a প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছরে পদার্পণ করলো সরকারি তিতুমীর কলেজ
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩ পৌষ ১৪৩২, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছরে পদার্পণ করলো সরকারি তিতুমীর কলেজ


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
শুক্রবার, ০৭ মে, ২০২১, ১০:৫৪
প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছরে পদার্পণ করলো সরকারি তিতুমীর কলেজ

ফাইল ছবি

 

'জিন্নাহ কলেজ' নামে ১৯৬৮ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজ প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান জগন্নাথ কলেজের(বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) ছাত্র-আন্দোলনকে নির্মূল করার জন্য মহাখালীতে অবস্থিত ডিআইটি খাদ্যগুদাম হিসেবে পরিচিত ভবনে জগন্নাথ কলেজের ডিগ্রি শাখা স্থানান্তর করেন এবং এর নামকরণ করা হয় জিন্নাহ কলেজ।

১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান রেডিও-টেলিভিশনে এক ভাষণে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি স্থগিত ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে জিন্নাহ কলেজ শাখার ছাত্র সংসদের প্রথম সহ-সভাপতি (ভিপি) সিরাজউদ্দৌলার নেতৃত্বে টিপু মুনশি ও শাহাবুদ্দিনসহ তৎকালীন কতিপয় ছাত্রনেতা প্রতিক্রিয়া হিসেবে জিন্নাহ্ কলেজের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলেন। তখন আনিসুজ্জামান খোকন (জিন্নাহ কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক) জিন্নাহ কলেজের নাম 'তিতুমীর কলেজ' প্রস্তাব করেন। 

২ মার্চ ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় জড়ো হলে সেখানে তৎকালীন ডাকসু ভিপি আ স ম আবদুর রবের মধ্যস্থতায় জিন্নাহ্ কলেজের নাম 'তিতুমীর কলেজ' হিসেবে চূড়ান্ত হয়। ঐ রাতেই 'তিতুমীর কলেজ' নামকরণের সাইনবোর্ড লেখা হয় এবং দেয়ালে টাঙিয়ে দেয়া হয়। এলাকার কিছু যুবক তিতুমীর নামকরণের ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করেন। সেই তিতুমীর কলেক আজ ৬৫ হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত।

সরকারি তিতুমীর কলেজে একেবারে সূচনালগ্নে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত চালু থাকলেও পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার কথা বিবেচনা করে এবং চাহিদা অনুসারে এখন শুধু স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিসমূহ চালু রয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল বিভাগ এই কলেজে চালু ছিল। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পরও পূর্বের সকল কার্যক্রম চালু রয়েছে। এখানে যেসকল বিভাগ চালু রয়েছেঃ

বিজ্ঞান অনুষদ:-
পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত,প্রাণিবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, ভূগোল ও পরিবেশ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)।

বাণিজ্য অনুষদ:- হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং।

কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ :
বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান, ইসলাম শিক্ষা, সমাজকর্ম, ইসলামের ইতিহাস সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান।

ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে ৫ টি বাস। BRTC লাল বাস, সম্পর্ক, অগ্নিবীণা, সোনার তরী, সাদা বাস। 

কলেজটির ছাত্র-ছাত্রীর জন্য তিনটি আবাসিক হল রয়েছে; এগুলো হলোঃ আক্কাছুর রহমান আঁখি ছাত্রাবাস, সুফিয়া কামাল ছাত্রী নিবাস, সিরাজ ছাত্রী নিবাস।

কলেজের উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ও সামাজিক ছাত্র সংগঠন হলো: বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, সরকারি তিতুমীর কলেজ বিতর্ক ক্লাব, ক্লিন এন্ড গ্রীন ক্যাম্পাস-তিতুমীর।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পুলিশ ফাঁড়ি নয়, প্রয়োজনে থানা হবে, জবির নতুন ক্যাম্পাসে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


সিয়াম, জবি প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ২৯ মে, ২০২২, ০৮:১৩
পুলিশ ফাঁড়ি নয়, প্রয়োজনে থানা হবে, জবির নতুন ক্যাম্পাসে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ি নয়, প্রয়োজনে থানা হবে। রবিবার (২৯ মে) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন,  এ দেশের মানুষ বিশ্বাস করে বারবার দরকার, শেখ হাসিনার সরকার। আমরা কোনো পেশিশক্তির ভরসা করে রাজনীতি করি না। কোনো বন্দুকের নলের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন না। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন এ দেশের জনগণের ওপর।

স্মৃতিচারণা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জগন্নাথ কলেজের ছাত্র ছিলাম, এখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। আমার ছাত্ররাজনীতি শুরু হয়েছে এই জগন্নাথ থেকে। আমরা না গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো আন্দোলন হতো না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দেবে, আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য কাজ করবে।

আলোচনাসভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজীর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজীবুল্লাহ হিরু ও সম্মানিত অতিথি হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.  ইমদাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, সূত্রাপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী আবু সাইদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনাসভাটি সঞ্চালনা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

১২ কোটি টাকা ড. ইউনূসকে দিতেই হবে: আপিল বিভাগ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩, ১১:১৫
১২ কোটি টাকা ড. ইউনূসকে দিতেই হবে: আপিল বিভাগ

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস। ফাইল ছবি

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পাওনা বাবদ ১২ কোটি টাকা দানকর দিতেই হবে বলে রায় দিয়েছে আপিল বিভাগ।

রোববার (২৩ জুলাই) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে ড. ইউনূসের পক্ষে করা সময় আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

এর আগে, গত ৩১ মে ১২ কোটি টাকা কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন ড. ইউনূস। সেখানেও রায় স্থগিত হয়নি।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে এক কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার টাকা দানকর দাবি করা হয়। আর ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে এক কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয় এনবিআর।

দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এইসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ড. ইউনূস। তার দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এই কর দাবি করতে পারে না।

এরপর ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর তার আবেদন খারিজ করেন। এরপর ২০১৫ সালে তিনি হাইকোর্টে তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন। ওই মামলাগুলোর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - আমার ক্যাম্পাস