a
ছবি সংগৃহীত
বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) জনবহুল এই শহরের একিউআই স্কোর ছিল ৩৬৭ যাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
এদিকে একিউআই স্কোর ৩৫৮ নিয়ে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি দ্বিতীয় এবং পাকিস্তানের লাহোর শহর ২১৫ নিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। এ সময় স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ প্রত্যেক নগরবাসীর জন্য জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়া একিউআই সূচক ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো।
সূচক ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেওয়া হয়। একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সাধারণ নগরবাসী বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
শীতের শুষ্ক মৌসুমে প্রতি বছরই ঢাকার বাতাস গুরুতর হয়ে উঠে। তবে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে চলাচল সীমিত এবং সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মনে করা হয়েছিল বাতাসের মানে উন্নতি হবে। যদিও লকডাউনে বিশ্বের ৮৪ শতাংশ দেশে বায়ুর মান বৃদ্ধি পায় কিন্তু নির্মাণ কাজের আধিক্যের কারণে বাংলাদেশে বাতাস অস্বাস্থ্যকরই থেকে গেছে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভিসানীতি থেকে বাঁচতে সরকার ফল ও খাবার খাওয়ানোর নাটক করেছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আগামী সোমবার (৩১ জুলাই) সারাদেশে বিএনপির জনসমাবেশের কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বিনা উসকানিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। বহু নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। সরকার নিজেদের রক্ষার জন্য আমান উল্লাহ আমানকে ফল ও বাবু গয়েশ্বরকে দুপুরে খাওয়ানোর নাটক করেছে।
বিএনপি এগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সরকার ভিসানীতি থেকে বাঁচতে বিএনপি নেতাদের ফল ও খাবার খাওয়ানো এবং আটকের নাটক সাজিয়েছে।
তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে আমরা জানতে পেরেছি, তিন যুবক মোটরসাইকেলে এসে বাসে আগুন দিয়ে চলে যায়। পুলিশও আশপাশে ছিল। কারা এ কাজ করছে তা সবাই জানে। অথচ বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করা হচ্ছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্যসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ বিএনপির অনেক নেতা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি: জাতীয় স্মৃতিসৌধ
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস আজ। ৫০ বছর আগে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্তি লাভ করে বাংলাদেশ। আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন—একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মুক্তির ইতিহাস—স্বাধীনতার ইতিহাস। স্বাধীনতার ইতিহাস ৩০ লাখ শহিদের আত্মদান আর ২ লাখ মা-বোনের ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন ও সংগ্রামের গৌরবগাথা, গণবীরত্বের ইতিহাস।
আরো পড়ুন: ঢাকার পথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
স্বাধীন বাংলাদেশের অভিযাত্রায় এক মহাসন্ধিক্ষণ অতিক্রম করছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। আজ বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ করছে। কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংহত করার নতুন শপথে বলিয়ান হওয়ার দিন আজ।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষের’ মাহেন্দ্রক্ষণে উদ্যাপিত হচ্ছে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’। এটি সমগ্র বাঙালি জাতির জন্য এক আনন্দঘন গৌরবের অনুভূতি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় একের পর এক মাইলফলক অর্জন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনকে মহিমান্বিত করেছে।
বাঙালির শৃঙ্খলমুক্তির দিন আজ। বিশ্বের বুকে লাল-সবুজের পতাকা ওড়ানোর দিন। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে একসাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন তার চূড়ান্ত পরিণতি। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সূচনার সেই গৌরব ও অহংকারের দিন আজ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ থেকে আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ব্যাপক আয়োজনে থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ ঢাকাসহ সারা দেশে প্রত্যুষে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সকাল ৭টায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
আরো পড়ুন: স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন বাহিনীর বাদকদল স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাদ্য বাজাবে।
দিবসের তাত্পর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। এ উপলক্ষ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ফেডারেশন মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
এছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। একইভাবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। দেশের সব হাসপাতাল, জেলখানা, শিশুপরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সব শিশু পার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে উন্মুক্ত রাখা হবে। একইভাবে চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর।
ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুরে বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ আজ দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাত্পর্য তুলে ধরে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে। আজ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ সকাল ৭টা থেকে ৯টা এবং দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তিনি বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের এই সন্ধিক্ষণে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশে পরিণত হোক—এ আমার প্রত্যাশা।
আরো পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, আসুন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা শপথ নিই—মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতামুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর ৫০ বছরে আমাদের যা কিছু অর্জন, তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের হাত ধরেই অর্জিত হয়েছে। বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠতম অর্জন লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতালাভ। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে, মহান স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করতে হবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দিতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মর্যাদাশীল উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ অর্জন করেছে। এটা আমাদের জন্য এক বিশাল অর্জন।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি: দিবসটি উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সূর্যোদয়ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ৮টায় ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।
সকাল ৮টায় তেজগাঁও গির্জায়, সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনাসভার আয়োজন করেছে।
বিকাল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’ আয়োজিত কর্মসূচিতে আমন্ত্রিত নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। আওয়ামী লীগের পক্ষে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সংগতি রেখে টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
আগামীকাল রবিবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপনের জন্য দলের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক