a বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের হয়ে গ্রেফতার হলেন ১৪ জন
ঢাকা সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের হয়ে গ্রেফতার হলেন ১৪ জন


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ০১ জুলাই, ২০২১, ০১:২২
বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের হয়ে গ্রেফতার হলেন ১৪ জন

সংগৃহীত ছবি

আজ বৃহস্পতিবার জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সড়কে বেরিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ১৪ জন।

রাজধানীর রমনা মোহাম্মদপুর ও শাহবাগ এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার তাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রমনা বিভাগের পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, ‘অপ্রয়োজনে ঘোরাফেরা করায়’ সকালে রমনা থানার সুগন্ধা মোড় থেকে দুজন এবং শাহবাগ মোড় থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকারি আদেশ অমান্য করায় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার মাহিন ফারাজী গণমাধ্যমকে জানান, তারা এখন পর্যন্ত ১০ জনকে অপ্রয়োজনীয় চলাফেরার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে রায়েরবাজার থেকে ৭ জন এবং তিন রাস্তার মোড় থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।

সারা দেশে সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথমদিনে বিধি-নিষেধ মেনে চলা হচ্ছে কিনা তা যাচাই করতে পুলিশের মত র‌্যাবও বিভিন্ন মোড়ে তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে।

মাঠে রয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১০৬ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জারি করা ২১ দফা নির্দেশনার আদেশে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। এসব বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে।

উল্লেখ্য, সকাল থেকেই পুলিশ-র‌্যাবের পাশাপাশি সেনাসদস্যদেরকেও সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

টিকটক-পাবজি-ফ্রি ফায়ারসহ অনলাইনভিক্তিক ক্ষতিকর গেমস বন্ধের নির্দেশ


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ১৬ আগষ্ট, ২০২১, ০৩:১৪
টিকটক-পাবজি-ফ্রি ফায়ারসহ অনলাইনভিক্তিক ক্ষতিকর গেমস বন্ধের নির্দেশ

সংগৃহীত ছবি

অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম ও লাইকিসহ এ ধরনের অনলাইনভিত্তিক ক্ষতিকর সব ধরনের অ্যাপস অপসারণ এবং লিংক অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম তথা লাইকির মতো সব ধরনের অনলাইন গেম এবং অ্যাপস বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব।

সোমবার (১৬ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেন।

আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গোলাম সরোয়ার পায়েল। আর বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

এর আগে গত ২৪ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার সংগঠন ‘ল অ্যান্ড লাইফ’ ফাউন্ডেশনের পক্ষে গেম এবং অ্যাপসগুলোর ক্ষতিকারক দিক তুলে জনস্বার্থে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ কাউছার।

দেশের অনলাইন প্লাটফর্মগুলো থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার ও লাইকির মতো অনলাইন গেম ও অ্যাপ বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে।

রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (ডিজি), বাংলাদেশ ব্যাংক, মোবাইল অপারেটর, বিকাশ ও নগদকে বিবাদি করা হয়।

এর আগে গত ১৯ জুন এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার পরে কোনো ধরণেরর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় রিট করেন এই আইনজীবী।

রিটে বলা হয়, পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো গেমে বাংলাদেশের যুব সমাজ এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়ে পড়ছে মেধাহীন। এসব গেমস যুব সমাজকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম ও লাইকির মতো সকল প্রকার অনলাইন গেম ও অ্যাপ বন্ধে সরকারকে নির্দেশনা দিতে আর্জি জানানো হয়।

রিটে বলা হয়, টিকটক, লাইকি অ্যাপ ব্যবহার করে দেশের শিশু-কিশোর এবং যুব সমাজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি নারীপাচারের ঘটনা এবং বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে অর্থপাচারের ঘটনায়ও টিকটক, লাইকি ও বিগো লাইভের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক এবং দেশের ও জনস্বার্থের পরিপন্থী। এটা শৃঙ্খলা ও মূল্যবোধেরও পরিপন্থী।

রিটে বলা হয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিধান অনুযায়ী এসব অবাঞ্ছিত ক্ষতিকর গেম এবং অ্যাপসকে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর এবং উপযোগী সাইবার পদ্ধতি সুনিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বিবাদিদের, যেটা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন।

ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, এর আগে নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এগুলো বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও এক সপ্তাহ বাড়ছে লকডাউন


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:৩১
আরও এক সপ্তাহ বাড়ছে লকডাউন

ফাইল ছবি

কোভিড–১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু এবং শনাক্তের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধে চলমান লকডাউন আরও ১ সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন জানান, চলমান পরিস্থিতির কারনে লকডাউন আরও ১ সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সোমবার (১৯ এপ্রিল ২০২১ইং) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শানুযায় সরকার দেশে আরও এক সপ্তাহ সর্বাত্মক লকডাউন বাড়ানোর চিন্তা করছে।
 
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ২০২১ ইং ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। লকডাউন ঘোষণা করে গত ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। লকডাউন পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়, তারমধ্যে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়।

চলমান লকডাউনে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং এ সংক্রান্ত অফিসগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রয়েছে। শিল্পকারখানা গুলো চলছে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়। তবে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু  বেড়ে যাওয়ায় সর্বাত্মক লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে করোনা মোকাবিলা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

এরও আগে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ওই সময়ে গণপরিবহন, মার্কেট সীমিত সময়ের জন্য চালু রাখা হয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আইন