a
ফাইল ছবি
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বর্তমানে শরীরে লেগেই আছে জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা। করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে এখন অনেকেই জ্বর, সর্দির নাম শুনলেই ভয় পায়। কিন্তু এই বর্ষা মৌসুমে বা ঘন ঘন আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে শরীরে সাধারনত জ্বর, সর্দির সমস্যা দেখা দিতেই পারে। এই সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কিছু আয়ুর্বেদিক প্রতিকার নিম্নে আলোচনা করা হলো:
১) তুলসী:
আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে তুলসীকে বলা হয় ‘মাদার মেডিসিন অফ নেচার’ এবং ‘কুইন অফ হার্বস’। এই তুলসী সর্দি ও কাশির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে সহায়ক। এজন্য কাঁচা তুলসীর পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা চায়ের সঙ্গে তুলসীর পাতা ফুটিয়ে তুলসীর চা বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
২) আদা:
আদার মধ্যে দ্বারা প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য গলার সংক্রমণ থেকে শুরু করে সর্দি, কাশির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে সহায়ক। এজন্য আপনি শুকনো আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। আবার চা পাতার সঙ্গে আদা ফুটিয়ে আদা চা খেতে পারেন। অথবা কাঁচা আদার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে এই সব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
৩) মধু:
মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা কাশির সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে অত্যন্ত সহায়ক। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে এই উপাদানের ব্যবহার অপরিহার্য। গলার সংক্রমণকে দূর করতে এবং কাশি হতে রক্ষা পেতে মধু খেতে পারেন।
৪) রসুন:
আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে রসুনের ব্যবহার অতি পরিচিত নাম। রসুনের মধ্যে থাকে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান জ্বর, সর্দি, কাশির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে সাহায্য করে।
এছাড়াও শরীরে গড়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এর জন্য আপনি প্রতিদিন এক কোয়া করে কাঁচা রসুন খেতে পারেন অথবা কোনও খাবারের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।
ফাইল ছবি
কোলেস্টেরল মোমের মতো এক ধরনের ফ্যাটি পদার্থ। তৈরি হয় যকৃত (লিভার) থেকে। লাইপোপ্রোটিনের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে পড়ে কোলেস্টেরল। স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে হরমোন নিয়ন্ত্রণ এবং নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে এই কোলেস্টেরল।
কিন্তু শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে এবং ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে গেলে, তা কোলেস্টেরলের সঙ্গে মিশে ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ বা এলডিএল হয়ে যায়। তখনই কোলেস্টেরল শরীরের পক্ষে খুব ক্ষতিকর হয়ে যায়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যদি অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণ বেশি হয়ে যায় এবং কোনও রকম শরীরচর্চা করা না হয়, তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটা বেড়ে যেতে পারে।
কিভাবে জানা যাবে শরীরে এর মাত্রা বেড়েছে?
কোলেস্টেরলের মাত্রা যতক্ষণ না মারাত্মক বেড়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ শরীরে কোনও রকম লক্ষণই দেখা দেয় না। তাই নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করিয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রার ওপর নজর রাখা নেহায়েত প্রয়োজন। কোলেস্টেরল খুব বেড়ে গেলে পায়ের টেন্ডন লিগামেন্টগুলোতে প্রভাব পড়ে। পায়ের ধমনীগুলো সরু হয়ে গেলে পায়ের নিচের অংশ অনেকটা অক্সিজেন-সহ রক্ত পৌঁছতে পারে না। তাতে পা ভারী হয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে সহজেই। পায়ের অসম্ভব যন্ত্রণা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। উরু বা পায়ের হাঁটুর নীচে পিছনের দিকে ব্যথা হতে পারে। হাঁটার সময়েই এই ধরনের ব্যথা বাড়ে। অল্প দূরত্ব হাঁটলেও এই ব্যথা হতে পারে। তাই এই লক্ষণগুলো দেখলেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন।
ঘুমের মধ্যে পায়ের পাতায় বা আঙুলে হঠাৎ টান ধরা যাওয়াও উচ্চ কোলেস্টেরলের ইঙ্গিত বহন করে। রাতে এই ধরনের সমস্যা বেশি হয়। পা নিচের দিকে ঝুলিয়ে রাখলে রক্ত চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে। তাতে পায়ের টান ধরার যন্ত্রণা কমতে পারে।
রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না হলে পায়ের আঙুলের রঙেও অনেকক্ষেত্রে পরিবর্তন হতে পারে। পায়ের নখের রং বদলে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ফাইল ছবি
আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের প্রতিও আগ্রহ আছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের। দেশটি নানা বৃত্তি দেয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের। এর অন্যতম একটি ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটনের ডক্টরাল স্কলারশিপ।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটিতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীরাও নিউজিল্যান্ডের সম্পূর্ণ অর্থায়নের এই পিএইচডি বৃত্তির জন্য যোগ্য। এ বৃত্তির আওতায় ১১০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী এ বৃত্তি পাবেন।
পড়াশুনার ক্ষেত্রসমূহ:
স্থাপত্য, ব্যবসায় এবং সরকার, নকশা, শিক্ষা, প্রকৌশল, স্বাস্থ্য, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, সংগীত, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন ও গবেষণা করা যাবে।
বৃত্তির সুযোগ–সুবিধা:
স্কলারশিপে তিন বছরের টিউশন ফি মিলবে। বছরে ২৯ হাজার ৫০০ ডলার করে উপবৃত্তি।
আবেদনের যোগ্যতা:
আগ্রহী আবেদনকারীর ভালো একাডেমিক প্রোফাইল থাকতে হবে
আবেদনকারী শিক্ষার্থীর একাডেমিক রেফারেন্স থাকতে হবে;
শিক্ষর্থীকে অবশ্যই উচ্চমানের গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আগ্রহ ও সম্ভাবনা থাকতে হবে;আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশনা থাকতে হবে।
আবেদনের প্রক্রিয়া:
ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটনের ডক্টরাল স্কলারশিপে আবেদনে সব প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে। নির্বাচিত স্কলারদের ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের সম্পূর্ণ অর্থায়নে পিএইচডি বৃত্তি দেওয়া হবে। আবেদনের কয়েকটি ধাপ লক্ষ্য করতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ:
এ বৃত্তির জন্য বছরে তিনবার আবেদন করা যায়। ১ মার্চ, ১ জুলাই ও ১ নভেম্বরে আবেদন করা যায়। সূত্র: প্রথম আলো