a
ফাইল ছবি: শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার বিকালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনে নতুন কারিকুলাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
তিনি জানান, বুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিল এইচএসসি পরীক্ষার পরিমার্জিত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুয়েট প্রশাসনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, বুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিল সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শিক্ষাকে আনন্দময় করে তুলতে এবার নবম শ্রেণিতে কোনো বিভাগ রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ থাকবে না। শুধু জ্ঞান নয়, এর সঙ্গে দক্ষতা অর্জনই মূলত নতুন কারিকুলামের লক্ষ্য। সেটি বাস্তবায়নেই আমাদের আগামী দিনের পথচলা।’
তিনি বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম এখন পাইলটিং চলবে। ৬২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এটি বাস্তবায়িত হবে। এতে সফল হতে পারলে ২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিকভাবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি থেকে বাস্তবায়ন করব। ২০২৪ সালে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এটি বাস্তবায়িত হবে। সে হিসাবে ২০২৪ সাল থেকে আর আর্টস, কমার্স, সায়েন্স বিভাগ থাকছে না।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সাল থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে দুদিন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে আগামীকাল সোমবার (২০ জুন) থেকে রাত ৮টার পর সারাদেশে বিপণি-বিতান, মার্কেট ও মুদি দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ রবিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে একমত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে সমিতির নেতারা ঈদুল আজহার কারণে ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সম্প্রতি এই নির্দেশনা জারি করে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এরপর সেনা শাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে দেশটির সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে দেশটির শক্তিশালী কারেন বিদ্রোহীরা।
এরই মধ্যে থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি দখলে করেছে এই কারেন বিদ্রোহীরা।মঙ্গলবার পূর্বাঞ্চলীয় বিদ্রোহীরা ঘাঁটিটি দখল করে নেয় বলে জানিয়েছেন বিদ্রোহীদের এক কর্মকর্তা। খবর এএফপি’র।
সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীরা সারাদেশে ব্যাপক সমর্থন পায়। কয়েক দশক ধরে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে আসা বিদ্রোহীরা তাদের সমর্থন দেয়। বিদ্রোহীদের মধ্যে অন্যতম হল কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)। তারা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চালিয়ে আসছে।
কারেন রাজ্যের সালবিন নদীর কাছে মঙ্গলবার সংঘর্ষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। নদীটি মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড দুটি দেশকে পৃথক করেছে। নদীর থাই অংশের বাসিন্দারা জানায়, মিয়ানমার থেকে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে তারা। কেএনইউ’র বিদেশ বিষয়ক প্রধান পাদোহ শো থো নী বলেন, ‘আমাদের সেনারা বার্মিজ সামরিক ক্যাম্প দখল করে নিয়েছেন।’
এদিকে, মিয়ানমারের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় স্থানীয়রা বাড়িঘর ছেড়ে অন্য শহরের উদ্দেশে ছুটে যাচ্ছেন। সকালে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকেই স্থানীয়রা এলাকা ছাড়া শুরু করেন। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে কারেন সংঘর্ষ তীব্রতর হয়েছে। এতে ২৪ হাজার বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়ে নদী পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের এক-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড বিশেষ করে সীমান্ত এলাকাগুলোতে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এসব বিদ্রোহীদের আবার নিজস্ব মিলিশিয়া বাহিনীও রয়েছে।