a
ফাইল ছবি
কে হচ্ছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি—তা আজ রবিবার জানা যাবে। এ দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হচ্ছে। তপশিল অনুযায়ী, সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে।
জাতীয় সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেও তপশিল ঘোষণাসহ এ নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন।
বর্তমানে জাতীয় সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়ন দিবে তিনিই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন। এ ছাড়া বর্তমানে সরকারবিরোধী বিএনপির কেনো সংসদ সদস্যও নেই। জাতীয় পার্টি বিরোধীদল হলেও বড় বড় নীতিনির্ধারণী বিষয়ে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। ফলে আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা মনোনীত ব্যক্তিই এবারের রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন তা নিশ্চিত বলা যেতে পারে।
এক্ষেত্রে দলটি এখন পর্যন্ত তাদের প্রার্থী কে তা প্রকাশ না করলেও আজ জানা যাবে অনানুষ্ঠানিকভাবে দলটির পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও সেই মনোনয়নে প্রস্তাবক, সমর্থক ও মনোনীত ব্যক্তির স্বাক্ষর সম্পন্ন করে ইসিতে আজই জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ছবি সংগৃহীত: উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ
নিউজ ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ ২০ ডিসেম্বর, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান। তাঁর মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুস। আজ বাদ এশা ধানমন্ডিতে প্রথম ও আগামীকাল হাইকোর্টে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এ এফ হাসান আরিফের এসোসিয়েটস আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান গণমাধ্যমকে জানান, হাসান আরিফ স্যার অসুস্থতাবোধ করলে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি ইন্তেকাল করেছেন।
এছাড়াও উপদেষ্টা হাসান আরিফের ছেলে মুয়াজ আরিফ বলেন, বিকেল ৩টার দিকে বাবা বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মেঝেতে পড়ে গেলে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা গেছেন বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন এ এফ হাসান আরিফ। একই দিনে ৯টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ গ্রহণ করেন।
এ এফ হাসান আরিফ ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এ এফ হাসান আরিফ ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে ১৯৬৭ সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশে হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন।
ফাইল ছবি । পরীমনি
লাল, সাদা পোশাকে কিছু লোক এসে বাড়ির প্রধান ফটক ভেঙে আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির বাড়িতে প্রবেশ করেছে। তারা নাকি এ মুহূর্তে পরীমনির দরজা খুলতে বলছেন। তারা নিজেদের পুলিশের লোক বলছেন।
পরীমনি পল্লবী থানায় ফোন করে জানতে পারেন থানা থেকে কোনো লোকজন পাঠানো হয়নি। থানা থেকে বলা হয়েছে, আপনি দরজা খুলবেন না। আমরা আসছি।
বুধবার লাইভে এসে এমন পরিস্থিতির কথা জানালেন পরীমনি। লাইভটি এখনও চলছে। পরীমনি পুলিশ ও মিডিয়াকর্মীর সহায়তা চাইছেন।
লাইভে তিনি বলছেন, আমি মরব আর কেউ কিছু বলবে না? মরতে তো একদিন হবেই। আমি এই লাইভ কাটব না। যতক্ষণ না থানা থেকে পুলিশ আসবে, মিডিয়া আসবে ততক্ষণ লাইভ চলবে। ভাই আপনারা কেউ বুঝতে পারছেন আমার অবস্থা? এইখানে কাছেই থানা। অথচ তারা আসছে না। আমার তো তাদের হেল্প লাগবে। তিনদিন ধরে আমি বিছানা থেকে উঠতে পারছি না। আমার পরিচিতরা কই। একটু আসবেন দেখবেন? এরা কারা? মূর্খরা ভাঙচূর করছে। এসব আল্লাহ সহ্য করবে না। আপনারা কত মানুষ এই লাইভ দেখছেন। কেউ কিছু বলছেন না। আমার বাসায় আমার বুড়ো নানা এসেছেন। আপানারা মিডিয়ার কেউ আসবেন? আমি তো মরে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে ডিবির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘পরীমনির বাসায় অভিযানের বিষয়ে আমার জানা নেই। আমাদের টিমের কোনো সদস্য পরীমনির বাসায় যায়নি।’ সূত্র: যুগান্তর
ভিডিও লিংক: www.facebook.com/watch/live/?v=331800011977458&ref=external