a
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান আর নেই। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। পীর হাবিবুর রহমানের ছেলে আহনাফ ফাহিম অন্তর গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পীর হাবিবুর রহমান স্ট্রোক করলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
গত বছরের অক্টোবরে মুম্বাইয়ের জাসলুক হাসপাতালে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনের মাধ্যমে ক্যানসার মুক্ত হন পীর হাবিবুর রহমান। কিন্তু গত ২২ জানুয়ারি তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহর পরামর্শে তিনি ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন।
করোনামুক্ত হলেও কিডনি জটিলতার কারণে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় স্ট্রোক করলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
বরেণ্য সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমান ১৯৬৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারিতে সুনামগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
ফাইল ছবি
পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের আগের দামই বহাল রেখেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ফলে অপরিবর্তিতই থাকল বিদ্যুতের পাইকারি দাম। আজ বৃহস্পতিবার বিইআরসি অনলাইনে এক সভায় এ কথা জানা যায়।
এর আগে ৬৬ শতাংশ দাম বাড়াতে আবেদন করেছিল পিডিবি । সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি বিইআরসি।
গত এক যুগে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৯ বার। এ সময়ে পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ বেড়েছে বিদ্যুতের দাম। সর্বশেষ দাম বাড়ানো হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, যা ওই বছরের মার্চে কার্যকর হয়।
গত জুন মাসেও গড়ে ২৩ শতাংশ বাড়ানো হয় গ্যাসের দাম। ৬ আগস্ট থেকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে সাড়ে ৪২ থেকে ৫১ শতাংশ। এরপর এক মাসের মাথায় লিটার প্রতি ৫ টাকা কমানো হয় জ্বালানি তেলের দাম। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
ভারতের পর এবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে ঢাকায় একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, তিন দিন আগে বারডেম হাসপাতালে একজন রোগীর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই রোগী অন্যান্য রোগের পাশাপাশি মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ছিলেন।
মাইক্রোবায়য়োলজির প্রাথমিক রিপোর্টে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে
মঙ্গলবার সকালে বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, তিন দিন আগে ৬৫ বছর বয়সী একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই রোগীর অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস ছিল। তার কিডনির সমস্যা ছিল। তিনি কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছিলেন। চিকিৎসার সময় বোঝা যায়নি যে, তিনি মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুর পর এটা জানা গেছে।
এদিকে, বারডেমের যুগ্ম পরিচালক নাজিমুল ইসলাম বলছেন, সন্দেহজনক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। নিশ্চিত নন যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। মারা গেছেন করোনায়, কনফার্ম ডায়োগনসিস না যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। নিশ্চিত করতে আরও ৩ থেকে ৫ দিন সময় লাগবে। মারা যাওয়া রোগীর কালচার না পাঠালে নিশ্চিত ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি না তা বলা মুশকিল।
জানা যায়, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত একজন রোগী এখনও বারডেম হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শনাক্ত হওয়া আরেকজন রোগী অন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।