমণ এই স্তরে পৌঁছে গেলে। ফুসফুস আক্রান্ত হলে কাশি বাড়ে। শ্বাসের অসুবিধাও হতে পারে। তবে শ্বাসের সমস্যা বেশি না হলে এই স্তরেও আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কারণ নেই। বাড়িতেই বারবার গরম পানি করে ভাপ নেওয়া, গরম পানিতে ওষুধ ফেলে গার্গল করা এবং নিয়মিত ভিটামিন খাওয়া গেলে ধীরে ধীরে ভাল হয়ে উঠবে রোগী।

সংক্রমণের তৃতীয় স্তরের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বেশি মাত্রায় হতে পারে। ফুসফুসের পাশাপাশি হৃদ্‌যন্ত্র, বৃক্কেও ক্ষতি করতে পারে ভাইরাস। দুর্বলতাও মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছায়। এমন ক্ষেত্রে জরুরীভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

চিকিৎসকেদের মতে, করোনায় আক্রান্ত যারা হচ্ছেন, তাদের একটা বড় অংশের সংক্রমণের মাত্রা থাকছে মাঝারি স্তরে। এমন রোগীদের বারবার পানি খাওয়া প্রয়োজন। আর ভালভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। 

ডাক্তার অরুণাংশু বলেন, “করোনা এখন ঘরে ঘরে হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। যাদের উপসর্গ তেমন থাকছে না, তারা বাড়িতে আরামে চিকিৎসা করাই ভাল।”

যারা ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ কিংবা থাইরয়ডের ওষুধ নিয়মিত খান, তাদের নিজেদের নিয়মের বাইরে যাওয়া যাবে না। করোনার চিকিৎসা চলাকালীন সময়েও সেসব ওষুধ খেয়ে যেতে হবে।

যতক্ষণ না শ্বাসকষ্ট শুরু হচ্ছে, ততক্ষণ চিকিৎসা বাড়ি থেকে করাই ভাল বলে অভিমত চিকিৎসক সাত্যকি হালদারের। 

তবে তিনি বলেন, “নিজের ইচ্ছা মতো চিকিৎসা করা যাবে না। সংক্রমিত হয়েছেন টের পেলেই কোনও ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে যেতে হবে নিয়মিত। অক্সিজেনের মাত্রা কতটা থাকছে, তার খেয়াল রাখতে হবে নিয়ম করে।”

সংক্রমণের মাত্রা অল্প থেকে মাঝারি হলে সবচেয়ে জরুরি হল বিশ্রাম নেওয়া, এমনটিই মনে করেন সাত্যকিবাবু। তার পরামর্শ, বাড়িতে একজন সংক্রমিত হলেই সকলকে সাবধান হতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তির সেবা যেমন করতে হবে দূরত্ব বজায় রেখে, তেমন আর কারও যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য পরিবারের একজন করোনা আক্রান্ত হলেই বাকিদেরও আইসোলেশনে থাকতে হবে।

তবে ভারতীয় এই চিকিৎসকদের মতে, হঠাৎ শরীর বেশি খারাপ হলে কোথায় যেতে হবে, সে বিষয়ে আগে থেকে জেনে রাখা দরকার। হাতের কাছেই রাখতে হবে কাছের কোনও হাসপাতালের নম্বর বা যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম। সূত্র: আনন্দবাজার

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আজ পবিত্র আশুরা


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪, ১০:১৬
আজ পবিত্র আশুরা

 
আজ পবিত্র আশুরা। সৃষ্টির শুরু থেকে নানা ঘটনার কারণে হিজরি মহররম মাসের দশম দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ। সবশেষ ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে শেষ নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত হোসাইন (রা.)-এর শাহাদত বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের কাছে শোক ও ত্যাগের মহিমাময় অনুষজ্ঞ। এ দিনটিতে বিশ্বের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও নামাজ-রোজাসহ বিভিন্ন নফল ইবাদত করে থাকেন। শিয়া সম্প্রদায় তাজিয়া মিছিল বের করে থাকে। দিনটি উপলক্ষ্যে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজন করেছে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।

মহান আল্লাহতায়ালা এ দিনেই আরশ, কুরসি, লওহ, কলম, আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। এদিনেই আদমকে (আ.) সৃষ্টি করেছেন। পরে শয়তানের প্ররোচনায় তিনি ভুল করলে এদিনেই তাকে দুনিয়ায় পাঠিয়ে দেন, পরে তাকে তার প্রতিনিধি নির্বাচিত করেন। হজরত নূহ (আ.) ৯৫০ বছর ধরে তাওহিদের বাণী প্রচারের পর যখন সেই যুগের মানুষ আল্লাহর বিধিনিষেধ পালনে অস্বীকৃতি জানায়, তখন নেমে আসে আল্লাহর গজব। আশুরার দিনেই হজরত ইব্রাহিম (আ.) শত বিধিনিষেধের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছেন। মূসা (আ.)-এর নেতৃত্বে বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের কবল থেকে আল্লাহ রক্ষা করেন এদিনে।

হজরত হোসাইন (রা.) অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়ে সেদিন কারবালা প্রান্তরে পরিবার-পরিজন নিয়ে শাহাদতবরণ করেছিলেন। রাসুল (সা.)-এর প্রতিষ্ঠিত ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং তার সাহাবিদের প্রবর্তিত খেলাফতি শাসনব্যবস্থা অক্ষুণ্ন রাখার সংগ্রামে তিনি শাহাদতবরণ করেন। কারবালার ঘটনা আমাদের অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে আপসহীনভাবে সংগ্রাম করার কথাই শিক্ষা দেয়।

ইবাদত : হাদিসে এসেছে, আশুরার রোজা পালনে বিগত এক বছরের গুনাহ মাফ হয়। ইসলামের প্রাথমিক যুগে মহররম মাসে রোজা ফরজ ছিল। দ্বিতীয় হিজরি সনে রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার বিধান নাজিল হলে রোজা ঐচ্ছিক হিসাবে বিবেচিত হয়। আশুরা দিবসে রোজা পালনের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন। সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত-তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজানের পর সর্বাধিক উত্তম রোজা হলো মহররম মাসের রোজা। এই রোজা রাখার ফজিলত এক বছরের গুনাহ মাফ এবং আরও উল্লেখ আছে এই রোজার আগে বা পরে আরেকটি রোজা রাখা।  সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - স্বাস্থ্য