a বিশ্ব ল্যাবরেটরি দিবসে শিক্ষক ও গবেষকদের মতামত
ঢাকা শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বিশ্ব ল্যাবরেটরি দিবসে শিক্ষক ও গবেষকদের মতামত


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:২৪
বিশ্ব ল্যাবরেটরি দিবসে শিক্ষক ও গবেষকদের মতামত

ফাইল ছবি

বিশ্ব ল্যাবরেটরি দিবসটি ২৪শে এপ্রিল  অনুষ্ঠিত হয়। দুর্দান্ত  আবিষ্কারের জায়গা উল্লেখ করে এটি  উদযাপন করা হয়, যা বিশ্বকে আরও উন্নত করতে সহায়তা করে। পরীক্ষাগার এমন একটি জায়গা যা নিয়ন্ত্রিত শর্তাদি ও সরঞ্জাম সরবরাহ করে, যেখানে বৈজ্ঞানিক গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পরিমাপ সম্পাদন করা যেতে পারে। গবেষণাগারে অগণিত ধারণা এবং তত্ত্ব পরীক্ষা করা হয়। সীমাহীন অধ্যয়ন এবং পরীক্ষার পরে বিশ্বের বেশিরভাগ বৃহত্তম চিকিৎসা এবং নিরাময়গুলি পরীক্ষাগারগুলিতে আবিষ্কার ও সিদ্ধ করা হয়েছিল। পরীক্ষাগার থেকে বেরিয়ে আসা পণ্যগুলি মানবজাতিকে  বহু উপায়ে সহায়তা করেছে। 

বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের বিভিন্ন প্রয়োজনের কারণে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য ব্যবহৃত ল্যাবরেটরি  অনেকগুলি রূপ নেয়। একটি পদার্থবিদ্যার ল্যাবটিতে একটি কণা ত্বরণকারী বা ভ্যাকুয়াম চেম্বার থাকতে পারে, অন্যদিকে ধাতুবিদ্যার গবেষণাগারে ধাতব ঢালাই বা পরিশোধন করার জন্য বা তাদের শক্তি পরীক্ষা করার জন্য যন্ত্রপাতি থাকতে পারে। একজন রসায়নবিদ বা জীববিজ্ঞানী একটি জীবন্ত বা কেমিক্যাল সম্পন্ন পরীক্ষাগার ব্যবহার করতে পারেন। যখন একজন মনোবিজ্ঞানের ল্যাব এমন এক ঘর হতে পারে যেখানে একমুখী আয়না এবং লুকানো ক্যামেরা রয়েছে যাতে আচরণটি পর্যবেক্ষণ করা যায়। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগারগুলি স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে, শিল্পে, সরকারী বা সামরিক সুবিধাগুলিতে এবং জাহাজ এবং মহাকাশযানের উপরেও পাওয়া যায়।


শিক্ষক ও গবেষকদের মতামত নিতে গেলে তাদের থেকে গবেষণাগারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে আসে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের  অধ্যাপক ডঃ শামীমা বেগম বলেন, "ল্যাবরেটরীর প্রয়োজনীয়তাটা বিশেষভাবে প্রভাবিত করে দেশ এর উন্নয়নে। একদম সূচনা লগ্ন স্কুল পর্যায় থেকে শুরু করে কলেজ পর্যায় এবং পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ল্যাবরেটরির গুরুত্ব অপরিসীম। উচ্চতর গবেষণা বা শিক্ষার জন্য ল্যাবরেটরী বিশেষ প্রয়োজনীয়তা যেমন রয়েছে তার মধ্যে সমৃদ্ধ ল্যাবরেটরির বিষয়টিকে ছাড় দিলে চলবে না। 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বা বিশেষ প্রতিষ্ঠান ক্ষেত্রে বললে ল্যাবরেটরী সমৃদ্ধ হলে সেখানে উন্নয়নের ধারা অবশ্যই দ্রুতগতির হবে। যদিও এর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা ব্যয়বহুল তাই কেন্দ্রীয় ভাবে হলেও ল্যাবরেটরী প্রতিষ্ঠা করে গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যািয়া উচিত।"

কোন বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর আমিনুল হক বলেন, "ল্যাবে তৈরি হচ্ছে বিজ্ঞানের হৃদপিণ্ড। ল্যাবরেটরী ছাড়া প্রয়োগিক শিক্ষার কথা চিন্তাই করা যায় না। বিশেষ করে বিভাগের শিক্ষার্থীদের কথা বললে ল্যাবরেটরী ছাড়া উচ্চতর শিক্ষা শিক্ষার প্রায়োগিক বিষয়গুলোকে কল্পনায় আনা যায় না। মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে ল্যাবরেটরির অপরিহার্যতা রয়েছে। বর্তমান বিশ্বের প্যানডেমিক অবস্থার কথা বিবেচনায় আনলেও ল্যাবরেটরিতে ছাড়া এর থেকে মুক্তির কথা চিন্তা করা যায় না। সকলক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে ল্যাবরেটরীকে বিবেচনা করা যায় হার্টের  মতো।তাই ল্যাবরেটরি দিবসকে উপলক্ষ করে হলেও সমৃদ্ধি শিখরে পৌঁছাতে এর গুরুত্বের কথা সকলের সামনে তুলে ধরা উচিত।"

অধ্যাপক ড. সুব্রত চন্দ্র রায়, (রসায়ন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) বলেন, "গবেষণাগারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলতে গেলে তা সকল ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের অনন্য জায়গা। রসায়নবিদ হিসেবে বাস্তবিক প্রয়োগ ব্যতীত এর কার্যক্রম পরিচালনা করা কখনোই সম্ভব না। অতএব গবেষণাগারের সম্প্রসারণ ও এর প্রয়োগক্ষেত্রে বাড়াতে পারলে দেশকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।"

মনোবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর অশোক কুমার সাহা বলেন, "শিক্ষার প্রয়োগিক  দিক গবেষণার ক্ষেত্রে বললে মনোবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণাগার বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়। বিশ্বে প্রথম মনোবিজ্ঞানে ল্যাবরেটরী বা গবেষণাগারের ব্যবহার জার্মানে শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশ পূর্বে মনোবিজ্ঞান গবেষণার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দেশের বাইরে থেকে কেনা হতো। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানির সকল যন্ত্রপাতি তৈরি করে থাকে এবং ল্যাবের সরবরাহ করে থাকে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবরেটরীও বর্তমানে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় উপাদানের সমন্বয়ে সুবিধা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও গবেষণার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতেই কাজ চলছে। ল্যাবরেটরী দিবসকে সামনে রেখে একে আরো সমৃদ্ধ করা যায়।"

ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, "প্রতীক প্রতীক পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার প্রয়োগিক দিককে  গুরুত্ব দিলে দেশ তথা জাতি এগিয়ে যাবে বহুদূর। তাত্ত্বিক শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে প্রয়োগিক শিক্ষার ক্ষেত্রে ল্যাবরেটরীর অপরিহার্যতা রয়েছে। ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের বৈদিক শিক্ষার দিক থেকে ব্যবহৃত হয় এনভারমেন্টাল ল্যাবরেটরী। এছাড়াও রয়েছে সয়েল টেস্ট, ওয়াটার টেস্ট ও রক টেস্ট  এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। ল্যাবরেটরী দিবস কে বিবেচনা করে কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়া যাওয়া যায় আর গবেষণার কার্যক্রমকে জোড়দার করা যায়।তাহলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও সহজ এবং দেশের দ্রুত সম্প্রসারণ সম্ভব হবে।"

এভাবেই গবেষক ও শিক্ষকদের মতামত অনুসারে ল্যাবরেটরী দিবসকে সামনে রেখে দেশে গবেষণার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয় এবং তারা মনে করেন দেশকে এগিয়ে নিতে ভাল ও উন্নত ল্যাবরেটরীর গুরুত্ব অপরিসীম।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জুম-এর উত্থান ও একটি ইতিহাস


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৭:২৭
জুম-এর উত্থান ও একটি ইতিহাস

ফাইল ছবি

চীনে উৎপত্তি হ্ওয়া করোনা বিশ্বব্যাপী মহামারী রোগ হিসেবে আত্মপ্রকাশ কোভিড-১৯ নামে। এই ভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের মার্চে থেকেই পুরো বিশ্বে আতঙ্ক চরমে ওঠে। অফিস, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে সকল প্রতিষ্ঠান এক এক করে বন্ধ হয়ে যায়। করোনার ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেয়। ধীরে ধীরে ব্যবসা, পড়াশোনা, যোগাযোগ সব বন্ধ হয়ে গেলো। তখন মানুষ ব্যাপকভাবে প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হতে লাগলো। 

আর মানুষের সেই কাজকে সহজ করে দিয়েছে অডিও-ভিডিও কনফারেন্সিং মাধ্যম জুম। ইন্টারনেটের সাহায্যে ডিভাইসে (যেমন, মোবাইল, কম্পিউটার) অ্যাপ ব্যবহার করে এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে কয়েকজন ব্যবহারকারী একসঙ্গে ভিডিও কলে যুক্ত হতে পারেন। বলতে গেলে যোগাযোগকে সহজ এবং আরও বাস্তব করে তুলেছে জুম।

করোনাকালীন জুমের জনপ্রিয়তা:
মানুষ যখন করোনার কারনে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে তখন একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য জুমের উপর নির্ভর হচ্ছিলো। লকডাউন শুরুর পর এই অ্যাপের ব্যবহার জনপ্রিয়তা কতটা বেড়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। জুমে কী না করেছে মানুষ? অনলাইন ক্লাস, ক্লাসপার্টি, অফিসের কাজ, মিটিং, আদালতের বিচারকাজ, সরকারি মিটিং, এমনকি বিয়ের আয়োজনও হয়েছে জুমে। 

কতক ক্ষেত্রে যে জুম মানুষকে পথ দেখিয়েছে, তা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে। ফেব্রুয়ারিতে জুম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২ দশমিক ২২ মিলিয়ন অর্থাৎ ২২ লাখ। যার পরিমান ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ছিল প্রতিদিনের ব্যবহারকারীর প্রায় ১০ মিলিয়নের মতো। সেখান থেকে ২০২১ সালের এপ্রিলে দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০০ মিলিয়নে।

জুমের জনপ্রিয়তার রহস্য :
অনেকেরই প্রশ্ন থাকতে পারে অন্যান্য অ্যাপ থাকতে জুম এত জনপ্রিয় কেন? কারন হিসেবে উল্লেখ করা যায় যে, জুমের ফ্রি ভার্সনে একসঙ্গে ১০০ জন ব্যবহারকারী একসঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং এ যুক্ত হতে পারেন। যেখানে মাইক্রোসফটের ফ্রি ভার্সনে মাত্র ৫০ জন এর বেশি ব্যবহারকারী একসাথে  যুক্ত হতে পারেন না। 

আবার ৪০ মিনিটের বেশি সময় কনফারেন্সিংয়ে যুক্ত থাকতে হলে মাসে খরচ করতে হয় ১৪ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার। তবে এন্টারপ্রাইজ ব্যবহারকারীদের খরচ করতে হয় ১৯ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার। জুমে রয়েছে, প্রাইভেট কল, সরাসরি মেসেজ পাঠানোর সুবিধা এবং পারসোনালাইজড টুলসহ নানা ফিচার।

জুমের যাত্রা:
২০১১ সালের শুরুরদিকে ৪০ জন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে নতুন একটি কোম্পানি চালু করেন এরিক ইউয়ান। শুরুতে এর নাম ছিল ‘সাসবি’। কোম্পানিটি প্রথমদিকে  বিনিয়োগ অভাবে কাজ করতে পারেনি। সকলের মত ছিল বর্তমানে ভিডিও টেলিফোনোর বাজার পড়ে গেছে। এ কারণেই কোনো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান এর পেছনে বিনিয়োগে আগ্রহী ছিল না। ভাগ্যক্রমে সে বছরই বছরের জুন মাসে বেশ কিছু পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ পায় কোম্পানিটি। পরের বছর অর্থাৎ ২০১২ সালে ‘সাসবি’ জুম নামটি ধারণ করে। 

২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটি একটি বেটা ভার্সন চালু করে যেটির মাধ্যমে ১৫ জন ব্যবহারকারী ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হতে পারতেন। একই বছরের নভেম্বরে প্রথম গ্রাহক হিসেবে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে আরও কোম্পানিটি আরও বিনিয়োগ পায়। সেসময় জুম ১.১ ভার্সন চালু করে। এতে ২৫ জন ব্যবহারকারী একসঙ্গে যুক্ত হতে পারতেন। চালুর এক মাসের মধ্যে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ লাখ। এরপর মে মাসের মধ্যেই ব্যবহারকারীর সংখ্যা পৌঁছে ১ মিলিয়নে।  

তবে মজার ইতিহাস হলো, জুমের আবিস্কার হয়েছে এরিক ইউয়ান এর একান্ত এক ব্যক্তিগত এক সম্পর্ক থেকে। কলেজে পড়ার সময় তার এক বান্ধবি ছিল তার সাথে দেখা করতে তাকে অনেকটা পথ পেরিয়ে যেতে হতো। সময় লেগে যেত প্রায় ১০ ঘণ্টা। তখন থেকেই চিন্তা করতেন যদি এমন কোনো মাধ্যম থাকতো, যার সাহায্যে দূর থেকেও একে অপরকে মূহুর্তেই মন চাইলে দেখে দেখে কথা বলা যেত। তখন হয়তো চিন্তাও করেন নাই তিনিই একদিন সেই মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষকে যুক্ত করে সেবা দিতে পারবেন। তার সেই ভাবনা- আজকের জুম। যা তাকে বিশ্বের শীর্ষ ৪০০ ধনীর কাতারে এনে দিয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

‘মোমেন আওয়ামী লীগ নেতা, আব্দুর রহমানের বক্তব্য সঠিক নয়’


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ২১ আগষ্ট, ২০২২, ১২:০৮
‘মোমেন আওয়ামী লীগ নেতা, আব্দুর রহমানের বক্তব্য সঠিক নয়’

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান এক বক্তব্যে বলেছেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. একে আবদুল মোমেন দলের কেউ নন। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট আওয়ামী লীগের ২ ইউনিটে সম্মানিত সদস্য এবং উপদেষ্টা হিসেবে আছেন।

জানা গেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি বর্তমানে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের প্রথম সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।

গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেটি করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি।’

 

এরপর রাজনৈতিক অঙ্গনে- এমনকি খোদ আওয়ামী লীগে এ বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন- ‘ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে কোনো অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না, করেনি। শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকেও কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। যিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) এ কথা বলেছেন, তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। এটা আমাদের সরকার বা দলের বক্তব্য নয়।’

এ বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আব্দুর রহমান শনিবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে এক আলোচনা সভায় বলেন- ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের কেউ নন। সুতরাং তার বক্তব্যে দলের বিব্রত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন

 

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - তথ্য ও প্রযুক্তি

সর্বোচ্চ পঠিত - তথ্য ও প্রযুক্তি

তথ্য ও প্রযুক্তি এর সব খবর