a
ফাইল ছবি
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মেডিক্যাল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস’ (ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় সহায়তা দেওয়া হবে ১৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এ অনুদান পাবে মেডিক্যাল অ্যান্ড পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (এমপিপিই) পণ্য সামগ্রী উৎপাদনে সক্ষম প্রতিষ্ঠানগুলো। এ অনুদানের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৫ লাখ মার্কিন ডলার এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্পটিতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করছে।
রবিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনলাইনে বলেন, মানুষের জীবন বাঁচাতে মেডিক্যাল পণ্যের এখন খুবই প্রয়োজন। বিশ্বব্যাংক এগিয়ে এসেছে মেডিক্যাল পণ্য উৎপাদনে সহযোগিতা দিতে। এ অনুদানের মাধ্যমে উৎসাহিত হবে মেডিক্যাল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
তিনি বলেন, কেবল স্থানীয় বাজারের জন্য নয়, বৈদেশিক বাজারে রফতানির সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তারাও সুবিধা পাবেন এ কর্মসূচির মাধ্যমে। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) উৎপাদন, ডায়াগনস্টিক ইক্যুইপমেন্ট ও ক্লিনিক্যাল ইকুইপমেন্ট তৈরিতে যুক্ত উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প এবং বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেমপন।
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৩৭ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২০ হাজার ১৬ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১৬,২৩০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১২ লাখ ১০ হাজার ৯৮২ জন।
আজ বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১৩৪৭০ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৪ জন।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৩ হাজার ৮৭৭টি। শনাক্তের হার ৩০.১২ শতাংশ।
ফাইল ছবি
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বরিশালে সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী তিন দিন টানা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে এক থেকে দুই ফুট পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
বরিশাল বিভাগীয় আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল গণমাধ্যমকে এ তথ্য করেন। তিনি বলেন, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বরিশালে ৮ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, অশনির প্রভাবে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে গতকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুরের পর থেকেই মেঘের আড়ালে চলে যায় সূর্য। অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোয় ১ নম্বর ও সমুদ্রবন্দরগুলোয় ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২২৯টি সাইক্লোন শেল্টার। সেখানে গবাদি পশু রাখারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের মাসুদ রানা রুবেল আরও জানান, গতকাল বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ৭.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের কোথাও কোথাও ভারী ও অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন