a
ফাইল ছবি
আফগান সেনাবাহিনীর সদস্যরা জীবন বাঁচাতে সাজোয়া যানসহ বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে ইরানের সীমানায় ঢুকে পড়েছিল। মার্কিন বাহিনী দেশটি ছেড়ে যাওয়ার পর সেই অস্ত্রগুলো তালেবানের কাছে হস্তান্তর করেছে ইরান।
মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ‘আমওয়াজ মিডিয়া’র বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখলের মাধ্যমে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তালেবান। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে দীর্ঘ ২০ বছরের মার্কিন দখলদারিত্বের অবসান ঘটে।
কাবুল দখলের আগে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে দেশটির বিভিন্ন রাজ্য একের পর এক দখল করে নেয় তালেবান। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দেশ থেকে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি।
এর আগে যখন বিভিন্ন প্রদেশ তালেবান দখল করছিল, তখন জীবন বাঁচাতে যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে আফগানিস্তানে সীমানা পেরিয়ে ইরানে ঢুকে পড়েছিল আফগান সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে সেই অস্ত্রগুলো জব্দ করেছিল ইরানের সেনাবাহিনী।
ফাইল ছবি
মুসলিম দেশগুলোর সহিত সম্পর্ক বহুমুখীকরণ করতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
বুধবার রাশিয়া এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় ল্যাভরভ এই আহ্বান জানান। রাশিয়া এবং মুসলিম বিশ্বের মধ্যে এটি হচ্ছে দ্বাদশ সম্মেলন। রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় কাজান শহরে সম্মেলনটি শুরু হয়েছে।
রাশিয়া এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যাপকভিত্তিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আজ শুক্রবার সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এতে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলো অংশ নিচ্ছে।
সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় ল্যাভরভ বলেন, “মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, অংশীদারিত্ব এবং আন্তঃধর্মীয় ও আন্ত সভ্যতার সংলাপ, জাতিসংঘ সনদের লক্ষ্য ও আদর্শ সামনে রেখে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতির ভিত্তির ওপর রাশিয়ার এই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত। এ কারণে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে এবং সফলতার সাথে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে নানামুখী যে সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছি তা ন্যায় সঙ্গত।”
এই সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় রাশিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক আলেকজান্ডার বিকান্তভ বলেন, তার দেশ এবং মুসলিম বিশ্বের ওপর পশ্চিমা দেশগুলো অব্যাহতভাবে গোয়েন্দা যুদ্ধ চালিয়ে আসছে। পশ্চিমাদের এই শত্রুতা মোকাবেলার জন্য রাশিয়া এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ছবি সংগৃহীত
বিএনপি রাজধানী ঢাকায় স্মরণকালের সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ করার প্রস্তুতি নিয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ হবে। এতে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা ছাড়াও আশপাশের সকল জেলা ও মহানগর থেকে নেতাকর্মীরা যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদান করবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতারা জানান, এই সমাবেশ থেকে তারেক রহমান দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নতুন বার্তা দেবেন।
একইদিনে সিলেট, খুলনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, বরিশাল, রংপুর, ফরিদপুর, কুমিল্লা, রাজশাহী মহানগরে শোভাযাত্রা করবে বিএনপি। এতে নেতৃত্ব দেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে রাজধানী ঢাকায় গণসমাবেশ এবং ঢাকার বাইরে অন্য মহানগরগুলোতে ১৫ সেপ্টেম্বর শোভাযাত্রা করার কথা ছিল বিএনপির। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে কর্মসূচি পিছিয়ে আজ মঙ্গলবার করার ঘোষণা দেয় দলটি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশে তারেক রহমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ড, জাতীয় নির্বাচন, রাষ্ট্র সংস্কারে দলের দেওয়া ৩১ দফা, দেশকে স্থিতিশীল রাখতে দলের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ করণীয়, রাজপথের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যেবদ্ধ থাকা, আন্দোলনসহ নানা বার্তা দেবেন।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১৭ বছর আমরা কখনো ছিলাম ছোট কারাগারে অথবা বাংলাদেশ নামক ফ্যাসিবাদের বৃহৎ কারাগারে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতনের মধ্যদিয়ে সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। আমরা মুক্ত পরিবেশে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার শান্তিপূর্ণ উপায়ে ঢাকায় গণসমাবেশের প্রস্তুতি নিয়েছি। এবার নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই সমাবেশ সফল করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, এই সমাবেশের মূল আকর্ষণ দেশনায়ক তারেক রহমান। তিনি কী বক্তব্য দেন, তা শোনার আগ্রহ নিয়ে-ই গণতন্ত্রকামী মানুষ নয়াপল্টনে জমায়েত হবে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, এই সমাবেশে ঢাকা, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা এবং নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেবে। অতীতের মতো বাধা না থাকায় ভয়-ডরহীনভাবে বাস ট্রেনে অনেকটা রিলাক্স মুডে যেভাবে পারেন - এই সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিয়েছেন ।
ঢাকা জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, সুশৃঙ্খলভাবে ঐক্যবদ্ধ ঢাকা জেলা বিএনপি গণসমাবেশে অংশ নেবে; এই নির্দেশনাই নেতাকর্মীদের আমরা দিয়েছি। জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেছি, নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। সবার আগ্রহের জায়গা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সমাবেশ থেকে কী বার্তা দেন। তার সেই বক্তব্য শোনার জন্যই মূলত নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে আসবেন।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে মন্তব্য করে নিপুণ বলেন, আসলে দেশনায়ক তারেক রহমান এখন নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি যা বলেন, নেতাকর্মীরা তাই মেনে চলেন। তার এক ডাকে-ই জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বিএনপির ৪২২ জন নেতাকর্মী জীবন উৎস্বর্গ করেছেন। বাকি নির্যাতনের কথা বাদ দিলাম। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানের তথ্যমতে, সমাবেশ পরিচালনা করবেন দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন। সূত্র: যুগান্তর
ঢাকার বাইরে ৯ মহানগরে শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন যারা: বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্যদের মধ্যে মঙ্গলবার সিলেট মহানগরে শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন মির্জা আব্বাস, খুলনায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ময়মনসিংহে নজরুল ইসলাম খান, চট্টগ্রামে সালাউদ্দিন আহমেদ, বরিশালে বেগম সেলিমা রহমান, রংপুরে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ বীর বিক্রম। ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে ফরিদপুরে বিএনপি ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, কুমিল্লায় মো. শাজাহান, রাজশাহীতে শামসুজ্জামান দুদু শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু যুগান্তরকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করেছি। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। এটা আমাদের প্রাথমিক বিজয়। এখন আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে হবে। সেজন্য গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে আছি এবং থাকব।