a
ফাইল ছবি
করোনার কারনে সরকারের বেধে দেয়া বিধিনিষেধ অমান্য করার অভিযোগে গাজীপুরে দূরপাল্লার ৯৭টি বাসের চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা ও ১০টি গাড়ি ডাম্পিং করেছে পুলিশ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার (উত্তর) মো. মেহেদী হাসান জানান, ঈদ শেষে বিভিন্ন পরিবহনে যাত্রীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে আবার কর্মস্থলে ফিরছেন। এ সকল যাত্রী নিয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দূরপাল্লার কিছু বাস ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচল করছিল।
গতকাল রবিবার বিকেল থেকে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর মহানগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দূরপাল্লায় চলাচলকারী ৪৫টি বাসের চালক ও মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ এবং রাস্তায় বিনা কারনে জ্যাম সৃষ্টি করার অভিযোগে আরো ১০টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে।
গাজীপুরের কোনাবাড়ির সালনা হাইওয়ে থানার ওসি মীর গোলাম ফারুক জানান, একই অভিযোগে চন্দ্রা ও কোনাবাড়ি এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দূরপাল্লার ৪৬টি বাসের চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা ও দরকারি কাগজ-পত্র না থাকায় চারটি গাড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, শ্রীপুর উপজেলার মাওনা-চৌরাস্তা এলাকায় ১৬ মে রবিবার সন্ধ্যায় দূরপাল্লার যাত্রী নিয়ে চলাচলের চেষ্টা করলে ৬ বাসচালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এদিকে ময়মনসিংহের দিক থেকে যেসব দূরপাল্লার বাস ঢাকার দিকে আসছিল তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ফাইল ছবি
পীরগঞ্জ উপজেলার মাটি ধান, গম, আলু, বেগুনের পাশাপাশি লেবুজাতীয় ফসল চাষের উপযোগী হওয়ায় মাল্টা ও কমলা চাষে ক্রমেই ঝুঁকছেন কৃষক। এসব ফসল চাষে কৃষকরা গতানুগতিক ফসলের চেয়ে বেশি দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত উপজেলায় প্রায় ৫০ একর জমিতে কমলা ও মাল্টা চাষ হচ্ছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রযুক্তিগত সহায়তায় ভেলাতৈড় মহল্লার কৃষক রিপু রানী রায় দুই একর জমিতে ১ হাজার ৫০টি বারি-১ মাল্টা ও চায়না কমলা গাছ লাগিয়েছেন। প্রতিটি গাছ ১৪০ টাকা দরে বগুড়া থেকে চারা সংগ্রহ, পরিবহন, বেড়া, জমি প্রস্তুত ও পরিচর্যায় এযাবৎ তার খরচ হয়েছে প্রায় ৪ লাখ টাকা। এরই মধ্যে গাছে প্রথম ফলন এসেছে। তার প্রত্যাশা প্রথম ফলনেই তিনি দেড় শত মণ মাল্টা বিক্রি করতে পারবেন।
প্রতি মণ মাল্টা ৩ হাজার টাকা দরে দেড় শত মণ মাল্টা বিক্রি করে এবারই সাড়ে ৪ লাখ টাকা এবং কমলা বিক্রি করে আরও ১০ হাজার টাকা আয় করবেন বলে এবং আসল টাকা উঠে লাভ করতে পারবেন বলে তিনি দৃঢ়ভাবে আশা করেন।
বৃদ্ধিগাঁও গ্রামের মাল্টাচাষি ওয়াজেদ ইসলাম জানান, দুই বছর আগে ৯ বিঘা জমিতে তিনি ১ হাজার ৮২৫টি গাছের মাল্টা বাগান করেছেন। এ বছর তিনি আশা করছেন, বাগান থেকে ১ হাজার মণ মাল্টা পাবেন। দর কম হলেও ৩ হাজার টাকা মণ দরে ১ হাজার মণ মাল্টার দাম ৩০ লাখ টাকা হবে। এ বাগান তৈরিতে তার খরচ হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। গত বছরও তিনি ১০ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন।
এছাড়া, উপজেলার করনাই গ্রামের তৈমুর রহমান এক একর জমিতে কমলা, ভেলাতৈড় গ্রামের মাসুদ রানা মেনন এক একরে মাল্টা, চন্দরিয়া গ্রামের জবাইদুর রহমান সাড়ে চার একরে মাল্টা, পটুয়াপাড়া গ্রামের নবাব দেড় একরে মাল্টা, রনশিয়া গ্রামের আজাহারুল পৌনে এক একরে মাল্টা, বীরহলী গ্রামের আবু জাহিদ ইবনুল ইকরাম জুয়েল দুই একরে মাল্টা ও কমলাসহ উপজেলায় প্রায় ৫০ একর জমিতে বর্তমানে কমলা ও মাল্টা চাষ হচ্ছে।
পীরগঞ্জের কৃষি কর্মকর্তা রাজেন্দ্র নাথ রায় বলেন, অনুকূল আবহাওয়া ও এলাকার মাটি মাল্টা ও কমলা চাষে উপযোগী। উপজেলায় ১৮ একর জমিতে প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে। কৃষকরা নিজ উদ্যোগে আরও ৫০ একর জমিতে এসব ফলের চাষ করছেন। সূত্র: ইত্তেফাক
ড. হাছান মাহমুদ
যেসব নেতারা নিজের স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে, ফতোয়া দেয়, গরম গরম বক্তব্য দেয়, অথচ নিজের জীবন ইসলাম সম্মতভাবে পরিচালনা করে না- এ ধরনের নষ্ট-ভণ্ড নেতৃত্বকে বর্জন করার জন্য মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্রদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা মামুনুল হকের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রথমত গতকাল আমি অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, মূলত দেশ ডিজিটাল হওয়ার কারণেই এটি লাইভ দেখতে পেলাম। একজন নারীসহ হেফাজতের নেতা মামুনুল হককে কিছু মানুষ আটক করেছেন। সেখানে তিনি আল্লাহর কসম খেয়ে বলেছেন, সেই নারী তার বিবাহিত স্ত্রী। যদিও মামুনুল হক তার যে নাম বলেছেন, ওই নারী নিজের ভিন্ন নাম বলেছেন। ওই নারীর বাবার নাম মামুনুল হক যেটা বলেছেন, সেটার সঙ্গেও মিল নেই। এর কিছুক্ষণ পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুনতে পেলাম মামুনুল হক তার স্ত্রীকে কল দিয়ে বলেছেন, তুমি কিছু মনে করো না, এটা শহীদ ভাইয়ের স্ত্রী।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, উত্তেজিত জনতা যখন মামুনুল হককে আটক করেছে তখন তিনি আল্লাহর কসম খেয়ে বলছেন, ওই নারী তার স্ত্রী, অপরদিকে বিবাহিত স্ত্রীকে কল দিয়ে তিনি বলছেন, ‘তুমি কিছু মনে করো না, আমি পরিস্থিতির কারণে বলেছি। এ ঘটনাগুলো হেফাজতে ইসলামের নেতাদেরও যারা এদের সমর্থন করেন তাদের কেমন লাগছে জানি না। তবে আমার ভিশন লজ্জা হচ্ছে। আসলে এসব নেতারা মামুনুল হকসহ যারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে অপচেষ্টা চালিয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যে তাণ্ডব চালিয়েছে। তাদের নেতৃত্ব নষ্ট ও ভণ্ড এটিরই প্রমাণ হচ্ছে গত কালের ঘটনার প্রবাহ।
তিনি আরও বলেন, আমি এসমস্ত কারণে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানাবো এসব নষ্ট ও ভণ্ড নেতৃত্বকে বর্জন করার। মামুনুল হকরা ইসলামের লেবাস পড়ে আসলে কি করছেন সেটিই গতকালকে বেরিয়ে এসেছে। তার ভাষায়, ইসলাম কখনো এগুলো অনুমোদন করে না। তিনি বলেন মামুনুল হক বলেছেন তিনি রিলাক্স করতে গেছেন।