ঢাকা শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলিতে ১৫০ জন নিহত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৬ জুলাই, ২০২১, ১০:৩৪
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলিতে ১৫০ জন নিহত

সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে সশস্ত্র সংঘাত বেড়ে গেছে। দেশটির সবচেয়ে বড় উৎসব স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের ঘনঘটার মাঝেই কমপক্ষে ১৫০ জন নিহত হয়েছেন গোলাগুলির ঘটনায়। 

গত ৭২ ঘণ্টায় রক্তাক্ত এই সহিংসতা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত ৪০০ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিএনএন।
    
গান ভায়োলেন্স দাবি করেছে, তালিকা এখনও সম্পূর্ণ নয়। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ভুক্তভোগী বা তাদের পরিবারকে সংগঠিত সহিংসতার তথ্য দিতে অনুরোধ জানিয়েছে একাধিক রাজ্যের পুলিশ। স্বাধীনতা দিবসের উৎসবের মাঝে যুক্তরাষ্ট্রে রক্তাক্ত এই সংঘাতের ঘটনা ঘটলো।

সিএনএনের প্রতিবেদন বলছে, শুধু নিউইয়র্কেই শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত ২১ জায়গায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৬ জন ভূক্তভোগী হয়েছেন। স্বাধীনতা দিবস ৪ জুলাই ১২ জায়গায় গোলাগুলি হয়েছে। এতে ১৩ জন ভুক্তভোগী হয়েছেন।

গত বছর ২৫টি ঘটনায় গুলি করা হয় ৩০ জনকে। এ কথা জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ বিভাগ। এর মধ্যে ৪ জুলাই ১২টি ঘটনায় গোলাগুলির শিকার হয়েছে ১৩ জন। গত বছর একই দিনে ৮টি ঘটনায় আক্রান্ত হয় ৮ ব্যক্তি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব জায়গায় গোলাগুলি বেড়ে গেছে বলে জানা যায়।

পুলিশ বলছে, গত বছরের এই সময়ের চেয়ে ৪০ ভাগ সহিংসতা বেড়েছে। আর ৭৬৭টি ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮৫ জন।

শিকাগো পুলিশ সুপার ডেভিড ব্রাউনের মতে, ‘বছরের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সপ্তাহান্ত’ ছিল এবারের স্বাধীনতা দিবস। ৮৩ জন মানুষকে গুলি করা হয় এ সময়, যাদের মধ্যে নিহত হয় ১৪ জন। এর মধ্যে ৫ ও ৬ বয়সী মেয়ে শিশুও রয়েছে। আছে সেনা সদস্যও।

এ ছাড়া আটলান্টা, ভার্জিনিয়া, ডালাসসহ একাধিক এলাকায় সংগঠিত সহিংসতার তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমগুলো।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মিয়ানমারে জান্তা সরকার ইসরায়েলি-কানাডিয়ান লবিস্ট নিয়োগ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১, ০৬:২৫
মিয়ানমারে জান্তা সরকার ইসরায়েলি-কানাডিয়ান লবিস্ট নিয়োগ

ফাইল ফটো: মিয়ানমারে বিক্ষোভকারী জনগণ

মিয়ানমারের জান্তা সরকার একজন লবিস্টকে নিয়োগ দিয়েছে ‘আসল পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার জন্য সহায়তা করতে’। এজন্য জান্তা সরকার ইসরায়েলি-কানাডিয়ান লাবিস্টকে দেবে ২ মিলিয়ন ডলার।

লবিস্ট আরি বেন মেনাশ ও তার প্রতিষ্ঠান ডিকেন্স অ্যান্ড ম্যাডসন কানাডাকে মিয়ানমারের জেনারেলরা নিয়োগ দিয়েছে। চুক্তিতে তিনি এবং তার প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের কাছে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষ হয়ে তদবির করবেন।

এই প্রতিষ্ঠানটি মন্ট্রিলভিত্তিক ‘মিয়ানমারের উন্নয়ন উপযোগী নীতিমালা তৈরি ও বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং দেশের প্রকৃত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে সহায়তা করবে’।

বেন মেনাস জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ও চীনের কাছ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে মিয়ানমারের জেনারেলরা তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। ২০১৭ সালে দমন-পীড়নের ফলে যেসব রোহিঙ্গারা দেশটি ছেড়ে পালিয়ে এসেছিল তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে চায় মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তারা।

এশিয়ার অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর জন সিফটন বলেছেন, এটি অত্যন্ত অবিশ্বাস্য যে, বেন মেনাসে যে প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্রে উপস্থাপন করবেন সেটি তিনি তাদের বোঝাতে পারবেন।

মিয়া টুন ও অন্যান্য শীর্ষ জেনারেলদের ওপর মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এবং কানাডিয়ান সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। হিসাব অনুযায়ী, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠানটিকে জান্তা সরকার বৈধভাবে তখনই অর্থ দিতে পারবে যখন কানাডিয়ান সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের সাবেক সিনিয়র নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক পরামর্শদাতা পিটার কুকিক বলেছেন, অনুমতি ছাড়াই বেন মেনাসে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দলগুলিকে যে সেবা সরবরাহ করছেন, তা যুক্তরাষ্ট্রের আইনকে লঙ্ঘন করে।

এ বিষয়ে বেন মেনাসে জানিয়েছেন, এই অর্থ গ্রহণের জন্য ট্রেজারিস অফিস অফ ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোলস (ওএফএসি) এবং কানাডিয়ান সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে বলে তিনি আইনি পরামর্শ পেয়েছেন। তবে মিয়ানমারের জান্তার সরকারের পক্ষে তদবির করলে এটি আইন ভঙ্গ করবে না তিনি জানান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আমার চক্ষু দান করতে চাই মৃত্যুর পর: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৫:৫২
আমার চক্ষু দান করতে চাই মৃত্যুর পর: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

ফাইল ছবি

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মরণোত্তর চক্ষুদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মরণোত্তর চক্ষুদানবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ও সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি। 

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমার মৃত্যুর পর চক্ষুদান করতে চাই। মৃত্যুর পর আমার চোখ যদি কারও কাজে আসে, তাহলে আমি ‍খুশি হব।’

তিনি বলেন, ‘চক্ষুদানের মাধ্যমে অন্য কোনো ব্যক্তি দৃষ্টি শক্তি পেলে মানুষ মরেও বেঁচে থাকতে পারে। এটা সোয়াবের কাজ, ভালো কাজ এবং পুণ্যের কাজ। আমার মৃত্যুর পর চোখ কারও কাজে লাগলে ভালো লাগবে। এ চক্ষুদানকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে পারলে অনেক মানুষের উপকার হবে।’

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘শহরের মানুষের মধ্যে অপেক্ষাকৃত মানবিকতা কম। সব কাজই নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে। অন্যদিকে গ্রামের মানুষ উদার। অন্যের জন্য কিছু করার চেষ্টা করে। তাই মরণোত্তর চক্ষুদান আন্দোলন উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছাতে পারলে ভালো সুফল পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে কর্নিয়া সংগ্রহ করা গেলে, অনেক মানুষ পৃথিবীর আলো দেখতে পারবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান লে. জে. (অব.) হারুন-অর-রশিদ, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বরেন চক্রবর্তী, আমিনুল ইসলাম লিটু প্রমুখ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক