a
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রে ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার বার্ষিকীর আগে সন্ত্রাসের নতুন হুমকির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট শুক্রবার (১৩ আগস্ট) এ সতর্কতা জারি করে।
দ্য ন্যাশনাল টেরোরিজম এ্যাডভায়জরি সিস্টেম বুলেটিনে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশী উভয় সন্ত্রাসীর দ্বারা উচ্চতর হুমকির মুখোমুখি। এতে আরো বলা হয়, সহিংস কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে এবং প্রভাবিত করতে অনলাইন ফোরামসমূহের ব্যবহার বেড়ে গেছে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট বলছে, দেশে সরকার বিরোধী এবং জাতিগতভাবে অনুপ্রাণিত চরমপন্থীদের কাছ থেকে তীব্র হুমকির মুখোমুখি। ডিএইচএস আরও বলেছে, এসব সহিংস চরমপন্থী কোভিড -১৯ এর বিধিনিষেধে শিথিলতার সুযোগ নিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে ১১ সেপ্টেম্বরের বিমান হামলার পর হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট বা ডিএইচএস গঠন করা হয়। এটি নিয়মিতভাবে সন্ত্রাসী হুমকির বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছে।
ফাইল ছবি
আমেরিকার হাতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র। ফলে বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বর্তমানে সবচেয়ে বড় হুমকি হচ্ছে আমেরিকা বলে দাবি করেছে চীন। এ অবস্থায় পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার ধ্বংস করার জন্য আমেরিকাকে আহ্বান জানিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে আমেরিকা ও জাপান ‘চীনের ক্রমবর্ধমান পরমাণু সক্ষমতার জন্য’ উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র কমানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানায়। এর জবাবে শুক্রবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান এই দাবি করেন।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমেরিকার হাতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র এবং তারাই আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। আমেরিকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। এছাড়া, তাদের হাতে সর্বাধুনিক এবং সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র থাকার পরেও তারা পরমাণু অস্ত্রের আধুনিকায়নের জন্য ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, বেইজিংয়ের সমালোচনা করার আগে আমেরিকার উচিত তার নিজের দিকে ফিরে তাকানো এবং নিজে পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করে অন্য দেশগুলোর জন্য উদাহরণ তৈরি করা। সূত্র: প্রেস টিভি/বিডি প্রতিদিন
ফাইল ফটো
ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী ১৮টি ড্রোন ও ৮টি ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে সৌদি আরবে হামলা চালিয়েছে। ইয়েমেনে সৌদি আরবের আগ্রাসন শুরুর বার্ষিকীতে পাল্টা এই আক্রমণ চালালো ইয়েমেনিরা। ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু করে সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলো।
শুক্রবার ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, এবারের হামলায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে জুলফিকার, বাদ র ও সায়ির মডেলের ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। ড্রোনগুলো ছিল 'সামাদ-৩' মডেলের।
তিনি বলেন, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দিয়ে রাস আল তানুরায় আরামকো কোম্পানির পাশাপাশি আরও কয়েকটি অবস্থানে হামলা চালানো হয়।
এছাড়া দাম্মামের কিং আব্দুল আজিজ বিমান ঘাঁটিতেও আঘাত হেনেছে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র। পরবর্তীতে আরও কঠোর ও ধ্বংসাত্মক হামলা চালাতে ইয়েয়েনিরা প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি জানান।
২০১৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সৌদির আগ্রাসন আজও চলমান। এসব হামলার সহযোগিতা দিয়ে আসছে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি আঞ্চলিক দেশ, ইউরোপ ও আমেরিকা। ইয়েমেনিরা এই আগ্রাসনের জন্য মূলত আমেরিকাকেই দায়ী করে আসছে।