a
ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণপরিবহনসহ সর্বত্রে স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে আবারও কঠোর লকডাউন দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
রবিবার তার বাসভবন থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এ হুঁশিয়ারি প্রদান করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, লকডাউনের পরে গণপরিবহন চলাচলে সুযোগ দেয়া হলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তা না হলে সরকার আবারও কঠোর লকডাউন দিতে বাধ্য হবে।
ফাইল ছবি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
শনিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্ত অন্য ৪ নির্বাচন কমিশনার হলেন বেগম রাশিদা সুলতানা-জেলা ও দায়রা জজ (অবসরপ্রাপ্ত), আহসান হাবীব খান-বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মাে. আলমগীর- সিনিয়র সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) ও আনিছুর রহমান-সিনিয়র সচিব (অবসরপ্রাপ্ত)।
ইতিপূর্বে ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে গিয়ে সিইসি এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে জমা দেয় সার্চ কমিটির সদস্যরা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ঠেকাতে বেশ কিছু দিক-নির্দেশনা আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রিসভা বিভাগের সঙ্গে আলোচনার একদিন পর ওমিক্রন ঠেকাতে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকে জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কেবিনেটের সঙ্গে গতকাল মিটিং করেছি। বেশ কিছু পরামর্শ ও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এগুলো এখনো ফাইনাল না। কেবিনেট থেকে এগুলো ফাইনাল করা হবে। এর আগে যে আলোচনা হয়েছে, করোনাভাইরাস রুখতে হবে একারনেই এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, যানবাহনে মাস্ক ছাড়া চলাচল করা যাবে না। যারা চলাচল করবেন তাদের জরিমানার মধ্যে পড়তে হবে। পরিবহনের মধ্যে বাস থাকবে, ট্রেন থাকবে এবং লঞ্চ থাকবে এটা একটা সিদ্ধান্ত মোটামুটি হয়েছে। আমাদের প্রস্তাবনায় রয়েছে। তারপর বাস এবং অন্যান্য যানবাহনে যাত্রী অর্ধেক নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রেস্টুরেন্ট-হোটেল সেখানেও মাস্ক পড়ে যেতে হবে। মাস্ক ছাড়া গেলে দোকানদারসহ উভয়ের ফাইন হবে। দোকানের সময়সীমাও কমিয়ে আনা হয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত ১০টার পরিবর্তে, এটাও প্রস্তাব করা হয়েছে। টিকা নেওয়ার জন্য তাগাদা দেয়া হয়েছে। রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে ভ্যাকসিন কার্ড অবশ্যই দেখাতে হবে।
স্কুল চলবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। সংক্রমন বেশি বৃদ্ধি পেলে স্কুলের বিষয় চিন্তাভাবনা করা হবে, এটাকে চালানো যাবে কিনা। এখনো আমরা সে সিদ্ধান্ত নেইনি, সে পরিস্থিতি এখনো বিরাজ করছে না।
তিনি বলেন, অনেকে জিজ্ঞেস করে লকডাউন দেওয়া হবে কিনা, পাশের দেশে তো দিয়েছে। আমরা এখনো সে চিন্তা করছি না। যদি পরিস্থিতি হাতের বাহিরে চলে যায়, সংক্রমন অনেক বৃদ্ধি পায় তাহলে লকডাউনের চিন্তা মাথায় আছে। পাশাপাশি আমাদের বর্ডারগুলো স্ক্রিনিং আরো জোরদার করা হয়েছে এবং কোয়ারেন্টিনে যারা থাকবে তারা যাতে বাহিরে ঘোরাফেরা না করে এজন্য পুলিশ পাহারা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে।
‘ডিসি এসপিদের বলা হয়েছে তারা এ নির্দেশ যখন পাবে তা যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করেন। আগে ১৫ দিন সময় দেয়ার কথা বলা হয়েছিলো কিন্তু আজ প্রপোজ করেছি ১৫ দিন নয় সাত দিন দেয়ার জন্য। এটা কেবিনেট সচিবকে বলা হয়েছে তিনিও একমত পোষণ করেছেন। এটা সাত দিন পরেই নির্দেশগুলো বাস্তবায়ন কার্যকর শুরু হবে।’
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, আপনারা জানেন যে পৃথিবীতে ওমিক্রন বৃদ্ধি পাচ্ছে, পাশের দেশেও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশেও কিছু রোগী পাওয়া গেছে যারা ওমিক্রনে আক্রান্ত। আমরা লক্ষ্য করছি সপ্তাহখানেক যাবত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। গত ১০ দিন আগেও এটা ২০০ থেকে আড়াইশর মধ্যে ছিলো। গতকাল এটা পৌণে ৭শ হয়ে গেছে। যেভাবে বাড়ছে এটা আশঙ্কাজনক।’ সূত্র: যুগান্তর