a
ছবি সংগৃহীত
ইসরায়েল দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক চাপে অবশেষে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির অনুমোদন দিতে বাধ্য হলো। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করে ইসরায়েল সরকার।
চুক্তির শর্তানুযায়ী, ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। বিনিময়ে ইসরায়েলেও তাদের জেলে বন্দি থাকা প্রায় সমসংখ্যক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। এদিকে, বন্দি বিনিময় সাপেক্ষে এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ব্যাপারে এখনো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। সূত্র: আল জাজিরা, সিএনএন ও বিবিসি
মোহাম্মাদ নাঈম ওয়ারদাক
নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের তালেবান বলেছেন, সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে মার্কিন সরকার তাদের সঙ্গে করা চুক্তি ওয়াশিংটন লজ্জাজনকভাবে লঙ্ঘন করেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মাদ নাঈম ওয়ারদাক বৃহস্পতিবার ইরানের প্রেস টিভিকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ওয়াশিংটন তার প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে, ২০২০ সালে তালেবানের সাথে যে চুক্তি হয়েছিল তার প্রতি তারা সম্মান দেখায়নি। নাঈম ওয়ারদাক বলেন, এখন তালোবানের সামনে অগ্রাধিকার হচ্ছে আফগানিস্তান থেকে জোরপূর্বক মার্কিন সেনা বহিষ্কার করা।
তিনি বলেন, আফগান জনগণ দখলদারদের বিরুদ্ধে জিহাদে লিপ্ত রয়েছে এবং গত ২০ বছর ধরে বিদেশি সামরিক আগ্রাসনের মুখে তারা নিজেদেরকে রক্ষা করে চলেছে।নাঈম ওয়ারদাক আরও বলেন, “আমাদের দেশকে স্বাধীন করার জন্য আমরা লড়াই করছি। জনগণকে রক্ষার জন্য আমরা স্বাধীন একটি সরকার চাই।”
গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন তবে তিনি কোনও সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করেননি। মার্কিন কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে জানিয়েছে, চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করা হবে।
প্রেস টিভিকে দেয়া সাক্ষাতে তালেবান মুখপাত্র নাঈম ওয়ারদাক আরও বলেন, আফগানিস্তানে সম্প্রতি যে সহিংসতা বেড়েছে তার জন্য আমেরিকা দায়ী। তিনি বলেন, “মার্কিন বোমাবর্ষণ আমাদেরকে অভিযানের পরিধি বাড়াতে বাধ্য করেছে।”
ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলায় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সাথে থাকা সরকারি কর্মচারীর লাঠিপেটায় এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হওয়াকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে। এ রিপোর্ট লেখার সময় সোমবার রাত ১০টার দিকে উত্তেজিত জনতা ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবিতে উপজেলা পরিষদ ও থানা ঘেরাও করে রেখেছে। এছাড়া সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে চা খেয়ে ওই ইউনিয়নের নটাখোলা গ্রামের মৃত মোসলেম মোল্লার ছেলে মো. জাকির হোসেন মোল্লা বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় সেখানে লকডাউনের কার্যকারিতা পরিদর্শনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হিরামনি উপস্থিত হন।
জাকির হোসেন অভিযোগ করেন যে, কিছু বুঝে উঠার আগেই এসিল্যান্ডের গাড়ি থেকে নেমে এক ব্যক্তি তার কোমর সজোরে লাঠি দিয়ে বাড়ি দেন। এতে তার কোমর ভেঙে যায়। পরে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অপরদিকে, জাকির হোসেনকে আহত করার খবরে সেখানে উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আরো গ্রামবাসী জড়ো হয়। এরপর সেখানে সালথা থানার এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌঁছালে উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপরেও হামলা করে। এতে এসআই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা সালথা থানা অভিমুখে রওনা হয়ে থানা ঘেরাও করে।
এ বিষয়ে সালথা থানার ওসি আশিকুজ্জামান বলেন, এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা হিরামনির নিকট হতে খবর পেয়ে ফুকরা বাজারে পুলিশ পৌঁছালে সেখানে পুলিশের উপরে হামলা হয়। এতে এসআই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়।
ওসি আশিকুজ্জামান জানান, উত্তেজিত জনতাকে শান্ত হতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
এব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হিরামনির বক্তব্য জানার জন্য তার মোবাইলে ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।