a
ফাইল ছবি
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (ইপিএল) হাইভোল্টেজ ম্যাচে দশজন নিয়েও লিভারপুলকে তাদের মাঠেই আটকে দিল চেলসি। শনিবার (২৮ আগস্ট) রাতে তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে অলরেডদের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে ব্লুরা।
চেলসির হয়ে কাই হাভার্টজ আর লিভারপুলের হয়ে সালাহ করেন একটি করে গোল। প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন চেলসি প্লেয়ার রিস জেমস। লাল কার্ডের বদৌলতে পেনাল্টি পায় লিভারপুল সেই শটে গোল করেন মিশরের তারকা মোহাম্মদ সালাহ।
করোনার কারনে গত সিজনে মাঠে দর্শক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এবার অনুমতি পেয়েছে দর্শকরা। তৃতীয় রাউন্ডে এসেই লিভারপুল চেলসির হাইভোল্টেজ ম্যাচ উপভোগের সুযোগ পেয়েছে ফুটবলপ্রেমীরা। লিভারপুল বস ইয়্যুর্গেন ক্লপ ৪-৩-৩ ফরম্যাশন নিয়ে মাঠে নামে। অন্যদিকে, থমাস টুখেল তার দল সাজান ৩-৪-২-১ এ। যেখানে আছেন গেল ম্যাচেই অভিষেক হয়ে গোল করা বেলজিয়ান তারকা রোমেলু লুকাকু।
শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। সুযোগ তৈরি হয় দু’দলেরই। কিন্তু সেই সুযোগ শেষমেশ কাজে লাগায় চেলসি। ম্যাচের ২২তম মিনিটে রেইসের অ্যাসিস্টে দারুণ এক গোল করেন কাই হাভার্টজ। গোল খেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে লিভারপুল। আক্রমণ থামায়নি চেলসিও। ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল ব্লুরা। তবে, সে যাত্রায় তা ব্যর্থ হয় ফরোয়ার্ডদের ভুলে।
এদিকে সমতায় ফিরতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি স্বাগতিকদের। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সাদিও মানের শট গোললাইনে দাঁড়িয়ে থাকা চেলসি ডিফেন্ডার রেইসের হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় লিভারপুল। তা থেকেই গোল করে ম্যাচ সমতায় ফেরান মিসরীয় ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ।
ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষে দশজন নিয়ে খেলতে হবে এটা হয়তো ভাবেনি চেলসি। কিন্তু কোচ টুখেল ঠিকই নতুন গেম প্ল্যান নিয়ে বিরতির পর ফিরেছেন। একের পর এক খেলোয়াড় পরিবর্তন করে মজবুত করেছেন রক্ষণভাগ। কারণ আর যাই হোক গোল খাওয়া যাবে না। হয়েছেও তাই। পুরোটা সময় আর কোনো গোল হজম করতে হয়নি তাদের। ফলে ড্র করেই ঘরে ফিরেছে ব্লুরা।
ছবি: সংগৃহীত
৩৬ বছরের অপেক্ষার প্রহর পেরিয়ে চরম নাটকীয়তার এক ফাইনাল শেষে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে নিজেদের তৃতীয় বিশ্বককাপ শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ফাইনালে মাঠে নামে দু'দল। ম্যাচের ২৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে লিড এনে দেন লিওনেল মেসি। এরপর ম্যাচের ৩৬ মিনিটে আর্জেন্টিনার লিড বাড়িয়ে দেন ডি মারিয়ে। এরপর আক্রমণ করেও গোল করতে ব্যর্থ হয় ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। বিরতি থেকে ফিরে জোড়া গোল করে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরায় কিলিয়ান এমবাপ্পে। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ফাইনাল ম্যাচটি। অতিরিক্ত সময়েও গোল করতে ব্যর্থ হয় দু'দল। তবে অতিরিক্ত সময়ের বিরতি থেকে ফিরেই মেসির গোলে লিড পায় আর্জেন্টিনা। এরপর পেনাল্টি থেকে গোল করে আবারও ফ্রান্সকে সমতায় ফেরায় এমবাপ্পে। এরপর টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটি। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা।
অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। তবে কাজে লাগাতে পারেনি তারা। এরপর ম্যাচের ৯৪ মিনিটে আক্রমণে যায় ফ্রান্স। তবে তা ক্লিয়ার করে দেন ডিফেন্ডাররা। ম্যাচের ৯৮ মিনিটে ডি পল ক্রস করলেও তা চলে যায় সাইড লাইনের বাইরে।
এরপর ম্যাচের ৯৯ মিনিটে কোম্যান ক্রস করলেও তা নিজের দখলে নেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ম্যাচের ১০০ মিনিটে বাম দিক থেকে ফ্রি কিক পায় ফ্রান্স। সেখান থেকে কোম্যানের নেওয়া দেড করে ক্লিয়ার করলেও কর্নার পায় ফ্রান্স। তবে কর্নার কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
ম্যাচের ১০৪ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে শট করেন আকুনা। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ম্যাচের ১০৫ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। লাওতারো মার্টিনেজের নেওয়া শট আটকে দেন দায়ত উপামেকানো। এরপরে শট করলেও তা হেড করে ক্লিয়ার করেন রাফায়েল ভারানে। শেষ পর্যন্ত কোন গোল না হলে সমতায় থেকে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ শেষ করে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স।
অতিরিক্ত সময়ের বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। তবে জায়গা ছেড়ে বেড়িয়ে এসে ক্লিয়ার করে দেন হুগো লরিস। এরপর মেসির নেওয়া শটও আটকে দেন লরিস। ম্যাচে ১০৮ মিনিটে গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের ভেতর থেকে শট করে বল জালে জড়ান লিওনেল মেসি। তার গোলে ম্যাচে ফের লিড পায় আর্জেন্টিনা।
এরপর গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ফ্রান্স। ম্যাচের ১১৫ মিনিটে কর্নার পায় ফ্রান্স। সেখান থেকে ম্যাচের ১১৬ মিনিটে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। পেনাল্টি থেকে ফের গোল করে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরায় এমবাপ্পে। সেই সঙ্গে নিজের হ্যাট্রিক পূর্ণ করেন এমবাপ্পে। এরপর ম্যাচের ১১৯ মিনিটে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে অসাধারণ সেভে দলকে রক্ষা করেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে টাইব্রেকারে গড়ায় ফাইনাল ম্যাচ।
টাইব্রেকারের প্রথম শট থেকে গোল করেন এমবাপ্পে। এরপর আর্জেন্টিনার পক্ষে প্রথম শট থেকে গোল করেন মেসি। ফ্রান্সের পক্ষে কোম্যানের নেওয়া দ্বিতীয় শট রক্ষা করেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। আর্জেন্টিনার পক্ষে দ্বিতীয় শট থেকে গোল ক্রেন পাওলো দিবালা। এরপর ফ্রান্সের পক্ষে শট থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় চুয়ামেনি। তবে আর্জেন্টিনার পক্ষে তৃতীয় শট থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে আরও এগিয়ে নেন পারদেস।
এরপর ফ্রান্সের পক্ষে চতুর্থ শট থেকে গোল করেন কোলো মোয়ানি। এরপর আর্জেন্টিনার পক্ষে চতুর্থ শট থেকে গোল করে আর্জেন্টিনার জয় নিশ্চিত করেন গঞ্জালো মন্টিয়েল। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশকাপের শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা। সূত্র: ইত্তেফাক
সংগৃহীত ছবি
মা-বাবার বিচ্ছেদের জের না কাটতেই বিয়ে করতে চলেছেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনকুবের ও মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের মেয়ে জেনিফার গেটস। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় সম্প্রতি নিজের প্রাক বিবাহ পার্টিও সম্পন্ন করেছেন বিশ্বের কোটি তরুণের স্বপ্নকন্যা জেনিফার।
সম্প্রতি নিজের ব্যাচেলর পার্টির বেশ কিছু ছবিও শেয়ার করেছিলেন বিল-মেলিন্ডার বড় মেয়ে জেনিফার। সেখানে তাকে বেশ উৎফুল্ল দেখা গেছে।
নিজের আসন্ন বিয়ে নিয়ে ২৫ বছর বয়সী জেনিফার জানান, ভালোবাসার মানুষ নায়েল নাসেরকে বিয়ে করার জন্য তার তর সইছে না। কিন্তু কে এই নায়েল নাসের, যার পাণিগ্রহণের জন্য আকুল হয়ে অপেক্ষায় আছেন বিল গেটস তনয়া?
জানা গেছে, ৩০ বছর বয়সী মিসরীয় মুসলিম যুবক নায়েল নাসের একজন পেশাদার ঘোড়দৌড়বিদ।
ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জেনিফার গেটসের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। খুব শিগশিরই তা প্রণয়ে রূপ নেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরে জন্ম হলেও নাসেরের শৈশব কেটেছে কুয়েতে।
প্রায় ৬০ বছর পর ২০২০ সালের অলিম্পিকের (টোকিও) চূড়ান্ত পর্বে মিসরের জায়গা করে নেওয়ার ক্ষেত্রে নাসেরের অনন্য ভূমিকা রয়েছে। বিল গেটসের কন্যা জেনিফারও অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন পেশাদার ঘৌড়দৌড় প্রতিযোগিতায়।
চলতি বছরের শুরুতে নিজেদের আংটি বদলের খবর দিয়েছিলেন জেনিফার। তবে চলতি বছরের মে মাসে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পরও তার আঁচ নিজের জীবনে লাগতে দেননি বিল-মেলিন্ডা তনয়া জেনিফার।
বিল আর মেরিন্ডা যখন নিজেদের ২৭ বছরের সংসার জীবনের বিচ্ছেদের ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন, তখন জেনিফা বিয়ের সিদ্ধান্তে অটল।