a
ফাইল ছবি
পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের কারণে গত ৫ দিন যাবত যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ছে। ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৫ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭৪ সে.মি নীচ দিয়ে এবং কাজিপুর পয়েন্টে ১১ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৫ সে.মি নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে কাজিপুর, সদর, বেলকুচি শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে শাকসব্জি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমন আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। বসতভিটায় পানি না উঠলেও বসতভিটার চারপাশে পানি থৈ-থৈ করছে। কোথাও কোথাও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়ও পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনার অরক্ষিত তীরবর্তী মানুষ ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন পার করছে। গত কয়েকদিনে অন্তত শতাধিক বসতভিটাসহ ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটা হারানো পরিবারগুলো খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবযাপন করছে। কৃষকেরা ভরা আমন মৌসুমে আবাদ করতে না পারায় চরম ক্ষতির মধ্যে পড়ছে। চারণভূমি তলিয়ে যাওয়া গো-খাদ্যেরও সংকট দেখা দিচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের কারণে যমুনায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। আরো ২/১ দিন পানি বেড়ে বিপদসীমার কাছাকাছি বা উপরে যেতে পারে। তবে বন্যার কোনো আশংকা নেই। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
‘যে অনুজ শিক্ষার্থীরা আমাদের ছায়াতলে আসবে, তারা যাতে একটা মসৃণ পথ পায়, তারা যাতে সহজেই বাংলাদেশের সেরা চাকরিগুলো পায়, সৃষ্টিশীল ও মানবিক মানুষ হয়, সেজন্য আমাদের এই যাত্রা অব্যাহত আছে।’ কথাগুলো বলছিলেন আলাওলপুর স্টুডেন্টস অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের (আসো) নবগঠিত কমিটির সভাপতি চিকিৎসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।
আধুনিক আলাওলপুর আমরাই গড়ব—এ মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে ২০১০ সালে গড়ে ওঠে আলাওলপুর স্টুডেন্টস অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন। শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নকেন্দ্রিক এ সংগঠনের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে গত মঙ্গলবার। এ কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে ঢাকার খিলগাঁও তালতলার রয়েল অর্চাড রেস্তোরাঁর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সভার প্রধান অতিথি ছিলেন গরীবেরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এস এম সিরাজ, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশলী মুনতাসীর মামুন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি চাই, এ প্রজন্ম সুপার স্মার্ট হয়ে গড়ে উঠুক। যারা অনুজ, আমাদের ছায়াতলে আসবে, তারা যাতে একটা মসৃণ পথ পায়, তারা যাতে সহজেই বাংলাদেশের সেরা চাকরিগুলো পায়। বিসিএসে প্রতিবছর দু-তিন হাজার লোক নিচ্ছে। আমাদের সহযোগিতা ও পরামর্শে যদি আলাওলপুর থেকে দুজনও বিসিএসে টেকে, তাহলে আমাদের গর্ব। এলাকায় এখন মহামারি আকার ধারণ করছে মাদক ইয়াবা। তরুণ প্রজন্মকে ইয়াবার করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে মোটিভেশনের বিকল্প নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একজন সিনিয়র সচিব আছেন। আমি চাই, প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে একজন করে সৎ সিনিয়র সচিব আমাদের এলাকা হোক। সেই মেধা আমাদের আছে। আমাদের ছাত্রদের পরিচর্যা করতে হবে। আমাদের সবার স্লোগান হোক—আধুনিক আলাওলপুর আমরাই গড়ব, ইনশা আল্লাহ।’
প্রধান অতিথি এস এম সিরাজ আক্ষেপ করে বলেন, ‘আগামী দিনগুলোয় আমরা আলাওলপুরের সার্বিক বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে চাই। আমাদের ইউনিয়নের যারা মাদকাসক্ত যুবক আছে, আমরা ইতিবাচক কাজে তাদের যুক্ত করে ধীরে ধীরে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনব। আর কোনো শিক্ষার্থীকে ঝরে যেতে দেব না। উচ্চশিক্ষা অর্জনে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করব।’
সংগঠনের সাহিত্য সম্পাদক কবি নকিব মুকশি বলেন, ‘একটি গাছ থেকে ভালো ফল–ফুল পেতে হলে যেমন সে গাছের কাণ্ড, গোড়ার মাটি শক্ত ও পুষ্টিসম্পন্ন থাকা প্রয়োজন, তেমনি উন্নত, মানবিক ও শান্তি–শৃঙ্খলার দেশ পেতে হলে আমাদের শিকড়ে যেতে হবে। গ্রাম–প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে হবে। দেশ তথা শহরের কাণ্ড বা মাটি হচ্ছে গ্রাম। কারণ, সেখান থেকে আসা কাঁচামাল আর মানুষেই চলে শহরের চাকা, চলে দেশের চাকা। তেমনি একটি দেশের নতুন প্রজন্মকে জনসম্পদে পরিণত করতে হলে গ্রামেই ফিরে যেতে হবে আধুনিক সব ধরনের সুযোগ–সুবিধা নিয়ে, যাতে সেখানের ৯০–৯৫ শতাংশ শিশু শিক্ষা থেকে ঝরে না গিয়ে আলোর কণার মতো উচ্চশিক্ষার দিকে ধাবিত হতে পারে, তবেই আমরা উন্নত বিশ্বের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী মোর্শেদ আলম বলেন, ‘আধুনিক আলাওলপুর বিনির্মাণে আমাদের এই সংগঠন দৃঢ়প্রত্যয়ী। আমরা এ এলাকায় শিক্ষা-সংস্কৃতির বিপ্লব ঘটিয়ে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে চাই।’
নবগঠিত কমিটির সভাপতি হয়েছেন চিকিৎসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ইমাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী মোস্তাহাক মাসুম, প্রকৌশলী শাহাবুদ্দিন বাবলু, সিদ্দিকুর রহমান, প্রকৌশলী আসিফুল ইসলাম, শাহ-আলী,প্রকৌশলী জামিলুর রহমান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রয়েল আহমেদ, সাহিত্য সম্পাদক নকিব মুকশি, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মোর্শেদ আলম প্রমুখ।
ফাইল ছবি
ঈদ করতে স্রোতের মতো রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। দুই বছরের করোনাকাল শেষে এবারের ঈদুল ফিতরে ১ কোটির বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়ছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মতে, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটির বেশি মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। এ ছাড়া এক জেলা থেকে অন্য জেলায় আরও প্রায় ৫ কোটি মানুষ যাতায়াত করবে। বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ২০১৮ ও ২০১৯ সালেও ১ কোটি ১৫ লাখ মানুষ ঈদের সময় বাড়ি গিয়েছিল।
ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় গড়ে প্রতিদিন ১৬ লাখ মানুষ রাজধানী ছাড়ছে। মানুষ ঈদ উদযাপনে সড়ক, রেল ও নৌ পথের মতো আকাশ পথেও যাচ্ছে। পথের ভোগান্তি কমাতে আকাশপথে ভরসা রাখছেন সামর্থ্যবানেরা। এয়ারলাইনসগুলো বলছে, এবার ঈদ সামনে রেখে আকাশপথে রাজধানী ছাড়ছেন ৪০ হাজারের মতো মানুষ। মূলত ২৮ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত এ চার দিনকে ধরা হচ্ছে ঈদযাত্রা। শুধু এ চার দিনেই আকাশপথে ঢাকা ছাড়ছেন ২৫ থেকে ৩০ হাজার।
ঈদযাত্রা কেন্দ্র করে প্রথম দফায় গার্মেন্টস ছুটি হলেও ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। উত্তরবঙ্গের গেটওয়ে টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তবে কোথাও যানজট দেখা যায়নি। ঈদে ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে। মানুষের ভোগান্তি কমাতে ঈদের আগে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ের জন্য লেন বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মোটরসাইকেলের জন্য করা হয়েছে দুটি লেন। এর পরও সেতুর পুর্ব প্রান্তের গোলচত্বর থেকে টোল প্লাজা পর্যন্ত মোটরসাইকেলের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ঈদ ঘিরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে। ৩০ এপ্রিল ভোর থেকে এ দুই ঘাটে বাড়িফেরা মানুষ আসতে শুরু করেন; বেলা বাড়লে লোকজনের ভিড়ও বাড়তে থাকে। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেশি পড়ায় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছুটছে লঞ্চ ও স্পিডবোটগুলো। আর ফেরিতে চাপ থাকায় ঘাট এলাকায় বড় হয়েছে গাড়ির লাইন।
সদরঘাটে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যাত্রীর চাপ না থাকলেও শেষ বিকালে ঘাটে ভিড় করেন যাত্রীরা। সদরঘাটে পৌঁছাতে বিকাল থেকে যানজটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। এদিকে বৈরী আবহাওয়া ও কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
পাটুরিয়ায় যাত্রীর ঢল : মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীর ঢল নেমেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জড়ো হচ্ছেন লোকজন। সবার একটাই আশা- প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করা। ঘাটে একটু দেরি হলেও দূরপাল্লার যাত্রীরা স্বচ্ছন্দেই ফেরিতে উঠে গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু সাধারণ বাসের যাত্রীরা পড়েছেন মহাবিপাকে। এসব বাসের যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঘাট থেকে ১ কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকে ঘাটে যাওয়ার কোনো যানবাহন নেই। নেই কোনো ধরনের রিকশা-ভ্যান। বাধ্য হয়েই লোকজন হেঁটে লঞ্চ ও ফেরিঘাটে যাচ্ছেন।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে মানুষের ভিড় : ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বাড়ছে যানবাহনের চাপ। গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ভিড় করেছেন শত শত মানুষ।
সাভারেও মহাসড়কেও ছিল যানজট : ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কসহ সাভার অংশের সড়কগুলোয় সকালে গাড়ির চাপ তেমন একটা না থাকলেও রাতে যানজটের সৃষ্টি হয়। মহাসড়কগুলোয় সকালে বেশ ফাঁকাই দেখা গেছে। আর দুই দিন পর ঈদ। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ।
থেমে থেমে যানজট : বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। এতে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপের কারণে মহাসড়কে কখনো যানজট, কখনো ধীরগতিতে চলেছে গাড়ি। ফলে বিপাকে রয়েছেন চালক ও যাত্রীরা। গতকাল সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের মুলিবাড়ী, কড্ডা, কোনাবাড়ী, পাঁচলিয়া ও নলকা মোড় পর্যন্ত ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে যানবাহন চলেছে ধীরগতিতে।
ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ছে : স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে গ্রামে ছুটছে হাজার হাজার মানুষ। ফলে গাড়ির চাপ ও ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে সড়ক-মহাসড়কে। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সকাল থেকেই ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বৃদ্ধি পায়। চন্দ্রায় যানবাহনের তুলনায় ঘরমুখো মানুষের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। ঘরমুখো মানুষের তুলনায় যাত্রীবাহী বাসের স্বল্পতা ও ভাড়া বেশি নেওয়ার কারণে অনেককেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক ও পিকআপে চড়ে যেতে দেখা গেছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এবারের ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছে। তবে গাজীপুরের বিভিন্ন বাসস্টেশনে ঘরমুখো মানুষের বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।
কুমিল্লা অংশে স্বস্তির ঈদযাত্রা : পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাড়ি ফিরছে মানুষ। ঘরমুখো মানুষের চলাচলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তবে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ গাড়ির চাপ বাড়লেও আজ নেই কোনো যানজট। এবারের ঈদে লম্বা ছুটির কারণে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে লাখ লাখ মানুষ। নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা এসব মানুষের প্রত্যাশা ভোগান্তিহীন বাড়ি ফেরা।
ঘাটে মোটরসাইকেলের চাপ বেড়েছে : মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে সকাল থেকে শত শত মোটরসাইকেল পার হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে মোটরসাইকেলের চাপ বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এ কারণে বিশৃঙ্খলা এড়াতে একটি ঘাট শুধু মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
টানা ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা : লম্বা ছুটি পেয়ে নাড়ির টানে যান্ত্রিক নগরী ঢাকা ছাড়ছেন কর্মব্যস্ত মানুষ। ফলে যানজটের নগরী এখন অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। ঢাকার চিরাচরিত সেই যানজট এখন দেখা যাচ্ছে না। যানজট না থাকায় মানুষ সহজেই ঢাকার মহানগরীর মধ্যে যাতায়াত করতে পারছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন