a
ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন কমিশনের কাছে সংরক্ষিত ৪০ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ত্রুটি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান। ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমগুলো মেরামতের জন্য বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হচ্ছে বলে গনমাধ্যমকে জানান।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে ইভিএম নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রাকিবুল হাসান বলেন, ‘যাচাই-বাছাই করে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ইভিএমে ত্রুটি পেয়েছি। ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমগুলো মেরামতের জন্য বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হচ্ছে। আর ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম ভোটের জন্য প্রস্তুত রাখা আছে।’
তিনি জানান, অর্থ সংকটে নতুন ইভিএম কেনার প্রকল্প অনুমোদন হয়নি। ফলে মজুত থাকা ইভিএমের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে। কিন্তু যে পরিমাণ ইভিএম মজুত আছে, তার কতগুলো এখন ব্যবহারযোগ্য, আর কতগুলো মেরামত করতে হবে, সে হিসাব আমরা করেছি।’
প্রকল্প পরিচালক জানান, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে মজুত থাকা ৭০ হাজার এবং অন্যান্য গোডাউনে থাকা ৪০ হাজারসহ মোট এক লাখ ১০ হাজার ইভিএম এখন ভোটের জন্য সচল রয়েছে। বিভিন্ন সময় ভোটের পর সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করাসহ অযত্ন ও অবহেলায় ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমগুলো অকেজো হয়ে গেছে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ২০১৮ সালে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় লাখ ইভিএম কিনেছিল ইসি। কিন্তু পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনার অভাবে অনেক ইভিএমই এখন ত্রুটিপূর্ণ। একাদশ জাতীয় সংসদের ৬টি সংসদীয় আসনসহ বিগত ৫ বছরে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশনসহ বেশিরভাগ স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
এখন ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জেলার ৪০টিরও বেশি অস্থায়ী গুদামে ইভিএমগুলো সংরক্ষিত আছে। গত ৪ মাস ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৪০ হাজার ইভিএম ত্রুটিপূর্ণ পেয়েছে ইসি। সূত্র:ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
আধুনিক প্রযুক্তি বিশ্বে অন্যতম দ্রুত বেড়ে উঠা স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় ব্রান্ড হচ্ছে চীনাভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান শাওমি (MI)। অল্প কিছুদিন পরেই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার ১১ বছরে হতে যাচ্ছে। ১১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পূর্বেই এই জায়ান্ট কোম্পানিটি তাদের লগোতে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেয়। যেমন ঘোষণা তেমনি কাজ অল্প কিছুদিন হলো নিজেদের নতুন লগো ও ব্র্যান্ড কিট উন্মোচন করেছে শাওমি।
শাওমির জন্য নতুন এই লগো ডিজাইন করেছেন জাপানীজ ডিজাইনার কেনায়া হ্যার। অবাক করার বিষয় হলো এই নতুন লগো ও ব্র্যান্ড নকশা করার জন্য নকশাবিদকে দিতে হয়েছে ৩ লাখ ডলার। এদিকে শাওমির এই নতুন লগো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল করা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, আগের লগো এবং নতুন লগোর মধ্যে তেমন বিশেষ কোনো পার্থক্য নেই।
যদিও সমালোচকদের এই সমালোচনা অনেকটা যৌক্তিক বলেছে শাওমি ব্রান্ড স্বয়ং নিজেই। কেননা শাওমির নতুন লগোতে ব্যাগ্রাউন্ডের শেপ বর্গাকারের পরিবর্তে কিছুটা বৃত্তাকৃতির হয়ে গেছে। তাই সকলেই প্রশ্ন করতেছে যে এত সহজ একটা লগো ডিজাইন করতে ডিজাইনারকে এতো টাকা পারিশ্রমিক দিতে হলো কেন শাওমিকে?
বিশেষ কারন হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু এবং নতুন লগোর কনসেপ্ট ফিলোসফি। শাওমির নতুন এই লগোর ডিজাইনার ‘কেনায়া হ্যার’ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, এই ডায়নামিক লগো ডিজাইনের মূল মন্ত্র বা কনসেপ্ট ছিল ‘আলাইভ’ (জেগে উঠা)।‘কেনায়া হ্যার’ আরও বলেন, এই লগোটি দেখতে যেন ‘ভিজ্যুয়াল অপ্টিমাল ডায়নামিক’ হয় তার জন্য এই লগোটি পরিপূর্ণ ভারসাম্য করতে আমাদের বিভিন্ন গাণিতিক সূত্র, অনেক হিসেবে নিকেশ এবং নকশা ডিজাইন নিয়ম ও অনুপাত প্রয়োগ করতে হয়েছে।
আমাদের কোম্পানি এবার শাওমির জন্য লগোমার্ক এবং লগোটাইপ, এই দুই ধরণেরই লগো ডিজাইন করেছে। দুই লগোতেই আমরা ভিন্ন ধরনের টাইপোগ্রাফি ও কালার ফিলোসফি ব্যবহার করেছি।
অন্যদিকে শাওমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আমাদের এই নতুন লগোটি একক হওয়ায় এটি এখন সঠিকভাবে এলাইনমেন্ট ছাড়াই প্রোডাক্ট ও কন্টেন্টের যে কোনো পজিশনে ব্যবহার করা যাবে। শাওমি বিশ্বাস করে, নতুন লগোর সাথে তারা অদূর ভবিষ্যতে ইলেক্ট্রনিক গাড়ি বাজারে আনার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
ফাইল ছবি: লিওনেল মেসি ও রোনালদো
বর্তমান সময়ের বিশ্বসেরা দুই তারকা ফুটবলার হলেন লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সবশেষ কাতার বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে নিজেকে কিংবদন্তিদের পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি।
শনিবার পিএসজির হয়ে লিগ ওয়ানের ফাইনালে স্ট্রাসবুর্গের বিপক্ষে গোল করে ইউরোপীয় ফুটবলে সব থেকে বেশি গোল করার নজির গড়েছেন মেসি।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের হিসেবে সর্বোচ্চ গোলের নজির গড়েছেন মেসি। পর্তুগিজ তারকা রোনালদোর ৪৯৫ গোলের নজির ভেঙে ফেললেন তিনি। রোনালদো এ নজির করেছিলেন ৬২৬ ম্যাচে। আর্জেন্টাইন তারকা রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেলেন মাত্র ৫৭৭ ম্যাচেই।
শনিবার মেসির গোলে পিএসজির লিগ ওয়ানের শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা ছিল। এটি পিএসজির রেকর্ড ১১তম শিরোপা। মেসি এর আগে ১০টি লা লিগা খেতাব জিতেন। ফলে এটি তার ১২তম লিগ শিরোপা।
পিএসজির হয়ে লিগ ওয়ানে দুই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৫৭ ম্যাচে ২২টি গোল করেছেন মেসি। বার্সেলোনায় ৫২০ ম্যাচে তিনি করেছেন ৪৭৪ গোল; যা এক ক্লাবের হয়ে কোনো ফুটবলারের সর্বোচ্চ গোলের নজির। সূত্র: যুগান্তর