a
ফাইল ছবি: ম্যাথিউ মিলার
বাংলাদেশে যাঁরা দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে।
গতকাল মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই কথা বলে না।
ব্রিফিংয়ে মিলারের কাছে একজন জানতে চান, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী সমন্বয়কারী রিচার্ড নেফিউ বাংলাদেশে তাঁর সফর মাত্র শেষ করেছেন। সফরকালে তিনি দেশটির বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বাংলাদেশে তাঁর সফরের সময়কালে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের অর্থ পাচার নিয়ে একটি বোমা ফাটানোর মতো প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তিনি (এস আলম) বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের একজন সহযোগী।
তিনি (এস আলম) এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। বিদেশে একটি ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তিনি। ব্যাপক দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়ে স্টেটওয়াচ ডটনেট ও ওসিসিআরপি একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠককালে রিচার্ড নেফিউ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাকে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তাঁর প্রশ্ন হলো, বিশেষ করে যাঁরা দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কি নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায়?
জবাবে মিলার বলেন, ‘আমি এর আগে অন্য একটি দেশের বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে যেমনটা বলেছি, নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে বিষয়টি নিয়ে আমরা কখনোই কথা বলি না। সাধারণভাবে বলতে গেলে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি হাতিয়ার হতে পারে নিষেধাজ্ঞা। আমাদের আরও কিছু হাতিয়ার রয়েছে। যেমন সম্পদ জব্দ করা। অংশীদার দেশগুলোকে তথ্য দেওয়া, যাতে তারা মামলা করতে পারে।’
একই প্রশ্নের উত্তরে মিলার বলেন, দুর্নীতিবাজদের নির্মূলে ন্যায়সংগত ও নিরপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাঁরা বাংলাদেশকে উৎসাহিত করেন।
ব্রিফিংয়ে আরেক প্রশ্নে বলা হয়, বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আজ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ হচ্ছে। এ বিষয়ে মুখপাত্রের কোনো মন্তব্য আছে?
জবাবে মিলার বলেন, এখান থেকে তিনি অনেকবার স্পষ্ট করেছেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। তাঁরা বিষয়টি প্রকাশ্যে স্পষ্ট করেছেন। তাঁরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি অব্যাহত থাকবে জানান মিলার। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ফটো: মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
দেশে আবারো করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাত আটটার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন সকল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধের আহবান জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার ( ২৪ মার্চ) দুপুরে নগরীর গোপীবাগস্থ বাংলাদেশ বয়েজ ক্লাব মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে মেয়র তাপস এ আহ্বান জানান।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘যেহেতু করোনা মহামারিতে আবার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই রাত আটটার মধ্যে অবশ্যই সকল দোকানপাট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেবেন। আমরা চাই, আটটার মধ্যে সব বন্ধ হলে সংক্রমণও কমে আসবে এবং আমরা ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনপূর্বক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারব।’
ফাইল ছবি
রাশিয়া তার পরমাণু অস্ত্রগুলোকে বেলারুশ সীমান্তে ন্যাটোর নাকের ডগায় স্থাপন করতে যাচ্ছে। বেলারুশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বরিস গ্রিজলভ রোববার রাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর আলজাজিরা ও রয়টার্সের।
তিনি আরও জানান, এ কাজে পুরোপুরি প্রস্তুত রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র ও ন্যাটো সীমান্তবর্তী দেশ বেলারুশ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই দুই প্রতিবেশী আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ‘ইউনিয়ন স্টেট’-এর অংশ এবং আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে আলোচনা চালিয়ে আসছে।
এছাড়া গত বছর রাশিয়াকে ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর জন্য বেলারুশিয়ান অঞ্চল ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার পর এই প্রক্রিয়া আরও সুদৃঢ় হয়।
বেলারুশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বরিস গ্রিজলভ বেলারুশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রগুলো ‘আমাদের ইউনিয়ন স্টেটের পশ্চিম সীমান্তে স্থানান্তরিত করা হবে এবং এগুলো এ অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে দাবী করেন। সূত্র: যুগান্তর