a
ফাইল ছবি
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) ২০২২-২০২৩ মেয়াদের নির্বাচনে দুই দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। প্রার্থী ও সমর্থকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট বার প্রাঙ্গণ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে এবং আগামীকাল বুধবারও এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে।
নির্বাচনে প্রতিবারের মতে এবারও আওয়ামী লীগ ও সমমনা আইনজীবীদের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী (সাদা প্যানেল) পরিষদ এবং বিএনপি জোট সমর্থক আইনজীবীদের ব্যানারে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের (নীল প্যানেল) প্রার্থীসহ মোট ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে কয়েকটি পদে রয়েছেন ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪টি পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট ভোটার আট হাজার ৬২৩ জন।
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সাদা প্যানেল থেকে সভাপতি পদে সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সম্পাদক পদে আইন সমিতির সাবেক সম্পাদক মো. আবদুন নূর দুলারের নেতৃত্বে ১৪ জনের একটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
অপরদিকে বিএনপি জোট সমর্থিত নীল প্যানেলে সভাপতি পদে সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল এবং সম্পাদক পদে বর্তমান সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দস কাজলের নেতৃত্বে ১৪ জনের একটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
ফাইল ছবি
করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ রোধে ৭ দিনের সরকারি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে লকডাউন নয়, এটি কঠোর নিষেধাজ্ঞা বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে দুপুরে ব্রিফিং করে সোমবার (৫ এপ্রিল) এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ৭ দিনের যে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া হয়েছে তা লকডাউন নয়।
তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা বলেছি, আমরা লকডাউন ঠিক বলি নাই। আমরা বলে দিয়েছি অফিস-আদালত যত কম লোক দিয়ে অফিস চালাতে পারে। তবে দেখি আমরা ৭ দিন পর কী অবস্থা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার আবার সিদ্ধান্ত নিব।’
ফাইল ছবি
জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকা থাকা তালেবান নেতা মোল্লা হাসান আকুন্দ যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পরবর্তী সরকারপ্রধান হতে যাচ্ছেন। তালেবানের কয়েকজন নেতার বরাত দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়- তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাই সরকার প্রধান হিসেবে হাসান আখুন্দের নাম প্রস্তাব করেছেন। সোমবার সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিলেও অনিবার্য কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। বুধবার কাবুলে নতুন সরকার দায়িত্ব নিতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
২০০১ সালে কাবুলে তালেবান সরকারের পতনের পরে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে গঠিত তালেবান ‘কোয়েটা সুরা’র নেতৃত্বে দিয়েছিলেন হাসান আকুন্দ। আখুন্দজাদার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত হাসান আকুন্দ তালেবানের শান্তি আলোচনা বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘রেহবারি সুরা’র প্রধান ছিলেন।
গত ১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তালেবান। এ সময় শুধু পাঞ্জশির ছাড়া ৩৪টি প্রদেশের ৩৩টির নিয়ন্ত্রণ ছিলো তাদের হাতে। নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সরকার গঠন নিয়ে চলছে দীর্ঘ আলোচনা। ইতিমধ্যে আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার নাম শোনা যাচ্ছিল। এরই মধ্যে আলোচনায় নাম না থাকা তালেবান নেতা মোল্লা হাসান আকুন্দ সরকারপ্রধান হচ্ছেন বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলা হচ্ছে।