a
ফাইল ছবি
'জিন্নাহ কলেজ' নামে ১৯৬৮ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজ প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান জগন্নাথ কলেজের(বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) ছাত্র-আন্দোলনকে নির্মূল করার জন্য মহাখালীতে অবস্থিত ডিআইটি খাদ্যগুদাম হিসেবে পরিচিত ভবনে জগন্নাথ কলেজের ডিগ্রি শাখা স্থানান্তর করেন এবং এর নামকরণ করা হয় জিন্নাহ কলেজ।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান রেডিও-টেলিভিশনে এক ভাষণে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি স্থগিত ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে জিন্নাহ কলেজ শাখার ছাত্র সংসদের প্রথম সহ-সভাপতি (ভিপি) সিরাজউদ্দৌলার নেতৃত্বে টিপু মুনশি ও শাহাবুদ্দিনসহ তৎকালীন কতিপয় ছাত্রনেতা প্রতিক্রিয়া হিসেবে জিন্নাহ্ কলেজের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলেন। তখন আনিসুজ্জামান খোকন (জিন্নাহ কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক) জিন্নাহ কলেজের নাম 'তিতুমীর কলেজ' প্রস্তাব করেন।
২ মার্চ ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় জড়ো হলে সেখানে তৎকালীন ডাকসু ভিপি আ স ম আবদুর রবের মধ্যস্থতায় জিন্নাহ্ কলেজের নাম 'তিতুমীর কলেজ' হিসেবে চূড়ান্ত হয়। ঐ রাতেই 'তিতুমীর কলেজ' নামকরণের সাইনবোর্ড লেখা হয় এবং দেয়ালে টাঙিয়ে দেয়া হয়। এলাকার কিছু যুবক তিতুমীর নামকরণের ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করেন। সেই তিতুমীর কলেক আজ ৬৫ হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত।
সরকারি তিতুমীর কলেজে একেবারে সূচনালগ্নে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত চালু থাকলেও পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার কথা বিবেচনা করে এবং চাহিদা অনুসারে এখন শুধু স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিসমূহ চালু রয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল বিভাগ এই কলেজে চালু ছিল। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পরও পূর্বের সকল কার্যক্রম চালু রয়েছে। এখানে যেসকল বিভাগ চালু রয়েছেঃ
বিজ্ঞান অনুষদ:-
পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত,প্রাণিবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, ভূগোল ও পরিবেশ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)।
বাণিজ্য অনুষদ:- হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং।
কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ :
বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান, ইসলাম শিক্ষা, সমাজকর্ম, ইসলামের ইতিহাস সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান।
ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে ৫ টি বাস। BRTC লাল বাস, সম্পর্ক, অগ্নিবীণা, সোনার তরী, সাদা বাস।
কলেজটির ছাত্র-ছাত্রীর জন্য তিনটি আবাসিক হল রয়েছে; এগুলো হলোঃ আক্কাছুর রহমান আঁখি ছাত্রাবাস, সুফিয়া কামাল ছাত্রী নিবাস, সিরাজ ছাত্রী নিবাস।
কলেজের উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ও সামাজিক ছাত্র সংগঠন হলো: বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, সরকারি তিতুমীর কলেজ বিতর্ক ক্লাব, ক্লিন এন্ড গ্রীন ক্যাম্পাস-তিতুমীর।
ফাইল ছবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ (ধুপখোলা মাঠ) দখল করে সেখানে মার্কেট ও পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। পূর্বের পরিকল্পনা হিসেবে গত ১০ জুন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জোহা ও সিটি কর্পোরেশনের সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হরিদাস মল্লিক মাঠের ভেতর ম্যাপ অনুযায়ী মাঠের চার কর্নারে খুঁটি বসান। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে মাঠের মধ্যে মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনার বিষয়টি নজরে আসার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ দখলের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল স্যারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, "গতকাল ১৬ জুন আমরা মাঠ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম, মাঠে যেয়ে সেখানে দায়িত্বরত যারা ছিলেন তাদের সাথে কথা হয়েছে কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ দখলের বিষয়ে ভিসি স্যার মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও মেয়র মহোদয়ের সাথে কথা বলবেন। এ ব্যাপারে দ্রুত সমাধান আসবে বলে আশাবাদী আমরা।"
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান ডিপার্টমেন্টের ১৩তম ব্যাচের ক্রীড়াপ্রেমী শিক্ষার্থী আনতাজ হেনা আখি বলেন, আমরা কখনোই চাইবো না মাঠটা দখল হোক। একজন খেলোয়াড় হিসেবে অবশ্যই চাইবো মাঠ টা আমাদের থাকুক। কেননা এই মাঠটুকুই আমাদের জগন্নাথের খেলোয়াড়দের একমাত্র স্বস্তির জায়গা। ভালোবাসার জায়গা আমাদের খেলাধূলার জন্য।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাসহ সকলেই এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।
ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে ব্যাট প্যাড তুলে রাখার সিদ্ধান্ত জানালেন ভারতীয় ক্রিকেটার স্টুয়ার্ট বিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন এই ভারতীয় অলরাউন্ডার।
দেশের জার্সিতে ৬টি টেস্ট, ১৪টি ওয়ান ডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন বিনি। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার রজার বিনির সুপুত্র তিনি। ওয়ান ডে তে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। সেটাই তাঁর অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। দীর্ঘ ৫ বছরের বেশি সময় ধরে জাতীয় দল থেকে বাইরে ছিলেন স্টুয়ার্ট বিনি। বাবার মত সাফল্য তিনি পাননি ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে।
তাই অবশেষে ক্রিকেট জীবনের কঠিন সিদ্ধান্তটা নিয়েই নিলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। ৩৭ বছর বয়সে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিলেন তিনি। গত সোমবার এক বিবৃতিতে স্টুয়ার্ট বিনি বিসিসিআই ও কর্নাটক ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়ে অবসরের কথা জানান। তিনি বলেন, 'আমি প্রথম শ্রেণি ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। সর্বোচ্চ স্তরে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা আমাকে অনেক আনন্দ ও সম্মান দিয়েছে।
আমার ক্রিকেটীয় যাত্রায় একটা বড় ভূমিকা পালনের জন্য আমি বিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার প্রতি ওদের বিশ্বাস ও ভরসা অমূল্য। কর্নাটক রাজ্যের সমর্থন ছাড়া আমার ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হত না। নিজের রাজ্যের হয়ে অধিনায়কত্ব করা ও ট্রফি জেতা সম্মানের ব্যাপার।' তিনি আরও বলেন, 'ক্রিকেট আমার রক্তে বইছে।
আমি সবসময় ক্রিকেটকে কিছু ফিরিয়ে দিতে চাই। ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি সবাইকে আমার দ্বিতীয় ইনিংসের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই।' নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে ১৪ ওয়ান ডে ম্যাচ খেলে ২৩০ রান করেছেন।
উইকেট নিয়েছেন ২০টি। ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্য়াচে বিনির ঝুলিতে রয়েছে ৩৫ রান ও ১ উইকেট। আইপিএলে মোট ৯৫টি ম্যাচে ৮৮০ রান করেছেন এবং ২২টি উইকেট নিয়েছেন। ৯৫টি প্ৰথম শ্রেণির ম্যাচ। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হওয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপেও ভারতীয় দলে ছিলেন স্টুয়ার্ট বিনি।