a
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী নতুন একটি জাহাজ আটক করেছে জার্মানি। ২৩ আগস্ট জার্মানির ব্রেমেন বন্দরে জাহাজটিকে আটক করা হয়। আটক জাহাজটির নাম এমটি বাংলার অগ্রদূত।
সেখানকার কর্তৃপক্ষ বলছে, জাহাজটিতে ২৭টি ত্রুটি শনাক্ত করেছে জার্মানির পোর্ট স্টেট কন্ট্রোল বা পিএসসি।
ইউরোপিয়ান মেরিটাইম সেফটি এজেন্সির ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, জাহাজটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি)। এটি তেল পরিবহনকারী জাহাজ।
এ ঘটনায় গেল বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বাংলাদেশের নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষ নৌ বাণিজ্য কার্যালয় থেকে একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অসংখ্য ত্রুটি নিয়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ আটকের ঘটনা উদ্বেগের বিষয়। জাহাজের নাম উল্লেখ না করে সেখানে আরও বলা হয়, বেশিরভাগ ত্রুটিই জাহাজ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা সম্পর্কিত। এটি দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার প্রতিফলন। বারবার এ ধরনের ঘটনার কারণে যাতে ওই সব অঞ্চলে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ কালো তালিকাভুক্ত না হয়, সে জন্য কঠোরভাবে নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হবে।
জানা গেছে, এই জাহাজটি সময় ভিত্তিতে ভাড়া দেওয়া সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানির কাছে। জাহাজটিতে কর্মরত রয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকেরা।
আদেশ জারির বিষয়ে নৌ বাণিজ্য কার্যালয়ের মুখ্য কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশে নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জাহাজগুলো যাতে আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন প্রতিপালন করে, বহির্বিশ্বে যেন বাংলাদেশের সম্মান ক্ষুণ্ন না হয়, সে জন্যই এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জাহাজটির নির্মাণ সংক্রান্ত কোনো ত্রুটি নেই দাবি করে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমোডর সুমন মাহমুদ বলেন, করোনার কারণে কাগজপত্র হালনাগাদ করা হয়নি। তাই সমস্যা হয়েছে। এখন হালনাগাদ করা হয়েছে। জাহাজটি বন্দর ত্যাগের অনুমতি পাবে শিগগিরই। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
দীর্ঘ দুই যুগ পর আজ মঙ্গলবার সকালে মিঠামইন উপজেলায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে মিঠামইন উপজেলা সেজেছে নবরূপে। মিঠামইন উপজেলায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে ঘিরে মিঠামইনসহ পুরো হাওর অঞ্চলে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
হাওরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার জন্য এই প্রধানমন্ত্রীর সুধী সমাবেশ তথা জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। আর জনসভার মঞ্চটি করা হয়েছে নৌকার আদলে।
এর আগে ১৯৯৮ সালে মিঠামইনে এসেছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে ইতোমধ্যে সব ধরণের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সূত্র:বিডিপ্রতিদিন
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে মরিয়া বিএনপি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে তিনি এই বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে নতুন নির্বাচন কমিশন। একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ‘সার্চ কমিটি’র মাধ্যমে বাছাই করে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়।
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও চেতনায় বিশ্বাসী সকল মানুষকে বিএনপি নেতৃবৃন্দের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রাক্কালে নির্বাচন কমিশনের গঠন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে মরিয়া বিএনপি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।
তাই বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিনিয়ত মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বক্তব্য-বিবৃতির মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজ যখন দেশে গণতান্ত্রিক কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ভিত্তি সুসংহত তখন গণতন্ত্র হত্যাকারী বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি অত্যন্ত লজ্জাকর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হওয়া ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের কারণে বিএনপি জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখাত হয়ে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি জনগণের ওপর দায় চাপায়। নিজেদের পরাজয় আড়াল করার লক্ষ্যে নির্লজ্জভাবে তারা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষোদগার করে আসছে।