a
সংগৃহীত ছবি
বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ হতে যাচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুন)। এ গ্রহণ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৭ মিনিটে। গ্রহণের পর এটি সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছবে বিকেল ৪টা ৩৬ মিনিটে। যা শেষ হবে সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে এ সূর্যগ্রহণ তিন মিনিট ৫১ সেকেন্ড ধরে দেখা যাবে। এ সময় সূর্যের প্রায় ৯৪.৩ শতাংশ অন্ধকারে ঢাকা পড়বে। কেবল একটি বলয় দৃশ্যমান থাকবে গ্রহণের সময়। যাকে বলে 'রিং অব ফায়ার'ও বলা হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সূর্যগ্রহণের ফলে আকাশের কোলে সৌন্দর্য বিচ্ছুরিত হবে।
রাশিয়া, কানাডা, গ্রিনল্যান্ড ও উত্তর মেরু থেকে এ আগুনের বলয় দেখা যাবে। তবে গ্রহণের চূড়ান্ত অবস্থা প্রত্যক্ষ করা যাবে গ্রিনল্যান্ড থেকে। এছাড়া ইউরোপ ও এশিয়ার উত্তরাংশ থেকেও সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
এ সূর্যগ্রহণের বিষয়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, আজকের সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে কানাডা, গ্রিনল্যান্ড ও রাশিয়া থেকে। গ্রহণের কক্ষপথ কানাডার উত্তর অন্টারিও এবং সুপিরিয়র হ্রদের উত্তর দিয়ে পার করবে। কানাডায় এই গ্রহণ তিন মিনিট স্থায়ী হবে। তবে ভারতে সূর্যাস্তের আগে অরুণাচল প্রদেশ ও লাদাখের কিছু অংশে মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য এই গ্রহণ দেখা যাবে।
নাসা আরো জানায়, বিকেল ৫টা ৫২ মিনিট নাগাদ অরুণাচলের দিবাং অভয়ারণ্য অঞ্চল এলাকা থেকে এই সূর্যগ্রহণের সামান্য একটা অংশ দেখতে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি, লাদাখে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ। এছাড়া ভারতের আর কোনো জায়গা থেকেই দেখা যাবে না এই গ্রহণ।
ফাইল ছবি: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান মন্তব্য করেছেন জিনগত পরিবর্তনের কারণে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে তিনি সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
অপরদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যেসব জায়গায় সংক্রমণ বেশি সেসব জায়গায় আংশিক লকডাউনের জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।’
এদিকে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, মহামারি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ঘোষিত ১৮ দফা নির্দেশনা আজ সোমবার থেকে কার্যকর হবে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আজ ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সরকারের এ নির্দেশনা পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া না পর্যন্ত তা ২ সপ্তাহ বলবৎ থাকবে।
ফাইল ছবি
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় সম্মেলন পবিত্র হজের মূলপর্ব শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে আরাফাতের ময়দান সংলগ্ন মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা শুরু হয়।
এ বছর হজে খুতবা দিচ্ছেন সৌদি আরবের বিশিষ্ট আলেম, মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. বান্দার বিন আবদুল আজিজ বালিলা। তিনি সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদ এবং গবেষণা-মুফতি বোর্ডের সদস্য।
খুতবার শুরুতে তিনি আল্লাহতায়ালার প্রশংসা, রাসুলুল্লাহর (সা.) ওপর দরুদ পাঠ করেন। উপস্থিত হাজীদের সুস্থতা কামনা করেন। তাদের জন্য দোয়া করেন।
খুতবায় রাসূলের (সা.) একটি হাদিস পড়েন, যার মূলকথা হলো- কোনো মুসলমানের যদি সক্ষমতা অর্জন হয়, তাহলে জীবনে একবার হলেও তাকে অবশ্যই হজ করতে হবে।
শায়খ শায়খ ড. বান্দার বালিলা বলেন, তাওহিদ ও খতমে নবুওয়তের সাক্ষী ইসলামের মৌলিক রোকন। এছাড়াও নামাজ ও জাকাত ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। জাকাতের মাধ্যমে গরিব অসহায়দের ব্যাপক কল্যাণ সাধিত হয়।
চলতি বছরও পবিত্র হজের আরবি খুতবা অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষায়ও অনুবাদ করা হচ্ছে।
বাংলাসহ অন্য যে ভাষায় সম্প্রচার হবে হজের খুতবা তা হলো- ইংরেজি, ফ্রেন্স, তুর্কি, মালাইউ, চায়নিজ, উর্দু, ফার্সি, রাশিয়ান ও হাউসা।
হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি বছর আরবি জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফাত ময়দানে হজের খুতবা অনুষ্ঠিত হয়। এই আরাফাতের ময়দানেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন।
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এবারও ‘সীমিত আকারে’ হজ্ব পালনের ব্যবস্থা করেছে সৌদি আরব।
ভিডিং লিংকঃ youtube.com/embed/r3MkrHUjrkE