a
ফাইল ছবি
তাইওয়ান প্রণালির আন্তর্জাতিক জলসীমা দিয়ে যাত্রা করেছে দুটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের উত্তেজনার মধ্যেই রবিবার (২৮ আগস্ট) এমন ঘটনা ঘটলো। এ নিয়ে চরম আপত্তি জানিয়ে আসছে চীন। পাশাপাশি যুদ্ধজাহাজ গুলোকে পর্যবেক্ষণের ঘোষণা দিয়েছে চীন। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের পর প্রথমবার যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর কথা জানিয়েছে মার্কিন নৌ বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ক্রুজার ‘ইউএসএস অ্যান্টিটাম’ এবং 'ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিল' রুটিন অনুযায়ী তাইওয়ান প্রণালির আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রবেশ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রণালি দিয়ে জাহাজের ট্রানজিট মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে মাত্র। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই তা পরিচালনা করা হয়েছে।
চীনের হুঁশিয়ারি উপক্ষে করে চলতি মাসে তাইওয়ান সফর করেন মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এর জেরে তাইওয়ানকে ঘিরে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়ার আয়োজন করে চীনা সামরিক বাহিনী। এতে অঞ্চলটিতে যুদ্ধাব্স্থা তৈরি হয়। এদিকে তাইওয়ানের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের অঙ্গীকার করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সম্প্রতি নিয়মিত তাইওয়ান প্রণালিতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং কানাডার মতো দেশগুলোর যুদ্ধজাহাজ। যদিও এসব এলাকা নিজেদের দাবি করে আসছে বেইজিং। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের তৈরি করা স্পাইওয়্যার পেগাসাসের কেলেঙ্কারি ঠেকাতে ‘টাস্ক ফোর্স’ গঠন করেছে দেশটি।
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিকদের ফোনে নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর তা সামাল দিতে এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে ইসরায়েল। খবর রয়টার্সের।
ইসরাইলের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে বুধবার রয়টার্স জানায়, দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বিচার মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানসহ ১৬টি সংবাদপত্রের অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে পেগাসাস কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এসেছে। বলা হচ্ছে, এনএসও গ্রুপ থেকে এই স্পাইওয়্যার কিনে নিজের দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি চালিয়ে আসছে ‘কর্তৃত্ববাদী’ সরকারগুলো।
ইসরাইলের সংবাদ মাধ্যমগুলো মঙ্গলবার রাতে জানায়, এই টাস্ক ফোর্স খাতিয়ে দেখবে স্পর্শকাতর সাইবার সরঞ্জামাদি বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ‘নীতি পরিবর্তন’ দরকার আছে কিনা।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কর্তৃত্ববাদী’ সরকারগুলোর কাছে পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিক্রির খবর ফাঁসের পর ইসরাইলের ওপর কূটনৈতিক চাপ বেড়েছে।
তাছাড়া এনএসওর গ্রাহকদের সংগ্রহ করা তথ্যে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার প্রবেশাধিকার আছে কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে, যদিও ইসরাইল এবং এই নজরদারি প্রতিষ্ঠান উভয়ই এ ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজ বলেন, এনএসওর পেগাসাস প্রকল্পের কথা জানাজানি হওয়ার পর তাদের সরকার বিষয়টি ‘খতিয়ে’ দেখছে।
আমরা সাইবার পণ্য রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছি শুধু বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে বিক্রি করতে এবং শুধু আইনসম্মতভাবে তা ব্যবহারের জন্য।
পেগাসাস স্পাইওয়্যার কোথাও বিক্রির ক্ষেত্রে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকারের অনুমোদন নিতে হয়।
অপরাধীদের ওপর নজরদারি চালাতে তা শুধু সরকারি কোনো সংস্থার কাছেই বিক্রি করা হয়। আর তার আগে সংশ্লিষ্ট দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ইসরাইল সরকার।
ফাইল ছবি
ইউক্রেন অভিযোগ করেছে, চলমান উত্তেজনার মধ্যে আগামী সপ্তাহে নৌ মহড়ার প্রস্তুতি নেওয়া অংশ হিসেবে রাশিয়া সমুদ্রে তার প্রবেশের পথ অবরোধ করে রেখেছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেন, আজভ সাগর সম্পূর্ণ অবরোধ করে রাখা হয়েছে এবং কৃষ্ণ সাগরে প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। খবর বিবিসির।
খবরে আরো বলা হয়, রাশিয়ার নৌ মহড়া কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগরে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে। ইতোমধ্যে দেশটি উপকূল এলাকায় সতর্কতা জারি করে বলেছে, এ মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ও গুলি ছোড়ার অনুশীলন করা হবে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, বিশাল এলাকাজুড়ে মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে, যা নজির বিহীন। এতে উভয় সাগরেই জাহাজ চলাচল অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অপরদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ টুইটারে লেখেন, দুটি সাগরের আন্তর্জাতিক পানিসীমা রাশিয়া অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
এক টুইটে ইউক্রেনের মার্কিন দূতাবাস বলেছে, রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগরে সামরিক মহড়ার অজুহাতে ইউক্রেনের সামুদ্রিক সার্বভৌমত্ব ও জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা সীমিত করে তাদের অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য জাহাজ চলাচলে বাধা দিয়েছে।
এদিকে প্রতিবেশী বেলারুশের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। বেলারুশ রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইউক্রেনের সঙ্গে যার বিশাল সীমান্ত। এসব মহড়ার বিষয়ে ফ্রান্স বলছে, এটি ‘হিংসাত্মক অঙ্গভঙ্গি’। অপরদিকে ইউক্রেন বলছে, এটি ‘মানসিক চাপ’ তৈরি করছে।
এদিকে রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় ইউক্রেনে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের দ্রুত দেশ ছাড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলছেন, কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপ বৃহত্তম নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে।
রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে নেওয়ার পর থেকেই কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগর অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনের তিনটি জাহাজ আটক করেছে। ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার প্রায় এক লাখ সেনা সমাবেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ আশঙ্কা করছে, মস্কো হয়তো কিয়েভে হামলা চালাতে পারে।
যদিও রাশিয়া ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু দেশটি ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করে আসছে।