a
ফাইল ছবি
ঢাকায় আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে ফিরতে না পারলে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন। অর্থাৎ আজ ফিরতে না পারলে সবাইকে বাড়িতেই থাকতে হবে।
আগামীকাল ২৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে কঠোর লকডাউন। যা চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এই ইস্যুতে কোনো গুজবে না দেওয়ার আহ্বান জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
বুধবার রাতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ২৩ জুলাই থেকে বিধি-নিষেধ শুরু হবে। শেষ হবে ৫ আগস্ট। এটা পূর্ব নির্ধারিত প্রজ্ঞাপন। এই ইস্যুতে গুজবে কান দেবেন না। ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধি-নিষেধ দিয়েছে সরকার। বিধি-নিষেধের সময় সব অফিস বন্ধ থাকবে।
সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসহ সারা দেশে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। বিধি-নিষেধ শেষে যেন ঢাকায় চাকরিরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফিরে আসেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ১৪ দিন যদি আমরা বিধি-নিষেধ মানি তাহলে সংক্রমণের চেইনটা ভাঙতে পারব। সবাই যার যার অবস্থানে থেকে সহযোগিতা করবেন।
ফাইল ছবি
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার অতি প্রবল আকার ধারণ করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসের স্বাক্ষরিত ৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০৫ কি.মি. দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড়টি। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে। সূত্র:বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
তীব্র শীতের চন্দ্র রাতের পর দিন এলেও ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর ডাকে সাড়া দিচ্ছে না চন্দ্রযানের অবতরণ বাহন (ল্যান্ডার) বিক্রম। ফলে সময় যতো গড়াচ্ছে ততোই কমে আসছে চন্দ্রযানটির সজাগ হওয়ার আশাও।
তবে এখনই হাল ছাড়তে নারাজ ইসরো। চন্দ্র দিবস শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা চেষ্টা চালিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান চাঁদের একদিন।
গত শুক্রবার ইসরো জানিয়েছে, তারা ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। তবে তারা কোনো সংকেত পাচ্ছে না।
আগস্ট মাসে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩। দুই সপ্তাহ চাঁদের মাটিতে সচলভাবে কাটানোর পর চন্দ্ররাত নামলে বিক্রম ও রোভারকে স্লিপিং মুডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ইসরোর বিজ্ঞানীদের আশা ছিল চন্দ্র দিবসে রোদ্রালোক পেলেই জেগে উঠবে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান। তবে সেই আশায় আপাতত গুঁড়েবালি। ইসরোর ডাকে সাড়া দিচ্ছে না চন্দ্রযানের দুই অংশই। সূত্র: বিডি প্রতিদিন