a
ফাইল ছবি । মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদের কথায় এখন ঘোড়াও হাসে, সবাই হাসে। নতুন পন্থায় তারা বিএনপিকে নিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। তাদের কথার উত্তর দিতে চাই না।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় বুধবার (৯ জুন) দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, তারা কী যে বলে নিজেরাও জানে না। তারা মিথ্যা বলে। অবলীলায় ঠান্ডা মাথায় হাছান মাহমুদরা বিএনপিকে নিয়ে মিথ্যা বলেন।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এমনি এমনি ক্ষমতায় কেউ এনে দেবে না। স্বৈরাচারী কায়দায় বর্তমান সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে আছে। নির্বাচনে তারা জয়ী হতে পারবে না জেনেই ক্ষমতাসীনরা নির্বাচন নির্বাচন খেলা করে নিজেরাই জয়ী হয়ে বসে আছে।
ফাইল ছবি
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণফোরাম নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু, সংবিধান প্রনয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ এবং গণফোরাম এর মূখপাত্র সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন- আমরা উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার সাথে লক্ষ্য করছি যে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উদযাপনকালে বর্তমানের অনির্বাচিত সরকার যেভাবে মোদির আগমন বিরোধী প্রতিবাদকে সরকারের মদদপুষ্ট তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ও রাষ্ট্রিয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা দমন ও নির্যাতন চালাচ্ছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
ছাত্রলীগ ও যুবলীগ যা করছে তা সন্ত্রাসের সামিল। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটাহাজারী ও বি-বাড়িয়ায় ৯ জন নিহত হয়েছে।
যেভাবে মসজিদে ও মাদ্রাসায় ঢুকে নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানো হচ্ছে তারও কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শত শত শিক্ষার্থী যারা বিভিন্ন হাসপাতালে ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। গত কয়েক দিনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। গত দু’দিনের ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী করছি।
সরকারী আমলা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে অনেক বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ, সুস্থ্য বিচার-বুদ্ধি সম্পন্ন ভাল লোক আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ ও দাবী জানাচ্ছি যে, আপনারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সংবিধানের সঠিক দিক নির্দেশনা অনুসরণ করুন যাতে আইনানুগ পদক্ষেপ ভুলুন্ঠিত না হয় এবং যাতে জাতীর মর্যাদা, মানবিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকার সুনিশ্চিত হয়।
ফাইল ছবি
ভারতে আটক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে দেশে ফিরেয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
আজ রবিবার দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে সীমান্ত পারি দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে আটক করে বিএসএফ। শনিবার বিএসএফের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘সোহেল রানা স্বীকার করেছেন অবৈধভাবে ভারত সীমান্ত পার হয়ে নেপালের কাঠমুণ্ড যেতে চেয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল তার।’
সোহেল রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার রাতে স্থানীয় মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। সোহেলের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত সব জিনিস মেখলিগঞ্জ পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়। এরপর শনিবার তাকে কোচবিহার জেলা আদালতে তোলা হলে, তার ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।