a
সংগৃহীত ছবি
আজ বৃহস্পতিবার জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সড়কে বেরিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ১৪ জন।
রাজধানীর রমনা মোহাম্মদপুর ও শাহবাগ এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার তাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রমনা বিভাগের পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, ‘অপ্রয়োজনে ঘোরাফেরা করায়’ সকালে রমনা থানার সুগন্ধা মোড় থেকে দুজন এবং শাহবাগ মোড় থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকারি আদেশ অমান্য করায় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার মাহিন ফারাজী গণমাধ্যমকে জানান, তারা এখন পর্যন্ত ১০ জনকে অপ্রয়োজনীয় চলাফেরার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে রায়েরবাজার থেকে ৭ জন এবং তিন রাস্তার মোড় থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
সারা দেশে সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথমদিনে বিধি-নিষেধ মেনে চলা হচ্ছে কিনা তা যাচাই করতে পুলিশের মত র্যাবও বিভিন্ন মোড়ে তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে।
মাঠে রয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১০৬ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জারি করা ২১ দফা নির্দেশনার আদেশে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। এসব বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে।
উল্লেখ্য, সকাল থেকেই পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি সেনাসদস্যদেরকেও সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে।
সংগৃহীত ছবি
কঠোর বিধিনিষেধের পঞ্চম দিন সোমবার সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার কারণে শুধু ঢাকায় ৪১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৪৩ জনকে ৯৮ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ট্রাফিক বিভাগের অভিযানে ৫২৬টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ১২ লাখ ২৩ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম। তিনি জানান, আজ অভিযানে আইনি ব্যবস্থা নেয় ডিএমপির ৮টি বিভাগ।
এর আগে চতুর্থদিন রবিবার একই কারণে ঢাকায় গ্রেফতার হন ৬১৮ জন। সেদিন ১৬১ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয় ৫৪ হাজার ৪৫০ টাকা। আর ৪৯৬টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় ১২ লাখ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সংগৃহীত ছবি
করোনা মোকাবেলায় কঠোর বিধি-নিষেধ শেষে আজ বুধবার থেকে মানুষের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে গণপরিবহন। পাশাপাশি অফিস-আদালত এবং দোকান-পাট ও শপিংমলও খুলে দেওয়া হচ্ছে।
তবে সবকিছু উন্মুক্ত হলেও সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধান ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি নিশ্চিত করতে কঠোর হবে সরকার।
আজ বুধবার সব সরকারি-আধাসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দোকান-পাট ও শপিংমল এবং গণপরিবহন চালু রাখার অনুমতি দিয়ে গত রবিবার (৮ আগস্ট) প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১১ আগস্ট থেকে অফিস-আদালাত ও দোকান-পাট চালুর পাশাপাশি নির্দিষ্ট রুটে অর্ধেক গণপরিবহন চলবে। তবে আসনের সমপরিমাণ যাত্রী বহন করতে পারবে সড়ক পথের গণপরিবহন তথা বাস। কিন্তু অর্ধেক বাস চলা নিয়ে নানা সমালোচনারও তৈরি হয়েছে।
বিধি-নিষেধ শিথিল করা হলেও সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে কঠোর হওয়ার কথা জানানো হয়।
যেসব শর্ত মানতে হবে:
১. সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক খোলা থাকবে।
২. সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
৩. সড়ক, রেল ও নৌপথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন, যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
৪. শপিংমল, মার্কেট, দোকান-পাটসমূহ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে।
৫. সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে।
৬. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
৭. সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
৮. গণপরিবহন, বিভিন্ন দপ্তর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।