বাংলাদেশ ব্যাংকে পদোন্নতি পেয়ে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) হয়েছেন দুই কর্মকর্তা। মহাব্যবস্থাপক (পরিসংখ্যান) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন আনিছুর রহমান এবং প্রধান কার্যালয়ের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল কাদির।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (পরিসংখ্যান) হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আনিছুর রহমান। সদ্য বিদায়ী বছরের ৩১ ডিসেম্বর তারিখের কর্মচারী নির্দেশে তাকে মহাব্যবস্থাপক (পরিসংখ্যান) হিসেবে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক পরিসংখ্যান বিভাগে বহাল করা হয়েছে।
আনিছুর রহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ হতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৪ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগ, বিনিয়োগ বোর্ডসহ বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
আনিছুর রহমান দাফতরিক কাজে ভারত, ভুটান, চীন, জার্মানি এবং সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন। তিনি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
অপরদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল কাদির ৩১ ডিসেম্বর তারিখে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে বহাল হন।
এমবিএ ডিগ্রিধারী মো. আবদুল কাদির ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে অফিসার পদে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন পার্সোনেল ডিপার্টমেন্ট, বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ, ব্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ, কমন সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট-১, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-১ এবং সিলেট অফিসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে তিনি নেপাল ও সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ করেন। এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক মো. আবদুল কাদির চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর বিশকাটালী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, অগণতান্ত্রিক পন্থায় যাদের সৃষ্টি, তাদের মুখে এখন গণতন্ত্রের কথা বলতে বলতে ফেনা উঠে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানানসই না।
তিনি বলেন, যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন কোনো গণতন্ত্র মেনেছেন আপনারা? বরং শেখ হাসিনাকে হত্যা করে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করেছেন। আপনাদের কাছে জানতে চাই, এটা গণতন্ত্রের কোনো সঙ্গার মধ্যে পড়ে?
হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। দেশের মানুষের ভাগ্য বদলে যাচ্ছে। দেশের মানুষ ভালো থাক আপনারা কি তা চান না? এই দেশ তো আপনাদেরও। আপনারা উন্নয়ন করতে পারেননি, আমরা করছি ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে আপনাদেরও এই উন্নয়নের ধারায় শামিল হওয়া উচিত।
রোববার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বিশ্বশান্তি ও মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন শক্তি ও নম্রতা সমন্বয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বিএনপি দলের প্রধান রাজনৈতিক নেতার পরিবর্তন করে নতুন যোগ্য নেতা আনা এবং আন্দোলন করলে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আন্দোলন শিখে তারপর আন্দোলন করার জন্য বিএনপিকে আহ্বান জানান।
আয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বহু ত্যাগ স্বীকার করেছেন বঙ্গবন্ধু। তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশেছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি বারবার কারাবরণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু যেমন কোমল মনের মানুষ ছিলেন তেমনি ছিলেন দৃঢ়চেতা। আর তার মনোবল সবসময়ই ছিল অটুট।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বেগম রোকিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফনিন্দ্র সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, দৈনিক জাগরণের সম্পাদক আবেদ খান, নিউজটোয়েন্টিফোর চ্যানেলের হেড অব নিউজ রাহুল রাহা, ব্যরিস্টার তৌফিকুর রহমান প্রমুখ।
ফাইল ছবি
শ্রীলঙ্কায় উড়াল দেয়ার আগে গত ৯ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ২১ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল মূল ম্যাচের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে ঘোষণা করা হবে মূল স্কোয়াড।
আগামীকাল ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া ১ম টেস্টের জন্য আজ (২০ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চূড়ান্ত স্কোয়াড জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
লম্বা সময়ের পর টেস্ট দলে ফেরা শুভাগত হোম জায়গা পাননি চূড়ান্ত স্কোয়াডে। প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন তিন নতুন পেসার। তবে তিন জনের মধ্যে মূল স্কোয়াডে জায়গা হয়েছে উঠতি তারকা পেসার শরিফুল ইসলাম। বাদ পড়েছেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও শহিদুল ইসলাম।
এছাড়া মূল স্কোয়াডে জায়গা পাননি স্পিনার নাঈম হাসান, পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও স্পেশালিস্ট উইকেট রক্ষক নুরুল হাসান সোহান।
১ম টেস্টের জন্য বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডঃ
মুমিনুল হক (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল খান, সাদমান ইসলাম অনিক, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি, তাইজুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, মোহাম্মদ সাইফ হাসান, ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি, শরিফুল ইসলাম।
অপরপক্ষে, শ্রীলঙ্কার টেস্ট স্কোয়াডঃ
দিমুথ করুণারত্নে (অধিনায়ক), লাহিরু থিরিমান্নে, ওশাদা ফার্নান্দো, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, দীনেশ চান্দিমাল, পাথুম নিসাঙ্কা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, রোশেন সিলভা, দাসুন শানাকা, নিরোশান ডিকওয়েলা, সুরাঙ্গা লাকমাল, লাহিরু কুমারা, বিশ্ব ফার্নান্দো, আসিথা ফার্নান্দো, দিলশান মাদুশঙ্কা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, রমেশ মেন্ডিস ও প্রাভিন জয়াবিক্রমা।
আপনার মতামত লিখুন :