a
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়।
নতুন সিদ্ধান্তানযায়ী, ক ইউনিটের পরীক্ষা হবে ৬ আগস্ট, খ ইউনিটের ৭ আগস্ট, গ ইউনিটের ১৩ আগস্ট ও ঘ ইউনিটের পরীক্ষা হবে ১৪ আগস্ট। এছাড়া চ ইউনিটের পরীক্ষা হবে ৩১ জুলাই।
ফাইল ছবি
সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ না নিয়ে বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ না নিয়ে ব্যর্থ এ সরকারবিরোধী দল ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন দমনে ধারাবাহিকভাবে জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। দেশে আইনের শাসন না থাকায় ঘরে-বাইরে কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই।’
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নে দেশে গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার ক্ষত-বিক্ষত। নির্দোষ মানুষকেও অপরাধী বানিয়ে গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে, রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘বর্তমানে চাল, ডাল, লবণ, চিনি, তেল, মাছ-মাংস, মুরগি, ডিম এমনকি কাঁচামরিচসহ সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। টিসিবির পণ্য কিনতেও রীতিমতো যুদ্ধ করছেন মানুষ। চাল না পেয়ে ট্রাকের নিচে পড়ে থাকা চাল কুড়িয়ে মানুষ ক্ষুধা নিবারণ করছেন। অথচ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ না নিয়ে ব্যর্থ এ সরকার বিরোধীদল ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ ও দমনে ফ্যাসিবাদী কায়দায় ধারাবাহিকভাবে জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ ছাড়া আরও ৩৯ দেশে এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। ক্ষমতাবান গোষ্ঠীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রতিশোধস্পৃহা থেকে বেরিয়ে ‘ডু নট হার্ম’ নীতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার ‘কো-অপারেশন উইথ ইউনাইটেড নেশনস, ইট’স রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যান্ড মেকানিজমস ইন দ্য ফিল্ড অব হিউম্যান রাইটস’ নামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি)।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইউএনএইচআরসির চলমান সেশনে প্রতিবেদনটি উত্থাপন করা হয়েছে। আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই সেশন।
প্রতিবেদন প্রস্তুতের জন্য যে ৪০ দেশের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে, সেসব হলো— বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, অ্যান্ডোরা, বাহরাইন, বেলারুশ, বুরুন্ডি, ক্যামেরুন, চীন, কলম্বিয়া, কিউবা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব (ডিআর) কঙ্গো, জিবুতি, মিশর, ফ্রান্স, গুয়েতেমালা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, ইসরায়েল, সৌদি আরব, লিবিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মেক্সিকো, মিয়ানমার, নিকারাগুয়া, ফিলিপাইন, কাতার, রাশিয়া, দক্ষিণ সুদান, তানজানিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, ভেনিজুয়েলা, ইয়েমেন এবং ফিলিস্তিন।
২০২২ সালের ১ মে থেকে ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সংগ্রহ করা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ইউএনএইচআরসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ৪০ দেশের অন্তত ২২০ ব্যক্তি ও ২৫ প্রতিষ্ঠান সরকার এবং প্রভাবশালী গোষ্ঠীর লাগাতার হয়রানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রতিশোধপরায়ণতার শিকার।
রাষ্ট্র ও ক্ষমতাবানদের উৎপীড়নের শিকার এসব ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর সবাই মানবাধিকার তৎপরতা ও সিভিল সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত বলেও উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা।
সোমবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব এই প্রতিবেদনের প্রসঙ্গে বলেন, ‘জাতিসংঘ সব রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রতিশোধমূলক তৎপরতা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ভিন্নমত পোষণকারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও উৎপীড়নের ব্যাপারে জাতিসংঘ জিরো-টলারেন্স নীতি মেনে চলে এবং জাতিসংঘ মনে করে, আলাপ-আলোচনা ও সংলাপের ভিত্তিতে যাবতীয় সমস্যার সমাধান সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে আরও গণতান্ত্রিক করে তুলতে আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। আমরা প্রতিশোধমূলক মামলাগুলোর প্রতি নিজেদের প্রতিক্রিয়া আরও জোরদার করব এবং বার্ষিক প্রতিবেদনগুলোতে এ সংক্রান্ত ঘটনা শনাক্ত করা ও নথিপত্রসহ উপস্থাপন করার প্রয়াস আমাদের অব্যাহত থাকবে। আমরা এ বিষয়ক তথ্যের প্রচারও শক্তিশালী করব।’
গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএনএইচআরসির প্রধান ও জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ইলেজ ব্র্যান্ডস কেহরিস বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে তারা উৎপীড়নের শিকার ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলোর সঠিক সংখ্যা তুলে আনতে পারেননি। বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের নানামুখী প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্র ও প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলোর প্রতিশোধমূলক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বরং দিন দিন তা বাড়ছে,’। সূত্র: এএফপি/যুগান্তর