a রাজধানী ঢাকা ১১ এলাকায় ডেঙ্গুর রেড জোন ঘোষণা
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

রাজধানী ঢাকা ১১ এলাকায় ডেঙ্গুর রেড জোন ঘোষণা


স্বাস্থ্য ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩, ০৬:৫০
রাজধানী ঢাকা ১১ এলাকায় ডেঙ্গুর রেড জোন ঘোষণা

ফাইল ছবি

দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১১টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার।

দুই সিটি কর্পোরেশনে যে ১১টি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রয়েছে ৬টি এলাকা এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫টি এলাকা। 

এগুলো হলো- যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, মানিকনগর, সবুজবাগ, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও ও বাড্ডা।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেই নানান ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও ঢাকায় এডিস মশাবাহিত এ রোগের প্রকোপ স্মরণকালের ভয়াবহ পরিস্থিতি পার করছে। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৬৮৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৬৭ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতে, রাজধানীর ১৮ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সাধারণত কোনো এলাকার ৫ শতাংশ বাড়িতে লার্ভা পাওয়া গেলে ওই পরিস্থিতিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

যে সমস্ত খাবার প্রচুর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে


স্বাস্থ্য ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৭ আগষ্ট, ২০২১, ১১:১০
যে সমস্ত খাবার প্রচুর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

সংগৃহীত ছবি

সুস্থতার জন্য সুষম খাবার খাওয়াটা জরুরি। অনেকে না বুঝে কম-বেশি খাবার খেয়ে শরীরকে রোগাক্রান্ত করে ফেলেন। সঠিক ডায়েট চার্ট অনুসরণ না করলে শরীর ভেঙে যায় এবং বাসা বাধে নানা রোগ ব্যাধি। 

খাবার সঠিকভাবে না খেলে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। সঠিক ঘুম হয় না। অবসাদ ক্লান্তি বাসা বাধে শরীরে। মেজাজ হয়ে উঠে খিটখিটে। এর প্রভাব পড়ে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে।
 
শরীরে রোগ-ব্যাধি প্রতিরোধে সঠিক খাবার খাওয়াটা জরুরি। কিছু খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। 

আমরা যা-ই খাই তা যদি শোষিত হয়ে শরীরের ক্ষয় পূরণ, রোগ প্রতিরোধ ও বৃদ্ধি সাধন করে তবেই তাকে খাদ্য বলে। ১০ ধরনের খাদ্য রোগ প্রতিরোধের জন্য যুদ্ধ করে।  সে বিষয়ে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।

* রুটি, ময়দা, আটা, চাপাতির মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ বা পাইরিডক্সিন আছে যা কিনা প্লিহা ও থাইমাস গ্রন্থির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং অর্গান দুটি রোগ প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অন্য ‘বি’ ভিটামিনের গুরুত্বও আছে। ফলিক অ্যাসিড টাটকা শাকসবজিতে পাওয়া যায়, ভিটামিন বি-১২, লিভার, মাছ, ডিম, ছত্রাক ও শস্যজাতীয় খাদ্যের মধ্যে পাওয়া যায়।

* ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার যা কিনা লালশাক, পুঁইশাক টাটকা শাকসবজিতে পাওয়া যায়।  গাজর, আম, কলা, পেঁপে, রঙিন ফলেও ভিটামিন ‘এ’ বেশি থাকে। মলাঢেলা মাছ, গোশত, দুধ, ডিম তো আছেই। ভিটামিন ‘এ’-তে বিটাক্যারোটিন থাকে যা ত্বক ও মিউকাস মেমব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রোগ প্রতিরোধ তন্ত্রের তীব্রতা বৃদ্ধি করে। অ্যান্টিবডি রেসপন্ডে সাহায্য করে, রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে ইত্যাদি।

* ঘি, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবারে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। এছাড়া শাকসবজি, মাছ, চীনাবাদাম ও ডালের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, যা ম্যাগনেসিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইমিউন কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটা চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

* চকলেট, আইসক্রিম, কোকো গুঁড়া করে তৈরি মন্ড, গোশত, ডিমের কুসুম, শিলমাছ, সুগন্ধী মসলা ইত্যাদি চমৎকারভাবে আয়রনের সঙ্গে যুক্ত হয়। শ্বেত রক্তকণিকার সমতা রক্ষা করে যা ইমিউনিটি সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

* সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক খাদ্য, মুরগি, লিভার, ডিমের কুসুম শস্যজাতীয় খাবার, ইলিশ মাছ, মাছের তেল ইত্যাদির মধ্যে সেলেনিয়াম নামক খনিজ লবণ থাকে যা শ্বেত রক্তকণিকা ও ইমিউন এনজাইমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এ তেলের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এরা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

* ম্যাগনেসিয়াম- টাটকা শাকসবজি, চীনাবাদাম, সামুদ্রিক খাদ্য ও শস্যজাতীয় খাবারে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এগুলো ইমিউনিটির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।

* ভিটামিন ‘ই’ উদ্ভিদজাতীয় খাবার, শাকসবজি, ফলমূল, ভেষজ তেলে পাওয়া যায়। শিম, শিমের বিচি, চীনাবাদাম ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রাণিজ খাদ্য, ডিম, ডিমের কুসুম, মাছ, গোশত ও দুধে থাকে। এগুলো শ্বেত রক্তকণিকার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

* আমলকী, হরীতকী, পেঁপে, তরমুজ, বাঁধাকপি, টকজাতীয় লেবু, কমলালেবু, পেয়ারা ইত্যাদি।  এগুলো কেমিক্যাল মেসেঞ্জার নাম্বার বৃদ্ধি করে।  বিশেষ করে ইন্টারফেরন যা ইনফেকশনের প্রসেস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

* জিংক: সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, ডিম, গোশত, সেরিয়াল, চিংড়ি, সামুদ্রিক খাদ্যে জিংক প্রচুর পরিমাণে রয়েছে-যা ফ্রি রেডিক্যালের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জঞ্জাল কোষকে (জীবাণু ধ্বংস করার পর যেগুলোর মৃত্যু ঘটে) মুক্ত করতে সাহায্য করে। জিংক আমাদের শরীরের পুষ্টির জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। জিংক শরীরের বিভিন্ন এনজাইমের একটি অংশ এবং সব টিস্যুতেই এটি আছে।

* গ্রিন টি, শস্যজাতীয় খাদ্য, টাটকা শাকসবজি জাতীয় খাদ্যে মাংগানিজ থাকে, যা কিলার ইমিউন সেলের কার্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে

প্রতিদিন খেতে যা অভ্যাস করতে হবে: আঁশযুক্ত খাবার।  টাটকা সবুজ শাকসবজি। কলা, লেবু, টমেটো ও শসা। পেঁয়াজ, রসুন, কালিজিরা। সামুদ্রিক মাছ। তথ্যসূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ০৫ এপ্রিল, ২০২২, ০৪:০৮
মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

ফাইল ছবি

সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর মহাখালীতে পুরাতন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য ৪ হাজার ২৩০ জন ভর্তিচ্ছু নির্বাচিত হন। মােট ৭৯ হাজার ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাসের হার ৫৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। সরকারি মেডিকেলে ভর্তির যোগ্যতায় মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় বেশি এগিয়ে আছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোশিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান।

মেডিক্যাল ভর্তি ফলাফল যেভাবে জানা যাবে:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট https://result.dghs.gov.bd/mbbs ব্রাউজ করে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মেধাতালিকার পিডিএফ কপি সংগ্রহ করা যাবে। মেডিক্যাল ভর্তি ফলাফল প্রকাশের পর ভর্তি আবেদনে দেওয়া মোবাইল নম্বরে এসএমএস এর মাধ্যমে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

২০২২ সালের মেডিক্যাল ভর্তিতে সারাদেশে ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে একযোগে ১ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে ১১টা ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এবার ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪০ জন অংশগ্রহণ করে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশী। বরাবরে মত এবারও ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। এমবিবিএস পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০। পাসকৃতদের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - স্বাস্থ্য