a
সংগৃহীত ছবি
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় চলমান বিধিনিষেধ আরও এক মাস বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছে।
এবার বিধিনিষেধে নতুন কিছু শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব সরকারি–বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে। আর ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোতে স্থানীয় জেলা প্রশাসক জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মিলে কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে লকডাউনসহ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবে।
দেশে এখন করোনাভাইরাসের ‘ডেলটা ভেরিয়েন্টের’ সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে। সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় তা ছড়িয়ে পড়েছে। এ জন্য সারা দেশে চলমান বিধিনিষেধের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় বিশেষ ‘লকডাউন’ চলছে।
ফাইল ছবি
করোনা পরিস্থিতির অবিনতির ফলে অনলাইনে বাংলা নববর্ষ পালনের নির্দেশ দিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বুধবার (৭ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে এই নির্দেশনা জানানো হয়। এতে বলা হয়, কোনও অবস্থাতেই জনসমাগম করা যাবে না।
চিঠিতে বলা হয়, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাংলা নববর্ষ ১৪২৮ উদযাপনের ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী জনসমাগম এড়িয়ে অনলাইন বা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুরোধ জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরও করোনা পরিস্থিতির জন্য ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ও মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়নি। সেসময় বিভিন্ন সংগঠন ভার্চুয়ালি বর্ষবরণের আয়োজন করেছিলেন।
ফাইল ছবি: ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ও ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি
আজ দীর্ঘ ১০৮ দিন ধরে যুদ্ধ চলছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে। ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড ইতোমধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শান্তি বৈঠকে আজ সোমবার যোগ দিচ্ছেন ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তারা ইইউ’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন।
চলমান গাজা যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সর্বাঙ্গীণ শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সম্ভাব্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে ইইউ। ব্রাসেলসে ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়মিত বৈঠকে আলাদাভাবে অংশ নেবেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি ও ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
বৈঠকটি প্রধানত মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুকে কেন্দ্র করে হলেও তাতে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও স্থান পাবে বলে আশা করা যায়। ইইউর শান্তি বৈঠকে সৌদি আরব, মিশর ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও অংশ নেবেন। এছাড়া আরব লীগের মহাসচিবও এই বৈঠকে যোগ দেবেন।
বৈঠকের আগে ইইউর কূটনৈতিক পরিষেবা বিভাগ জোটের ২৭ সদস্যের কাছে আলোচনাপত্র পাঠিয়েছে। আলোচনাপত্রে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনির মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপ থাকার ইঙ্গিত রয়েছে। এর কেন্দ্রে আছে একটি ‘প্রস্তুতিমূলক শান্তি সম্মেলন’ আহ্বান করা। এর আয়োজক হিসেবে থাকবে ইইউ, মিশর, জর্ডান, সৌদি আরব ও আরব লীগ। সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ইসরায়েল বা ফিলিস্তিন পক্ষ সম্মেলনে অনীহা থাকলেও সম্মেলনটি হবে। তবে সম্মেলনের আলোচনার প্রতিটি ধাপে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবে বৈঠক সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ। সূত্র: রয়টার্স