a আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন সমন্বয়ক হাসনাত!
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন সমন্বয়ক হাসনাত!


আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৫:৪৪
আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন সমন্বয়ক হাসনাত!

ফাইল ছবি: সমন্বয়ক হাসনাত!


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে নিজের আত্মহত্যা প্রবণতার কথা লিখেছেন। যা পড়ে সত্যিই অবাক হতে হয়।

তার এক প্রিয় বন্ধু মনজুর আত্মহত্যার ঘটনার পর আজ বুধবার সকালে তিনি এই পোস্ট ফেসবুকে প্রকাশ করেন।

হাসনাত লিখেছেন, আমি যে কোন সময় আত্মহত্যা করতে পারি। ঠিক যতগুলো কারনে আমার বন্ধু মনজু গতকাল এসএম হলে আত্মহত্যা করেছে,আত্মহত্যা করার জন্য আমার কাছেও ঠিক ততোগুলো কারণ রয়েছে। উদ্যাম তারুণ্য-পেরোনো প্রান্তিক বয়সে এসে, সেন্ট্রাল লাইব্রেরির নির্জনতায় বসে মাঝে মাঝে আমি ভাবি- আমি এখন পরিচয়হীন,পরিচর্যাহীন-বেকার। আমি না ছাত্র, না পেশাজীবী। না কারো দায়িত্ব নেয়ার যোগ্যতা আমার এখন হয়েছে, না আমার দায়িত্ব নিতে সমাজের আর আগ্রহ রয়েছে। অর্থাভাবে ভীষণভাবে জর্জরিত। আত্মবিশ্বাস ভয়াবহ তলানিতে। মানুষিকভাবেও ভীষণ বিপর্যস্ত।

তিনি লিখেন, কাটছাট করে এই দুর্মূল্যের বাজারে সত্তর টাকায় সারাদিন পার করতে হয়। ‘কড়া’ হয়েছে বলে ক্যান্টিন বয় যখন গরু দিতে চায়, টাকা বাঁচাতে শুষ্ক হাসি দিয়ে ডায়েটে থাকার অযুহাতে সবজি নিয়ে আসতে বলতে হয়। লজ্জাশরমের মাথা খেয়ে মাঝে মাঝে মাছ কিংবা মাংসের একটু ঝোলের জন্য ক্যান্টিন বয়কে বলতে গিয়েও থেমে যাই। ডিম-আলু-ডাল জীবনের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। বর্তমান বাজার দরে এগুলোও এখন সাধ্যের বাইরে। খাবার খরচ, চাকরির এপ্লিকেশন ফি, পকেট খরচ, প্রিলি-রিটেনের বইয়ের দাম নিয়ে ভাবতে ভাবতে শরীর ঠান্ডা হয়ে আসে। রাত গভীর হয়,কাটাবন মসজিদের ফজরের আযান কানে আসে,মাস বাড়তে থাকে; এদিকে পাল্লা দিয়ে মুখে রুচি আর পেটে ক্ষুধা দুইটাই বাড়তে থাকে। শুনেছি অভাবে নাকি মানুষের ক্ষুধাও বাড়ে! যেসব বন্ধুবান্ধব ম্যাট্রিকের পর পড়াশোনা না করে বিদেশে চলে গিয়েছে, তারা এখন প্রতিষ্ঠিত। ঘর-সংসার করে থীতু হচ্ছে। বাপ-মা’কে হজ্জে পাঠাচ্ছে। এলাকায় জায়গাজমি কিনে তেজারত বাড়াচ্ছে।

হাসনাত আরও লিখেন, মাঝে মাঝে ফোন উঠিয়ে তাদের কাছে টাকা-পয়সা চাওয়ার কথা মনে হয়। দুই-একবার ফোন হাতে নিয়েও রেখে দিই। আত্মমর্যাদার বায়বীয় চাদরে মোড়ানো লাজুকতা ভুলে গিয়ে যখন বন্ধুদের কাছে ফোন দিইও, অপরপ্রান্তের বন্ধু থেকে নিজের সম্পর্কে যে উচ্চ ধারনা পাই, তা শুনলে যে উদ্দেশ্যে ফোন দিয়েছি, সেই প্রসঙ্গ আর উঠাতে সাহস হয় না। সেসব বন্ধু-বান্ধব ধরেই নিয়েছে দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করে আমরা এখন অর্থ, বৈভব ও জাগতিক সম্মানে বিপুলভাবে পরিতৃপ্ত। পরিস্থিতি হয়েছে এমন, পকেটে নাই টাকা, কিন্তু চারদিক থেকে অস্বস্তিকর সম্মানের ছড়াছড়ি। আসলে ফাঁকা পকেটে সম্মান বেশি হয়ে গেলে সেটা বদহজম হয়ে যায়। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ বছর যেসব পড়িয়েছে, আর এখন চাকরির পরিক্ষায় আমাদের থেকে যা জানতে চাওয়া হচ্ছে- সেসবের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান।

একটার পর একটা শুক্রবার আসে, চাকরির পরীক্ষা আসে, শহরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে সিট পাল্টায়, পকেটের এডমিট কার্ডটা পাল্টায়, কিন্তু এমসিকিউ-এর গোল্লার-বৃত্তে আটকে থাকা কপালটা আর কলমের খোঁচায় পাল্টায় না। কপাল কবে পাল্টাবে- সে প্রশ্নের উত্তরে আমার জীবন সন্ধানী মন এখন নিশ্চুপ।দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তো বলার অপেক্ষা রাখে না। কখন কি হয়,কিছুই বলা যায় না।চলমান পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে ক্রমশ হাতাশার নিঃশ্বাস ফেলতে হয়! পরিবার, সমাজ ও আশেপাশের মানুষের ‘এখন কি করো? আর কবে? আর কতদিন?’ প্রশ্নের উত্তর এড়াতে ইদেও হলে থেকে যেতে হয়। পরিচিত মানুষের ফোন কল এড়িয়ে যেতে পারলে মনটা স্বস্তিতে ভরে উঠে। নিজের কষ্ট,অসন্তোষ,রাগ কিংবা ভালোবাসা – আমরা কাউকে কিছুই এখন বলতে পারছি না, মুখ বুজে সমুদ্র গিলতে হচ্ছে!

দিন যত যাচ্ছে পরিবার,সমাজ ও নিজের প্রত্যাশার পারদ ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে। এতোদিন উড়তে থাকা আমি এবং আমার স্বপ্ন, এই সংকটে আটকে পড়ে ধুলোমলিন বেশে নিয়তির মুখোমুখি হতে চলেছে। লাগামছাড়া ব্যর্থতা ও সংকটের ত্রাহি ত্রাহি রবই শুধু নয়, আমাদের এখন সবার সামনে নিদারুণ উপহাসের পাত্রও হতে হচ্ছে। কাছে আসার ‘রঙিন দিনেরা’, ক্রমাগত দূরে যাওয়ার ধূসর বিবর্ণ গল্পে পরিণত হচ্ছে।

আর ঠিক তখন, ঠিক তখনই, জীবন থেকে মৃত্যুই পরম কাঙ্খিত বলে মনে হয়। ঠিক তখনই হাসনাতরা মনজু কিংবা রুপা কর্মকার হতে চায়। মনজু যেমন শরতের শিশিরের মতো রোদ উঠার আগেই নিঃশব্দে মিলিয়ে গিয়েছে, মনে হয়, ঠিক সেভাবে লোকচক্ষুর অন্তরালে নিভৃতে মিলিয়ে যাই। এক-পা,দু-পা করে মিলিয়ে যাওয়ার পথ ধরতে ইচ্ছে হয়। তবে,কোথায় যেনো বাধা পড়ে যাই!

সত্যজিত রায়ের অপুর সংসার মুভিতে অপুকে বলতে শোনা যায় -তার মধ্যে মহৎ কিছু একটা করার ক্ষমতা আছে, সম্ভাবনা আছে, কিন্তু সেটা সে পারছে না। আবার এই না পারাটাও শেষ কথা নয়, ট্রাজিডিও নয়। সে মহৎ কিছু পারছে না, তার দারিদ্র্য যাচ্ছে না, তার অভাব মিটছে না, কিন্তু এত কিছুর পরেও সে জীবনবিমুখ হচ্ছে না, সে পালাচ্ছে না, স্কিপ করছে না, মনজুর মতো আত্মহনন করছে না বরং সে বাঁচতে চাইছে, সে বলছে- বাঁচার মধ্যেই স্বার্থকতা, বাঁচার মধ্যেই আনন্দ। He wants to live.

এই পয়েন্টটাতে এসে আর জীবনবিমুখ হতে পারি না। আসলেই, বেঁচে থাকতে পারছি এটাই তো সার্থকতা।

একটা থেঁতলে যাওয়া ব্যাঙও মাটির সাথে অর্ধেক লেপ্টে থাকা দেহটা নিয়ে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লাফানোর চেষ্টা করে,দুষ্টু ছেলের হাতে ধরা পড়ে পাখা হারানো লাল ফড়িংটাও চেষ্টা করে নীল আকাশে আবার উড়ে বেড়ানোর। আর আমি তো মানুষ, শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। ভয় কি? আবার শুরু করবো। সমাজ-পরিবার ও আশেপাশের মানুষের প্রত্যাশায় বেঁচে থাকা বন্ধ করে,নিজের আশার উপর নির্ভর করে বাঁচবো। আত্মহত্যা করতে জীবন আমাকে হয়তো শতশত যৌক্তিক কারন দেখাচ্ছে; কিন্তু আমি জীবনকে শুধু একটা কারন দেখিয়েই বেঁচে থাকবো। আর সেটা হলো ‘আশা’। থেমে না গিয়ে এই সম্বলটুকু নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা। ইংরেজিতে একটা কথা আছে ‘Every man dies but not everyman lives’। মৃত্যুকে দেখিয়ে দিবো আমি জীবন থেকে পালিয়ে যাইনি,যাঁরা বেঁচেছে,আমি তাদের একজন।

অজানা এক লুপ্ত নক্ষত্রের মতো হারিয়ে যাওয়ার আগে,ভবিষ্যতের অপ্রত্যাশিত সব বিস্ময়ের মুখোমুখি হতে আমাদের স্বপ্ন ও আত্মবিশ্বাস-এ আমাদের সুস্থির থাকতে হবে। দীর্ঘ খড়া কাটিয়েও আবার যেমন প্রকৃতিতে বৃষ্টি নামে, শুকিয়ে যাওয়া নদীতেও আবার যেমন ঢেউ উঠে,আমরাও জানি,কষ্ট পেতে পেতে কোন একদিন আবার আমরা সূর্যের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে সুস্মিত শিশিরের মতো সবার মাঝে আবারও প্রকাশিত হবো। স্বতেজে। তাই, সমাজের কাছে অনুরোধ- অপেক্ষা করুন।আমাদের সময় দিন।আমরা যা,আমাদের সেভাবেই মেনে নিন। ‘কে কী হয়েছে’- এসব উদাহরণ টেনে এনে, ‘আমাদের কী হতে হবে’- এইসব বলা বন্ধ করুন।

পাশাপাশি, আর কোনো হাসনাত যেনো তেলহীন প্রদীপের মতো ধীরে ধীরে নিভে গিয়ে মনজু না হতে হয় সেজন্য দেখা হলেই ‘এখন কি করো’ প্রশ্নটা না করে, ‘এখন কেমন আছো?’-এ প্রশ্নটা করুন। কারণ ,রাষ্ট্রের এই অসম ও অপ্রতুল আয়োজনে আমরা ভালো নেই।”

পোস্টের শেষে তিনি উল্লেখ করেন, আমি একজন চাকরিপ্রার্থী হিসেবে গত বছর (২৩ আগস্ট ২০২৩) এই লেখাটি লিখেছিলাম, যেখানে চাকরিপার্থীদের কষ্ট ও হতাশা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। একজন চাকরিপ্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ কখনোই বুঝতে পারবে না যে, এই যন্ত্রণার মাত্রা কতটা অসহনীয়। আমি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, পিএসসির সংস্কার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে চাকরির পরীক্ষা ও নিয়োগ কার্যক্রম চালু করুন। এছাড়া, বেকারত্বের প্রেক্ষাপটে প্রহসনমূলক আবেদন ফি বাতিল করুন। সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মানসিক স্বাস্থ্যসেবামূলক সংগঠন(পিএসএ)-এর কমিটি ঘোষণা


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
শনিবার, ০১ মে, ২০২১, ০৬:৩২
মানসিক স্বাস্থ্যসেবামূলক সংগঠন(পিএসএ)-এর কমিটি ঘোষণা

ফাইল ছবি

দেশের অন্যতম মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সংগঠন সাইকোলজিক্যাল স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন (পিএসএ) এর নতুন কমিটিতে রাজশাহী  বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মিম মারিহা মৃধা-কে সভাপতি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী সালমান রশিদ শান্ত কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। গত ৩১ এপ্রিল,২০২১ (শুক্রবার) সংঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা ২৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন এ কমিটি ঘোষণা করেন।

১ম কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন:- সহ-সভাপতি- সাদিয়া সুলতানা নিশাত (ইবি) ও ইফফাত জাহান শমী (বশেমুরবিপ্রবি), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানজিদা মেহরীন (শাবিপ্রবি); সাংগঠনিক সম্পাদক- রাফিউর রহমান (তেজগাঁও কলেজ), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক- অনুপমা আনজুম (হাবিপ্রবি), আনিকা তাবাসসুম (ইডেন কলেজ); প্রচার ও প্রচারণা সম্পাদক- রিফাত হাসান রবিন (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়), সহকারী প্রচার ও প্রচারণা সম্পাদক: যারীন তাসনিম (শাবিপ্রবি) ও আরাফাত বাদশা (নোবিপ্রবি); কোষাধ্যক্ষ- মিনহাজ উদ্দিন (রাবি), সহকারী কোষাধ্যক্ষ–হৃদয় ইফতেখার ইফতি (বাহার কলেজ); দপ্তর সম্পাদক- নোয়েল নাহিদ টিপ (রাবি),  সহকারী দপ্তর সম্পাদক- তামান্না তাজরীন তিশা (কুবি);

এবং কার্যনির্বাহী সদস্যপদে নির্বাচিত বাকি সদস্যবৃন্দ হলেন- আফিয়া সুলতানা, আয়শা সিদ্দিকা আশা, সুমাইয়া বিনতে আজাদ, আতিক মোহাম্মদ জুবায়ের, নাফিসা জাহান, জিনাত ইমু, সজল মুহিব, মারিয়া হায়দার শান্তা, ফৌজিয়া কালাম কান্তা, আফসানা আফরিন।

নতুন কমিটি সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদক সালমান রশিদ শান্ত বলেন, "সাইকোলজি স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন (PSA)- এর যাত্রা শুরু হয়েছিলো জনসাধারণের কাছে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সঠিক বার্তা পৌঁছে দিতে। এই সংগঠনের সদস্যগণ প্রথম থেকেই আমাদের এই মূলনীতি অর্জনে একাগ্রতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন এবং একই ধারাবাহিকতায় নতুন কমিটির সদস্যরাও মানসিক সুস্বাস্থ্যের বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে সময় উপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।"

উল্লেখ্য,“Ensuring Mental Health Care by Enriching Ourselves” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ১২ মার্চ,২০২০ থেকে সংগঠনটি কাজ শুরু করে এবং করোনাকালে "টেলিকাউন্সিলিং" সেবার আওতায় মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় PSA প্রতিনিয়ত সেবা দিয়ে চলেছে।

সুস্থ মন ও সুস্বাস্থে গড়ে উঠুক প্রতিটি পরিবার, এই স্লোগানকে সামনে রেখেই এগিয়ে যাবে পিএসএ এই আশা ব্যক্ত করেন সংগঠনটির প্রত্যেক সদস্য।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্র তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত, হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ২৫ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ০৩:১৯
যুক্তরাষ্ট্র তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত, হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল

ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, মিশিগান, অরেগনসহ বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে ভারী তুষারপাত হয়েছে। তুষারপাতের কারণে এসব এলাকার কয়েক লাখ মানুষ বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন পার করছে। বাতিল করা হয়েছে হাজার হাজার ফ্লাইট। আবার কয়েক হাজার ফ্লাইট দেরিতে ছেড়েছে। কিছু প্রধান সড়কেও চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

গতকাল শুক্রবার তুষারপাতের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ায় বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত কয়েক দশকের মধ্যে এই অঞ্চলে সবচেয়ে খারাপ মাত্রার তুষারপাত শুর হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় এখন হাঁটু পর্যন্ত বরফ। টেলিভিশনে আবহাওয়ার সংবাদ উপস্থাপকদের সেই পথ পাড়ি দিয়ে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে।

এপির খবর, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকায় ভারী তুষারপাত ও বৃষ্টি হয়েছে। মিশিগান অঙ্গরাজ্যেও তাপমাত্রা হিমাঙ্কে। সেখানে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে।

মিশিগানের প্রায় ১০ লাখ ঘরবাড়ি অন্ধকারে নিমজ্জিত। প্রধান সড়ক, মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। উড়োজাহাজ চলাচলে বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। ফ্লাইটঅ্যাওয়ার ডটকম বলেছে, গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ২০০-এর বেশি ফ্লাইটের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। ১৭ হাজারের বেশি ফ্লাইট দেরিতে ছেড়েছে।

জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা সতর্কতা জারি করে বলেছে, ক্যালিফোর্নিয়ায় আজ শনিবারও তুষারপাত হবে। সিয়েরা নেভাদা ও ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে পাহাড়ি এলাকায় পাঁচ ফুট পর্যন্ত তুষার পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে নেমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

মিশিগানে ৮ লাখ ২০ হাজার বাসিন্দা অন্ধকারে রয়েছে। আগামীকাল রোববারের মধ্যে বিদ্যুৎ–সংযোগ সচল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সংযোগকারী প্রধান সড়কগুলো তুষারপাতের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। কখন এগুলো চলাচলের উপযোগী হবে, তা বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

প্রচণ্ড তুষারপাতের কারণে বিদ্যুতের লাইনগুলো নিচে নেমে এসেছে। এতে ক্যালিফোর্নিয়ার এক লাখের বেশি মানুষকে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। অরেগন অঙ্গরাজ্যেও তুষারপাত হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আমার ক্যাম্পাস