a গুচ্ছ পরীক্ষায় প্রক্সিকান্ডে ঢাবি শিক্ষার্থী আকতারুলের রিমান্ড নামঞ্জুর
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ পৌষ ১৪৩২, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

গুচ্ছ পরীক্ষায় প্রক্সিকান্ডে ঢাবি শিক্ষার্থী আকতারুলের রিমান্ড নামঞ্জুর


সিয়াম, জবি প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৬ আগষ্ট, ২০২২, ০৭:০৭
গুচ্ছ পরীক্ষায় প্রক্সিকান্ডে ঢাবি শিক্ষার্থী আকতারুলের রিমান্ড নামঞ্জুর

ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক শাখা) ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আকতারুল ইসলামের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক নাহিদুল ইসলাম। এসময় বিচারক ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আসামি আকতারুল বলেন, 'আমি ছোট ভাইকে পরীক্ষা দিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে এসেছিলাম। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আসতে দেরি হওয়ায় ছোট ভাইকে ঢুকাতে গেলে গেট থেকে ধরে নিয়ে যায় প্রক্টর অফিস। তারপর তারা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়।'

পরে বিচারক এজাহার পড়ে আসামিকে বলেন, 'আপনি মিথ্যা বলছেন কেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন মামলাটি করেছেন। পরীক্ষা দেয়ার পর আপনাকে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে নেয়া হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।' এসময় মিথ্যা বলার বিষয়টি স্বীকার করেন আসামির আইনজীবী ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজুর রহমান মন্টু। তবে এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত নেই, তাই রিমান্ড নেয়ার প্রয়োজন নেই বলেন এই আইনজীবী। পরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
 
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামি বড় চক্রের সদস্য। তাকে রিমান্ডে নিলে বাকি আসামিদের ধরা সহজ হতো। তবে আমাদের তদন্ত চলবে। প্রয়োজনে আবার রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেন তিনি।

গত ১৩ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন বাদী হয়ে আসামি আকতারুলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মূলহোতা মো. রাব্বি ও মূল শিক্ষার্থী সিজান মাহফুজ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৩ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভুক্ত বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নেয়া ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের একটি কক্ষের পরীক্ষায় অংশ নেয়া পরিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করছিলেন।

এসময় আকতারুল ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ও সংযুক্ত ছবির সঙ্গে তার চেহারার মিল না থাকার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আটক শিক্ষার্থী জানায়, পলাতক আসামি সিজান মাহফুজ ও মূলহোতা রাব্বির পরামর্শ, প্ররোচনায় ও সহযোগীতায় এক লাখ ৪০ হাজার টাকার চুক্তিতে পরীক্ষায় অংশ নেয় বলে তিনি স্বীকার করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, আমরা আজকে অবগত হলাম রিমান্ড না মঞ্জুর হয়েছে আবার এটাকে ডিফেন্ড করবে যাতে রিমান্ডে নেয়া ও এই চক্রকে ধরার জন্য কাজ চলছে, যদি পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ হয় তাহলে মামলা সিআইডির হাতে হস্তান্তর করা হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে সরকারকে আইনি নোটিশ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০২:৩৪
ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে সরকারকে আইনি নোটিশ

ফাইল ছবি

ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রোববার সরকারের চার সচিব ও তিনটি সংস্থার চেয়ারম্যানের কাছে এ নোটিশ পাঠায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।

নোটিশ পাঠানো হয়েছে চার মন্ত্রণালয়ের সচিবদের, তারা হলেন— বাণিজ্যসচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রপ্তানি দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রক এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান।

আইনজীবী মাহমুদুল হাসান জানান, ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ হলেও অতিরিক্তি দামের কারণে দেশের দরিদ্র মানুষ এই মাছ কিনতে পারে না। মধ্যবিত্ত মানুষও ইলিশ মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের চাহিদার কথা চিন্তা না করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে দেশের স্থানীয় বাজারগুলোতে ইলিশের দাম আরও বেড়েছে।

সাত দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি স্থায়ীভাবে বন্ধ না করলে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলেও জানান মাহমুদুল হাসান। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫


সিয়াম, জবি প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০২২, ০৯:৩৩
জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫

ছবি:মুক্ত সংবাদ প্রতিদিন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিজ দলে অন্তর্ভুক্ত করানোকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটে।

শনিবার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের টিএসসিতে এ ঘটনা ঘটে। শুরুতে ১৫ ব্যাচের মধ্যে মারামারি সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তীতে বড়রাও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই গ্রুপের ৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কয়েকজন নবীন শিক্ষার্থীদের নিজ দলে অন্তর্ভুক্ত করাকে কেন্দ্র করে সভাপতি গ্রুপের ১৫ ব্যাচের একজনকে টিএসসিতে মারধর করে। পরে সভাপতি প্যানেলের সিনিয়র কয়েকজন নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের দুইজনকে মারধোর তরে। ঘটনাটির উত্তাপ ছড়িয়ে পড়লে পুরান ঢাকার মালিটোলা পার্কে দুই গ্রুপ অবস্থান নেয় এবং তাদের মধ্যে আবার মারামারি শুরু হয়।

এতে সভাপতি গ্রুপের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের গাজী মো. শামসুল হুদা ও খাইরুল আমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল বারেক, ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. সাঈদ গুরুতর আহত হয়।

এছাড়া সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ থেকে ইসলামিক স্টাডিজ গ্রুপের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মেরাজ হোসাইন আহত হয়। সবাইকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। এ ঘটনায় পরবর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের লাঠি হাতে শোডাউন দিতে দেখা যায়।

আহত ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল বারেক জানান, আমরা ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে মালিটোলা পার্কের সামনে সভাপতির জন্য অপেক্ষা করার সময় ১২ ব্যাচের ছাত্রলীগ কর্মী সিফাত, শিশির ও মারুফের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা করা হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইন বলেন, যারা মারামারি করেছে তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, আমি এ বিষয়ে এখনো অবগত নই। আমি খোঁজ নিচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, মারামারিতে জড়িত ছাত্রদের চিহ্নিত করা হয়েছে, শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষনার পর প্রথমবারের মত দুই গ্রুপের এমন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো। এনিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিরূপ মন্তব্য করেছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - আইন