a
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নির্বাচনে সভাপতি পদে বাসসের উপ-প্রধান বার্তা সম্পাদক ওমর ফারুক ও মহাসচিব পদে নাগরিক টিভির বার্তা প্রধান দীপ আজাদ নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবসহ সারাদেশে ১০টি ভোটকেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একযোগে এই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতি পদে ওমর ফারুক পেয়েছেন এক হাজার ২১৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু জাফর সূর্য পেয়েছেন ৭৫৩ ভোট। আর আবদুল জলিল ভূঁইয়া পেয়েছেন ৪৮৯ ভোট।
এ ছাড়া মহাসচিব পদে নির্বাচিত দীপ আজাদ পেয়েছেন এক হাজার ৬১৭ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লায়েকুজ্জামান পেয়েছেন ৪৯৩ ভোট আর আবদুল মজিদ পেয়েছেন ৩৩০ ভোট।
নির্বাচনের পর ভোটগণনা শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তন মঞ্চে রাত সাড়ে ১০ টায় ফল ঘোষণা করেন বিএফইউজে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার।
ঢাকা বিভাগে অন্যান্য পদে বিজয়ীরা হলেন সহসভাপতি পদে মধূসুদন মন্ডল (৪২৭), যুগ্ম মহাসচিব পদে শেখ মামুনুর রশীদ (৫২৮), কোষাধ্যক্ষ পদে খায়রুজ্জামান কামাল(১০৩৭), দফতর সম্পাদক পদে সেবিকা রানী (৬০৬) নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হয়েছেন উম্মুল ওয়ারা সুইটি (১০২২), ড. উৎপল কুমার সরকার(৬৫১), নূরে জান্নাত আখতার সীমা (৬৪২) ও শেখ নাজমুল হক সৈকত (৬০৪)।
এছাড়া ঢাকা বিভাগে নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়ন থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আফজাল হোসেন পন্টি ও হাসানুজ্জামান শামীম।
সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ার
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক হাসান শাহরিয়ার আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ শনিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে বিভিন্ন মাধ্যমে নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসে সংক্রমণসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন তিনি। গত ৮ এপ্রিল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে আনোয়ার খান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
কিন্তু কোথাও আইসিইউ বেড না পাওয়া রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
প্রবীন সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন।
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার দুপুরে বিএনপির বিজয় র্যালি শুরুর পূর্বে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একাত্তরের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই সরকারের মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালে। আমরা এমনই একটি সময় এই বিজয় র্যালি করছি। তাই এই র্যালি আমাদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র অর্জন করেছিলাম তার লক্ষ্য ছিল আমরা একটি নিরাপদ রাষ্ট্র পাবো। আমরা কথা বলার অধিকার পাবো, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার পাবো। কিন্তু এই সরকার একটি বাকশালী রাষ্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে এদেশের জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতার চেপে বসে আছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার আমাদের সকল অধিকার ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে মানুষের অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়েছে।’
এর আগে রোববার দুপুর ২ টায় র্যালি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়া পল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর দেড়টার মধ্যেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে একদিকে নাইটেঙ্গেল মোড় অন্যদিকে ফকিলাপুল মোড় পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মী দিয়ে ভরে যায়।
বিএনপির বিজয় র্যালিতে আসা নেতাকর্মীরা 'স্বাধীনতার অপর নাম, জিয়াউর রহমান', 'স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া, লও লও লও সালাম', ‘মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ স্লোগানে পুরো নয়া পল্টন ও এর আশেপাশের এলাকা প্রকম্পিত করে তুলেছেন।
বিজয় র্যালিতে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ টুকু, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, মহানগর উত্তরের সভাপতি আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম প্রমুখ। সূত্র: ইত্তেফাক