a পুলিশ কর্মকর্তাদের অনিয়মের তথ্য দিলে পুলিশকে পুরস্কৃত করা হবে
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২০ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পুলিশ কর্মকর্তাদের অনিয়মের তথ্য দিলে পুলিশকে পুরস্কৃত করা হবে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১, ০৩:৪১
পুলিশ কর্মকর্তাদের অনিয়মের তথ্য দিলে পুলিশকে পুরস্কৃত করা হবে

ফাইল ফটো:

ড. বেনজীর আহমেদ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই পুলিশকে দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত এবং মানবিক বাহিনী হিসেবে গড়ার কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার সব ধরনের সরকারি পেশাজীবীর সু‌যোগ সুবিধা ও বেতন-ভাতা অনেক বাড়িয়েছে। তাই পুলিশের কোনো সদস্য দুর্নীতিতে যুক্ত থাকতে পারবে না বলে জানান আইজিপি।

পুলিশ সুপার (এসপি), ডিআইজিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন (সিনিয়র) কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য সরাসরি পুলিশ সদর দফতরে জানাতে পারবেন তাদের অধস্তন (জুনিয়র) সদস্যরা। আর তদন্তে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে পুরস্কৃত করা হবে তথ্যদাতা পুলিশ সদস্য বা কর্মকর্তাকে।

সম্প্রতি আইজিপি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছেন। সেখানে দুর্নীতির তথ্যদানকারী পুলিশ সদস্যকে সব ধরনের সুরক্ষা দেয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। শিগগিরই আদেশটি পৌঁছে যাবে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে।

পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ সদস্যরা নির্ভয়ে সরকারি অর্থের নিয়মিত ও অননুমোদিত ব্যয়, সরকারি সম্পদের অব্যবস্থাপনা, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের তথ্য দিতে পারবেন। এর মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতসহ দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে জানান।

আইজিপির আদেশে তথ্যদাতা পুলিশ সদস্যদের জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন-২০১১ এবং জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) বিধিমালা-২০১৭ এর অধীনে সুরক্ষা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

তথ্য প্রকাশ আইন ও বিধিমালায় কোনো তথ্য প্রদানকারীর পরিচিতি প্রকাশ না করার উল্লেখ রাখা হয়েছে। এছাড়া তথ্য প্রদানকারীর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি বা দেওয়ানি মামলা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কোনো বিভাগীয় মামলা দায়ের না করাসহ তাকে পদাবনতি, হয়রানিমূলক বদলি, বিভাগীয় ব্যবস্থাগ্রহণ ও বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না বরং তথ্য প্রমাণিত হলে পুরস্কার ও সম্মাননা দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে কেউ মিথ্যা তথ্য দিলে দণ্ড হিসেবে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রয়োগ করে মামলা, তদন্ত ও আইনানুগ কার্যক্রমের বিষয়টিও উল্লেখ রাখা হয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

টিকটক-পাবজি-ফ্রি ফায়ারসহ অনলাইনভিক্তিক ক্ষতিকর গেমস বন্ধের নির্দেশ


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ১৬ আগষ্ট, ২০২১, ০৩:১৪
টিকটক-পাবজি-ফ্রি ফায়ারসহ অনলাইনভিক্তিক ক্ষতিকর গেমস বন্ধের নির্দেশ

সংগৃহীত ছবি

অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম ও লাইকিসহ এ ধরনের অনলাইনভিত্তিক ক্ষতিকর সব ধরনের অ্যাপস অপসারণ এবং লিংক অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম তথা লাইকির মতো সব ধরনের অনলাইন গেম এবং অ্যাপস বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব।

সোমবার (১৬ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেন।

আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গোলাম সরোয়ার পায়েল। আর বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

এর আগে গত ২৪ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার সংগঠন ‘ল অ্যান্ড লাইফ’ ফাউন্ডেশনের পক্ষে গেম এবং অ্যাপসগুলোর ক্ষতিকারক দিক তুলে জনস্বার্থে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ কাউছার।

দেশের অনলাইন প্লাটফর্মগুলো থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার ও লাইকির মতো অনলাইন গেম ও অ্যাপ বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে।

রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (ডিজি), বাংলাদেশ ব্যাংক, মোবাইল অপারেটর, বিকাশ ও নগদকে বিবাদি করা হয়।

এর আগে গত ১৯ জুন এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার পরে কোনো ধরণেরর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় রিট করেন এই আইনজীবী।

রিটে বলা হয়, পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো গেমে বাংলাদেশের যুব সমাজ এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়ে পড়ছে মেধাহীন। এসব গেমস যুব সমাজকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম ও লাইকির মতো সকল প্রকার অনলাইন গেম ও অ্যাপ বন্ধে সরকারকে নির্দেশনা দিতে আর্জি জানানো হয়।

রিটে বলা হয়, টিকটক, লাইকি অ্যাপ ব্যবহার করে দেশের শিশু-কিশোর এবং যুব সমাজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি নারীপাচারের ঘটনা এবং বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে অর্থপাচারের ঘটনায়ও টিকটক, লাইকি ও বিগো লাইভের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক এবং দেশের ও জনস্বার্থের পরিপন্থী। এটা শৃঙ্খলা ও মূল্যবোধেরও পরিপন্থী।

রিটে বলা হয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিধান অনুযায়ী এসব অবাঞ্ছিত ক্ষতিকর গেম এবং অ্যাপসকে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর এবং উপযোগী সাইবার পদ্ধতি সুনিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বিবাদিদের, যেটা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন।

ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, এর আগে নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এগুলো বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বিশ্বে ২০ হাজার বছর আগেও করোনা মহামারি হয়েছিল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১, ০৫:২৭
বিশ্বে ২০ হাজার বছর আগেও করোনা মহামারি হয়েছিল

সংগৃহীত ছবি

 

বিশ্বে ২০ হাজার বছর আগেও করোনা মহামারি হয়েছিল। তখন পূর্ব এশিয়ায় বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিল এই মহামারি। মহামারিটির তীব্রতা এমন ছিল যে, এটি মানুষের ডিএনএ-র ওপরও প্রভাব ফেলেছিল। এক নতুন গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি বৈজ্ঞানিক জার্নাল কারেন্ট বায়োলজিতে প্রকাশিত হয়েছিল এই গবেষণাপত্র। খবর সিএনএন’র।  

অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা গবেষকরা জানতে পেরেছেন অতীতের মহামারির এসব কথা। মানুষের ওপর সেই মহামারির প্রভাব যে কতটা মারাত্মক হয়েছিল তা বোঝার জন্য গবেষকরা বিশ্বের ২৬টি বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রায় ২,৫০০ জনের জিনোম নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। 

তাদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রায় ২০ হাজার বছর আগে পূর্ব এশিয়ার লোকেরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনাভাইরাসের সঙ্গে মানব জিনোমের প্রথম মিথষ্ক্রিয়া হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল এবং এই মিথস্ক্রিয়াটি পূর্ব এশিয়ার আধুনিক সময়ের মানুষের ডিএনএতে কিছুটা জিনগত ছাপ রেখেছে। 
 
গবেষকরা বলেন, ‘এই ভাইরাস ইন্টারেকটিং প্রোটিনসের (ভিআইপি) সংকেত পাওয়া গেছে মানুষের মাত্র পাঁচটি জাতির ক্ষেত্রে। তারা সবাই পূর্ব এশিয়ার বাসিন্দা, যা সম্ভবত করোনাভাইরাস প্রজাতির বিচরণের ক্ষেত্র ছিল। সেই তথ্য অনুযায়ী, আধুনিক যুগের পূর্ব এশিয়ার মানুষ প্রায় ২০ হাজার বছর আগেই করোনাভাইরাসের দাপটের সম্মুখীন হয়েছিলেন।’

গবেষকরা দাবি করেছেন, পূর্ব এশিয়া থেকে যে একাধিক করোনা ভাইরাস মহামারির উৎপত্তি হয়েছিল, তার সপক্ষে একাধিক প্রমাণ তারা পেয়েছেন। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আইন