a
ড.এ কে আব্দুল মোমেন । ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কৌশলগত জোট ‘কোয়াড’-এ যোগ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ মঙ্গলবার (১১ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় নেপালকে করোনা সহায়তা দেওয়া নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, কোয়াড-এ যোগ দেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি আমরা নির্ধারণ করি। যেকোনো দেশ তার বক্তব্য তুলে ধরতে পারে। চীনা রাষ্ট্রদূত কী বললেন, আমরা সেটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। দেশের স্বার্থ চিন্তা করেই কোয়াডে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গঠিত জোট কোয়াডে বাংলাদেশ যুক্ত হলে ঢাকা-বেইজিং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ‘অনেক খারাপ’ হবে বলে বার্তা দিয়েছে বেইজিং। তাই চীন চায় না বাংলাদেশ ওই কোয়াডে যোগদান করুক।
এশিয়াজুড়ে চীনের আগ্রাসন রুখতে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ‘কোয়াড’ নামে একটি জোট গড়ে তুলে ভারত। গতকাল (সোমবার, ১০ মে) ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সঙ্গে ভার্চুয়াল আলাপে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, চীন সব সময় মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কোয়াড হচ্ছে চীনবিরোধী একটি গ্রুপ। আমি খুব স্পষ্ট করেই বলতে চাই, অর্থনৈতিক প্রস্তাবের কথা বললেও এতে নিরাপত্তার উপাদান আছে।
রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, এটি সত্যি নয়। মূলত কোয়াড করা হয়েছে চীনের বিরোধিতার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুর মিলিয়ে জাপানও এখানে চীনের বিরুদ্ধে বলছে। আমি এটি পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই চার সদস্য বিশিষ্ট ক্লাবে যোগ দিলে বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে না। কারণ এর ফলে চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
চীনা রাষ্ট্রদূতের এমন মন্তব্যের বিষয়ে পররাষ্ট্র বলেন, চীনা রাষ্ট্রদূত আগ বাড়িয়ে বলেছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। এখানে কারও হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি আমরাই ঠিক করবো।
ছবি সংগৃহীত: নতুন বর্ষবরণ ২০২৫
নিউজ ডেস্ক: বিদায় আরও একটি বছর। সঙ্গে নতুন সব আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে শুরু হলো নতুন বছর ২০২৫। পুরানো বছরকে বিদায় দিয়ে দু:খ-বেদনা দূরে রেখে নতুন উদ্যোমে, নতুন প্রত্যাশায় নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছি দেশবাসী।
গতকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা বাজতেই অবিরত আতশবাজির ঝলকানিতে বর্ণিল হয়ে ওঠে রাজধানীর সুউচ্চ ভবনের ছাদগুলো। পাশাপাশি ফুটতে থাকে পটকা। শব্দে প্রকম্পিত হয়ে যায় সারা ঢাকা শহর। অনেকে ভয়ে ঘরের দরজা-জানালা আটকিয়ে বসে থাকেন দূর্ঘটনা এড়াতে।
যদিও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার থার্টি ফার্স্ট নাইট উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছিল। এর মধ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ ২০২৫ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকায় যে কোনো ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস উড়ানো নিষিদ্ধ করা হয় কিন্তু তা মানেনি ঢাকাবাসী।
বিধিনিষেধ থাকলেও রাজধানীবাসী মহাধুমধামে আবার কোথাও স্বল্প পরিসরে আয়োজন করছে পার্টি। অনেকে বাসার ছাদে বারবিকিউ পার্টি আর কেক কাটাসহ বিভিন্ন ধরণের আয়োজনে মেতেছে।
তবে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কঠোর নজরদারি রেখেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। টহলের পাশাপাশি রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে তল্লাশি চালিয়েছে। আবার কোথাও কোথাও যান চলাচল কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল।
নতুন বছর-২০২৫ উপলক্ষ্যে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এক বাণীতে ড. ইউনুস বলেন, নতুনের আগমনী বার্তা আমাদের উদ্বেলিত করে, নব উদ্যমে সুন্দর আগামীর পথচলার জন্য অনুপ্রেরণা জোগায়। নতুন বছরের এই মাহেন্দ্রক্ষণে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উন্নতির নতুন শিখরে আরোহণে অঙ্গীকারবদ্ধ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও জোরদার হোক এই কামনা করে তিনি বলেন, খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৫ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ভারতে জি-২০ সম্মেলনে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বিকাল ৩টা ৩৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ফ্লাইটটি দুপুর ১টা ৮ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান ভারতের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার দিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন সন্ধ্যায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। সেগুলো হলো—কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, সংস্কৃতি বিনিময়, বাংলাদেশি টাকা এবং ভারতীয় রুপির মধ্যে লেনদেন সহজ করা। সূত্র: যুগান্তর